<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তোমরা কি জানো, কোথায় পাওয়া যায় ডাইনোসরের ছানা? প্রশ্ন শুনে হয়তো মনে মনে বলছ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওমা! এই লোকটি দেখি কিছুই জানে না! ডাইনোসর তো সেই লাখ লাখ বছর আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে!</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ঠিক বলেছ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে একটি কথা ভেবে দেখেছ? পৃথিবীতে মানুষ আসার আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে ডাইনোসর। মানুষ তো নিজের চোখে দেখেইনি ডাইনোসরদের! তাহলে তারা কী করে জানল সেই ডাইনোসরের কথা! কী করেই বা বুঝল ডাইনোসর নামে একটি প্রাণী ছিল। লাখ লাখ বছর আগে তারা চষে বেড়াত পৃথিবীময়। ইয়া বিশাল ছিল তাদের বপু। আর কী ভীষণ হিংস্র! তবে ডিম পাড়ত কি না হাঁসের মতো করে!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসলে মানুষ নিজের চোখে ডাইনোসর দেখেনি ঠিকই, তবে তাদের ফসিল দেখেছে। আর সেই ফসিল নিয়ে গবেষণা করে করেই বের করে ফেলেছে ডাইনোসরদের গোপন সব কথা! ওহ হো! বলাই তো হয়নি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ফসিলটা আবার কী জিনিস!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ধরো, লাখো বছর আগে কোনো প্রাণী মারা গেল। তারপর তার মৃতদেহে জমা হতে থাকল বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। একসময় খনিজ পদার্থটুকু শক্ত হয়ে সেই মৃতদেহটিকেও শক্ত করে ফেলবে। একেই ফসিল বলে। বিজ্ঞানীরা এখানে-ওখানে কিছু ডাইনোসরের ফসিল পেয়েছিল বলেই কিন্তু আমরা ডাইনোসরদের কথা জানতে পেরেছি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাহলে বুঝতেই পারছ, ফসিল খুব সহজেই পাওয়া যায় না। যাও বা হঠাৎ পাওয়া যায়, সব চলে যায় গবেষকদের আস্তানায়। সেখানে তাঁরা ফসিল নিয়ে গবেষণা করেন। এভাবেই তাঁরা প্রাচীন দুনিয়ার হরেক রকম তথ্য আবিষ্কার করে জানিয়ে দেন আমাদের!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসো আমরাও এমন একটি ফসিল বানাই! আমাদের বানানো ফসিলটি হবে আসল ফসিলেরই নমুনা! আসল ফসিল তৈরি হতে যেমন হাজার বছর লেগে যায়, তবে আমাদের ফসিল তৈরি হতে এত সময় লাগবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নমুনাটি বানাতে প্রথমেই লাগবে সাদা সিমেন্ট। একে প্লাস্টার অব প্যারিসও বলা হয়। আব্বু-আম্মুকে বলো। ঠিক জোগাড় করে দেবেন। এবার যে প্রাণীটির ফসিল বানাবে, তার খোলস জোগাড় করো। যেমন ধরো শামুকের খোলস নিতে পারো। বা ইচ্ছে করলে ডাইনোসর বা অন্য কোনো প্রাণীর পুতুল নিতে পারো। তাহলেও হবে কিন্তু!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার লাগবে মডেলিং ক্লে বা ছাঁচ বানানোর মাটি। একটি লম্বা দেখে পাত্র বা ছোট গামলা নিতে ভুলো না আবার। এখন শুধু লাগবে কিছু রং আর বুরুশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথমেই মডেলিং ক্লে নিয়ে রুটির মতো করে গামলার ভেতরের তলায় লাগিয়ে দাও। কমসে কম দুই সেমি পুরু হতে হবে কিন্তু! এবার শামুকটি হাতে নাও। তারপর ঠেসে ধরো সেই গামলার মডেলিং ক্লের ওপর। শামুকটি একটু দেবে যাবে। কিছুক্ষণ রেখে উঠিয়ে ফেলো। একটি গর্ত হলো, তাই তো! গর্তটি হচ্ছে শামুকের ছাপ! জানো! লাখ লাখ বছর আছে ডাইনোসরও এমন নরম কাদামাটির ওপর পা ফেলত। তখন কাদার ওপর থেকে যেত পায়ের ছাপসহ গর্ত। আর সেই গর্তেই খনিজ পদার্থ জমতে জমতে তৈরি হতো ফসিল! বেশ মজার না ব্যাপারটা!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবার দুটি কাপ নাও। এক কাপ পরিমাণ পানি নাও। আরেক কাপে সাদা সিমেন্ট। পানি আর সিমেন্ট, দুটোই হতে হবে সমানে সমান। এবার পানি আর সিমেন্ট একসঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে ফেলো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিমেন্টের মিশ্রণটি এবার সেই গামলায় শামুক দিয়ে করা গর্তে ঢেলে দাও। গর্ত ভরে গেলেও ঢালতে থাকো। যেন গামলার চারদিকে সিমেন্টের পুরু একটা আস্তরণ পড়ে। এবার রেখে দাও ১২ ঘণ্টা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টিক টিক করে ১২ ঘণ্টা হলে আর ভয় নেই! তোমার ফসিল তৈরি হয়ে গেছে! সাদা সিমেন্ট ততক্ষণে জমে শক্ত চাকতি হয়ে গেছে! গামলার মডেলিং ক্লে থেকে চাকতিটি আলাদা করে ফেলো। নিজে না পারলে বড়দের সাহায্য নাও।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাকতিটি আলাদা হলেই দেখবে, ওর মাঝখানে রয়েছে সেই শামুকের ফসিলটি! এবার কী করবে বলো তো! আসল ফসিলের যেমন রং হয়, বুরুশ দিয়ে তেমন রং করে দেবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল শামুকের একটি নমুনা ফসিল! বালু বা মাটির নিচে তোমার ফসিলটি লুকাও। তারপর খুঁড়ে খুঁড়ে খুঁজে বের করো। কয়েকজন মিলে অভিনয় করো, যেন তোমরাও আবিষ্কার করছ নতুন কোনো প্রাণীর ফসিল! যেমনিভাবে আবিষ্কার করেন গবেষকরা!</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাহির জামিল </span></span></span></span></p>