ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা এলাকায় ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভোরে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকলেও দুপুরের পর থেকে চাপ কিছুটা কমতে থাকে। বরিশাল এবং পটুয়াখালীগামী বেশিরভাগ লোক ঢাকা থেকে ইলিশ কিংবা প্রচেষ্টা নামক লোকাল পরিবহনে এসে ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাস স্ট্যান্ডে নামেন। এখান থেকে বিভিন্ন পরিবহনে বরিশাল কিংবা পটুয়াখালী যান।
ভাঙ্গায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

কামাল হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে বরিশালের সরাসরি কোনো গাড়ির টিকিট পাইনি। তাই কাটা পথে ৩০০ টাকা দিয়ে লোকাল পরিবহনে ভাঙ্গা এসেছি।
ভাঙ্গা দক্ষিণপাড় বাস স্ট্যান্ডে অবস্থানরত পটুয়াখালীর নীলিমা বেগম তার পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে আছি। বাসে কোনো সিট নেই। সম্ভবত দাঁড়িয়ে বাড়ি যেতে হবে।
অন্যদিকে ভাঙ্গা থেকে রাজশাহী ও বগুড়াগামী যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান জানান, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এ বছর পরিস্থিতি অনেক ভালো। গতকাল থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ির ভিড় বেশি ছিল। ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে কোথাও কোথাও গাড়ির গতি কিছুটা ধীর ছিল। তবে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সম্পর্কিত খবর

ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা

ঢাকার সাভারে ঈদের রাতে রুবেল (৩০) নামে এক নৈশ প্রহরীকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল বরিশাল জেলার সদর থানা এলাকার খলিফার ছেলে। তিনি সাভার পৌর এলাকার বাঁশপট্টি মহল্লার মনিরের মালিকানাধীন বাড়িতে ভাড়া থেকে নৈশ প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, রুবেল দুই মাস যাবৎ সাভারের বাঁশপট্টি এলাকায় রাতে নৈশ প্রহরীর কাজ করতেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুবেলের মোবাইলে একটি কল আসে। এরপর সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তার কিছু সময় পরেই বাসায় খবর আসে, রুবেলকে গুলি করেছে, সে বাঁশপট্টি এলাকায় পড়ে আছে।
সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হরনাথ সরকার অর্ণব বলেন, ‘রুবেলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মুখে গভীর ক্ষত রয়েছে। সেটা বুলেটের ক্ষত।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছে। তবে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।’

রাকিব-সাজিদদের জীবনে নেই ঈদের আনন্দ
আরিফ হাসান, ঠাকুরগাঁও

ঈদ আসে, ঈদ যায়। কিন্তু পনেরো বছর বয়সী রাকিবের জীবনে ঈদের আনন্দ যেন এক অধরা স্বপ্ন। বাবা-মাকে হারানোর পর ঠাকুরগাঁও জেলার শিশু বালক পরিবারে ঠাঁই হয় তার। এখানেই কাটে তার শৈশব ও কৈশোর।
রাকিবের মতো এই পরিবারে রয়েছে আরো ৭৫ জন এতিম শিশু। তাদের বেশির ভাগই বাবা-মাকে হারিয়েছে, কেউ হারিয়েছে শেষ আশ্রয়টুকুও।
১২ বছর বয়সী নাসিরও একই গল্প বলে। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারানোর পর এতিমখানাই তার ঠিকানা।
১৩ বছর বয়সী মীমের ঈদ তো আরো নিঃসঙ্গ। বাবা-মায়ের ভালোবাসা কেমন, তা সে জানে না।
১০ বছর বয়সী সাজিদ বাবা-মাকে হারিয়েছে ছয় বছর বয়সে। এরপর সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয় তার। ‘ছোটবেলায় মা নতুন জামা কিনে দিত। এখন তো কেউ নেই। ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাই। রাতে যখন সবাই ঘুমায়, মায়ের কথা মনে পড়ে,’ বলতে গিয়ে চোখের কোণে জল জমে তার।
ঠাকুরগাঁও শিশু বালক পরিবারের পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি শিশুর জীবনে এক গভীর শূন্যতা আছে। ঈদের দিনে আমরা সাধ্যমতো তাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি। নতুন পোশাক, ভালো খাবার দিই, কিন্তু পরিবারের ভালোবাসার অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে তাদের ঈদ কিছুটা আনন্দময় হতে পারে।

পরিবারহীন ঈদ, নাছিরদের আনন্দহীন উৎসব
আরিফ হাসান, ঠাকুরগাঁও

ঈদ আসে, ঈদ যায়। কিন্তু ১৫ বছর বয়সী রাকিবের জীবনে ঈদের আনন্দ যেন এক অধরা স্বপ্ন। বাবা-মাকে হারানোর পর ঠাকুরগাঁও জেলার শিশু বালক পরিবারে ঠাঁই হয় তার। এখানেই কাটে তার শৈশব ও কৈশোর।
রাকিবের মতো এই পরিবারে রয়েছে আরো ৭৫ জন এতিম শিশু। তাদের বেশির ভাগই বাবা-মাকে হারিয়েছে, কেউ হারিয়েছে শেষ আশ্রয়টুকুও।
১২ বছর বয়সী নাসিরও একই গল্প বলে। ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারানোর পর এতিমখানাই তার ঠিকানা।
১৩ বছর বয়সী মীমের ঈদ তো আরো নিঃসঙ্গ। বাবা-মায়ের ভালোবাসা কেমন, তা সে জানে না।
১০ বছর বয়সী সাজিদ বাবা-মাকে হারিয়েছে ৬ বছর বয়সে। এরপর সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয় তার। ‘ছোটবেলায় মা নতুন জামা কিনে দিত। এখন তো কেউ নেই। ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাই। রাতে যখন সবাই ঘুমায়, মায়ের কথা মনে পড়ে’ বলতে গিয়ে চোখের কোণে জল জমে তার।
ঠাকুরগাঁও শিশু বালক পরিবারের পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি শিশুর জীবনে এক গভীর শূন্যতা আছে। ঈদের দিনে আমরা সাধ্যমতো তাদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করি। নতুন পোশাক, ভালো খাবার দিই, কিন্তু পরিবারের ভালোবাসার অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে তাদের ঈদ কিছুটা আনন্দময় হতে পারে।’

ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওকে চাঁদাবাজমুক্ত করব : দেলাওয়ার হোসেন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা দক্ষিণ মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন।
গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলের বড় মাঠে ঈদ পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের কৃষকরা প্রচুর পরিশ্রম করেন, কিন্তু তারা ন্যায্য মূল্য পান না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি শুনেছি, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা আটকে আছে। কী কারণে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তা আমাদের জানা নেই।
জামায়াত নেতা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে যে বিমানবন্দরটি ছিল, তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। অথচ এই বিমানবন্দরটি চালু হলে ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে এবং এটি পুরো উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করব।
ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ টেনে মোহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি যে এখানে চাঁদাবাজি চলছে। অথচ যারা ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, তারা দখলদারিত্ব কিংবা চাঁদাবাজির জন্য প্রাণ দেননি। তারা চেয়েছিলেন একটি সুন্দর ও স্বাধীন বাংলাদেশ। আমরা ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওকে চাঁদাবাজমুক্ত করব।’
আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে আমাদের ঈদের নামাজ পড়ার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারছি। আমরা যখন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন করছি, তখন ফিলিস্তিনি ভাইরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের কোনো ঈদ নেই। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন তিনি তাদের ফেরেশতাদের মাধ্যমে সাহায্য করেন।’