‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেজর ডালিম হয়ে গেছি’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেজর ডালিম হয়ে গেছি’
সংগৃহীত ছবি

সামাজিক প্ল্যাটফরম ইউটিউবে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার প্রদান করেছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম দাবি করা এক ব্যক্তি। তার সাক্ষাৎকার প্রদানের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নেটিজেনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। নেটিজেনদের অনেকেই মিনহাজুল আরেফিন সিদ্দিককে মেজর ডালিম বলে নানা মন্তব্যের তীর ছুড়ে দেন। সেই মিনহাজুল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

আরো পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন যুবদল নেতা?

ওবায়দুল কাদেরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন যুবদল নেতা?

 

গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজের ফেসবুকে প্রোফাইল থেকে এক পোস্ট দিয়ে মিনহাজুল আরেফিন সিদ্দিক তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।

আরো পড়ুন
চকরিয়ায় ধর্ষণের শিকার মুসলিম তরুণীকে হিন্দু বলে প্রচার

চকরিয়ায় ধর্ষণের শিকার মুসলিম তরুণীকে হিন্দু বলে প্রচার

 

ফেসবুক পোস্টে মিনহাজুল আরেফিন সিদ্দিক লেখেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, রাতারাতি মেজর ডালিম হয়ে গেছি। আর এরপরই বট বাহিনী ঝাপাইয়া পড়েছে আমার প্রোফাইলে।’

এর আগে রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এক লাইভ টকশোতে কথা বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)।

দুই ঘণ্টার সেই লাইভ টকশোর আয়োজক ও সঞ্চালক ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।

আরো পড়ুন
‘বড় থেকে পাতি নেতারাও মনে করে, আমাদের লুটেপুটে খাওয়ার দিন এসেছে’

‘বড় থেকে পাতি নেতারাও মনে করে, আমাদের লুটেপুটে খাওয়ার দিন এসেছে’

 

টকশোতে মেজর ডালিম ৫০ বছরের সব প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত থাকার কারণে দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন। মেজর ডালিমের এই সাক্ষাৎকারের পর বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনায় এই মেজর ডালিম ইস্যু।

আরো পড়ুন
সীমান্তে হঠাৎ বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণচেষ্টা, বিজিবির বাধায় বন্ধ

সীমান্তে হঠাৎ বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণচেষ্টা, বিজিবির বাধায় বন্ধ

 

টকশোর শুরুতে মেজর ডালিম দাবি করা ব্যক্তি বলেন, ‘দেশবাসীকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতাকে, যারা আংশিক বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের লাল শুভেচ্ছা জানাই। বিপ্লব একটি সমাজ যেকোনো রাষ্ট্রে একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেই অর্থে তাদের বিজয় এখনো পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তার জন্য আরো সময় প্রয়োজন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি চীনের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি চীনের
সংগৃহীত ছবি

চীন সরকার ও দেশটির কম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শুক্রবার (২৮ মার্চ) এর তথ্য জানান।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পর প্রায় ৩০টি চীনা কম্পানি চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

চীন মংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার এবং কারিগরি সহায়তা হিসেবে আরো ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

বাকি অর্থ অনুদান এবং অন্যান্য ধরণের ঋণ হিসেবে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টার চারদিনব্যাপী প্রথম দ্বিপাক্ষিক চীন সফর প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জয়েন বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সফর।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশের প্রতি চীনা বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়ার অনুরোধ করেন।

আশিক চৌধুরী জানান, প্রেসিডেন্ট শি চীনা কম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এই সফর চীনের অনেক কম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার। এ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত ইতিবাচক।

শুক্রবার ড. ইউনূস এবং আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বিশ্বের বৃহত্তম কিছু কম্পানিসহ ১০০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা বাংলাদেশে, বিশেষ করে উন্নত বস্ত্রশিল্প, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি

শরণখোলা (বাগেরহাট)  প্রতিনিধি
শরণখোলা (বাগেরহাট)  প্রতিনিধি
শেয়ার
সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি
সংগৃহীত ছবি

হরিণ শিকার ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পূর্ব বনবিভাগ।

প্রতিবছর ঈদের সময় সুন্দরবনে বেড়ে যায় চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম।

বিশেষ করে হরিণ শিকারিচক্র বেপরোয়া হয়ে উঠে। ঈদে ছুটির ফাঁকে বহুগুণে বেড়ে যায় হরিণ শিকার। তবে এব ছর ঈদের আগে থেকেই হরিণ শিকারিরা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়।

অপরদিকে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ও শাপলার বিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশি উদ্বিগ্ন বন বিভাগ।

দুটি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ছয় একর বনের নানা প্রজাতির গাছপালা, লতাগুল্ম পুড়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে এ ধরনের আগুনের ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে সুন্দরবনে। বনসংলগ্ন এলাকার মৌসুমী মাছ শিকারীরা এই নাশকতায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত হরিণ শিকার ও অগ্নিসন্ত্রাস দুই কারণেই এবার বেশি সতর্ক বন বিভাগ।
 

আরো পড়ুন
সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ৪

সরিষাবাড়ীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ৪

 

বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সুন্দরবন ও বনসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০৮ কজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, দুটি চামড়া, ৮টি পা, বিপুল পরিমাণ হরিণ ধরা ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সাতজন শিকারিকে। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন ও বন বিভাগ এসব অভিযান পরিচালনা করে। 

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিরা বেশি সক্রিয় হয়। তাই হরিণসহ বন্যপ্রাণি শিকাররোধে শরণখোলা রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির বন কর্মকর্তা-কর্মকর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

জোরদার করেছে টহল কার্যক্রম।

আরো পড়ুন
রোজার প্রতিদান কেবল আল্লাহর কাছে

রোজার প্রতিদান কেবল আল্লাহর কাছে

 

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকার এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সীমিত করা হয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি। 

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হবে না। ঈদের বিশেষ এই সময়টাতে শিকারীদের অপতৎপরতা বন্ধ এবং অগ্নি সন্ত্রাসীদের নাশকতারোধে দুই রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

ঢাকা ও বেইজিং জলবিদ্যুৎ-পূর্বাভাস ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সহযোগিতা জোরদার করবে

বাসস
বাসস
শেয়ার
ঢাকা ও বেইজিং জলবিদ্যুৎ-পূর্বাভাস ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সহযোগিতা জোরদার করবে
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ও চীন জলবিদ্যুৎ, পূর্বাভাস, বন্যা প্রতিরোধ ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন, পানি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, পানি সম্পদ উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।

আজ শুক্রবার উভয় পক্ষ ইয়ারলুং জাংবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমনওইউ) বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষরকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনে সরকারি সফরে রয়েছেন।

বাংলাদেশ ও চীনের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে।

উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং নীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে।

আরো পড়ুন
মায়ানমারে বাংলাদেশি নাগ‌রিকদের অবস্থা জানালেন রাষ্ট্রদূত

মায়ানমারে বাংলাদেশি নাগ‌রিকদের অবস্থা জানালেন রাষ্ট্রদূত

 

বাংলাদেশ ও চীন সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ে বিনিময় জোরদার করতে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতা সংক্রান্ত নতুন সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এশিয়ার বোয়াও ফোরামের মহাসচিবের আমন্ত্রণে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৬ ও ২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন।

এরপর, চীন সরকারের আমন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টা ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফরে রয়েছেন।

আজ শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিংয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং শ্যুয়েশিয়াং বোয়াও ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের সাইডলাইনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং বেইজিংয়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণ পরিবেশে, দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা করে এবং ব্যাপক সমঝোতায় পৌঁছায়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন।

প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চীন স্বাগত জানিয়ে গতবছরের আগস্ট থেকে সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি ও অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।

একইসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে গভীর আগ্রহী চীন।

উভয় পক্ষ সমগ্র কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও সুসংহত ও গভীর করার জন্য সমান প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয় উভয় দেশ একমত হয়েছে যে, বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছরে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সবসময় শক্তিশালী ও স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে গেছে।

উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির প্রতি অটল থাকার, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব এগিয়ে নেওয়ার, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় করার, উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় গভীর করার এবং বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও সমৃদ্ধ করার বিষয়ে একমত হয়েছে।

এতে উভয় দেশের জনগণের জন্য আরও বেশি সুফল নিশ্চিত করা যাবে বলে তারা আশাবাদী।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের ঐতিহাসিক সময়ে উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রধানতম স্বার্থ ও উদ্বেগের বিষয়ে পারস্পরিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শ্রদ্ধা করে এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় সমর্থন প্রদান করে।

চীন বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নির্ধারিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করে এবং বাংলাদেশের নিজস্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন পথ অনুসন্ধানের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে বলে জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ নীতির অনুসারী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর শাসন পরিচালনা, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে আসছে।

উভয় পক্ষ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বাস্তবিক বহুপাক্ষিকতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বৃহত্তর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছে।

উভয় দেশ সমতার ভিত্তিতে শৃঙ্খলাপূর্ণ বহুপক্ষীয় বিশ্ব ও সর্বজনীনভাবে উপকারী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

উভয় পক্ষ জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপাক্ষিক কাঠামোর আওতায় সমন্বয় আরও জোরদার করার, উন্নয়নশীল দেশগুলোর যৌথ স্বার্থ রক্ষার এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

মিয়ানমার সংকট ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা বাংলাদেশ মিয়ানমারের শান্তি আলোচনায় চীনের গঠনমূলক ভূমিকা এবং রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের সমস্যা সমাধানে চীনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে।

চীন রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং চীনের জনগণকে তার ও বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের প্রতি উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি উভয় পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে চীনা নেতৃত্বকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মায়ানমারে বাংলাদেশি নাগ‌রিকদের অবস্থা জানালেন রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মায়ানমারে বাংলাদেশি নাগ‌রিকদের অবস্থা জানালেন রাষ্ট্রদূত
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে দেশটির রাজধানী নাইপিদোর একটি হাসপাতালের অংশবিশেষ ধসে পড়েছে। ছবি : এএফপি

মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে। শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মায়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্যের জন্য বিরল অনুরোধ করেছে এবং ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

তবে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগ‌রিকরা নিরাপদ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনোয়ার হোসেন। আজ শুক্রবার সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পো‌স্টে এ তথ্য জা‌নান তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, 'মায়ানমারে অবস্থানরত সব বাংলাদেশি নাগ‌রিক নিরাপদ রয়েছে। আজ (শুক্রবার) বেলা সা‌ড়ে ১২টায় এক‌টি শ‌ক্তিশালী ৭ দশমিক ২ এবং ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূ‌মিকম্প উত্তর মায়ানমা‌র অংশে অনুভূত হয়েছে।'

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুসারে, মিয়ানমারে ভূমিকম্পে থাইল্যান্ড এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি মায়ানমারে আঘাত হানে।

এর উৎপত্তিস্থল ছিল মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের সময় কেঁপে ওঠে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ