ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর

জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। তার জামিন আবেদনটি তিন মাস পর শুনানির জন্য আসবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। এর মধ্যে দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দিতে বলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে জেসমিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।

এর আগে ২০২২ সালে জেসমিন ইসলামকে এই মামলায় জামিন না মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তাকে রুল মঞ্জুর করে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। একই বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর জেসমিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন।

পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত রুল জারি করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে হাইকোর্টের ১৩ বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে হাইকোর্টের ১৩ বিচারপতি
সংগৃহীত ছবি

দেশের আট বিভাগে অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের বিচারপতিদের দিয়ে ১৩টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচার শাখার রেজিস্ট্রার মোম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন গত ১০ এপ্রিল এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বিজ্ঞপ্তিটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

দ্য সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ (হাইকোর্ট ডিভিশন রুলস), ১৯৭৩ অনুযায়ী অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণের জন্য এই কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

পর্যবেক্ষণ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১৩ জন কর্মকর্তাকে যুক্ত রাখা হয়েছে কমিটিগুলোতে। 

কমিটির দায়িত্বে আছেন যারা

জ্যেষ্ঠতা অনুসারে বিচারপতিদের নামের পাশে বিভাগ এবং জেলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সে অনুসারে প্রথমেই আছেন- বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি। তাকে রাজশাহী-২ এর বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ জেলার আদালত পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের (বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি জে বি এম হাসানকে। ঢাকা-১ বিভাগের (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল) দায়িত্বে আছেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী।

খুলনা-১ বিভাগের (খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও নড়াইল) আদালত পর্যবেক্ষণ করবেন বিচারপতি মাহমুদুল হক। আর খুলনা-২ বিভাগে (কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা) দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি মো. জাফর আহমেদ।

একইভাবে ময়মনসিংহ বিভাগের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা) দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি রাজিক আল জলিল। 

ঢাকা-২ বিভাগে (কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি ফাতেমা নজীবকে। চট্টগ্রাম-১ বিভাগে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানকে এবং রংপুর-১ বিভাগে (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারকে। 

চট্টগ্রাম-২ বিভাগের (নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর) দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল, রাজশাহী-১ বিভাগের (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর) দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর। রংপুর-২ বিভাগের (দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী) দায়িত্ব পেয়েছে বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম এবং
সিলেট বিভাগের (সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ) দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ।

অধস্তন আদালত পর্যবেক্ষণের জন্য ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ৮ বিভাগে আটজন বিচারপতিকে দিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছর সেপ্টেম্বরে দেশের ৮ বিভাগে ১৩টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের সাতমাস পর আবার কমিটি গঠন করা হলো।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিচারক সংকট নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচারক সংকট নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিদ্যমান বিচারক সংকট থাকবে না। লজিস্টিক সমস্যারও সমাধান করা হবে।

আজ শনিবার বান্দরবানের চীফ জুডিশিয়াল আদালতের অধিগ্রহণকৃত জায়গা পরিদর্শন শেষে আইন উপদেষ্টা আজ এ কথা বলেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জামিউল  হায়দার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের জেলা দায়রা জজ বেগম জেবুন্নাহার আয়শা, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবালসহ বিচার বিভাগীয় অন্যান্য কর্মকর্তা।

 

উপদেষ্টা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বান্দরবান জেলার অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিচারক সংকট আছে, লজিস্টিক সমস্যাও আছে। অল্পদিন হলো আসছি। নিয়োগ দিতেও সময় লাগে।

বিচারক সংকট থাকবে না। আমরা সরকারে থাকতে থাকতে সমস্যাটা মোকাবিলা করে যাব।’

তিনি আরো বলেন, ‘পারিবারিক আদালতের মামলাগুলো সালিশে দিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টি এখন চিন্তার পর্যায়ে আছে। সিদ্ধান্ত হয়নি।

সালিশ না হলে তখন কোর্টে আসবে। এর ফলে কোর্টের ওপর চাপ কমবে।’

মতবিনিময় সভা শেষে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বান্দরবান জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

দাবিগুলো হলো- বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় করত অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মকর্তা কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান করা ।

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন, বান্দরবান জেলা শাখার উপদেষ্টা সামির হোসাইন, সভাপতি মো. কামরুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।


 

মন্তব্য

রিমান্ড শেষে তুরিন আফরোজ কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রিমান্ড শেষে তুরিন আফরোজ কারাগারে
সংগৃহীত ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় রিমান্ড শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত এ আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। 

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সুমন মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন, থাকছেন দিনার-বিজরী

বৈশাখের বিশেষ পাঁচফোড়ন, থাকছেন দিনার-বিজরী

 

 

এর আগে গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন ৮ এপ্রিল তার এ মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট দুপুর ১২ টার দিকে আ. জব্বার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা মামলাটি দায়ের করেন।

এ মামলার এজাহারনামীয় ৩০ নম্বর আসামি তুরিন আফরোজ।
 

মন্তব্য

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : প্রধান বিচারপতি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবোত্তর দেশের বিচার বিভাগ নতুন যাত্রা শুরু করেছে এবং জনগণ বিচার বিভাগের ওপর তাদের হারানো আস্থা ফিরে পাবে।

শনিবার সকালে খুলনার হোটেল সিটি ইন-এর কনফারেন্স রুমে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রসঙ্গ এবং তার ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতির তুলে ধরেন। বিশেষ করে তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপের বিভিন্ন অনুষঙ্গের সফল বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয়তার কারণেই দ্রুততম সময়ে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে।

আর বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপের সফল বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

বিশেষ করে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধান বিচারপতি।

সেমিনারে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় বিভিন্ন স্তরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারকের পদ তৈরি হয়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে মামলাজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ 

এছাড়া, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

আর কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট দ্রুত চালুর বিষয়ে দু’টো বিশেষ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি।

দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারগুলো থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে এবং সেমিনারগুলোর মতামতসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে অচিরেই বিচার বিভাগের সার্বিক আধুনিকায়নে একটি স্ট্রাটেজিক প্ল্যান তৈরির কাজ শুরু করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিচার বিভাগের আধুনিকায়নের জন্য স্ট্রাটেজিক প্লানের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জুলাই বিল্পবোত্তর বিচার বিভাগ যে নতুন যাত্রা শুরু করেছে তার পূর্ণতা পাবে এবং জনগণ বিচার বিভাগের ওপর তাদের হারানো আস্থা ফিরে পাবে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতায় ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপকে যুগোপযোগী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস।

সেমিনারে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সেমিনারে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ