ঢাকা, রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬

দণ্ডের আগে দেড় লিটার পানি পান করেন সাবেক এমপি মিজান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দণ্ডের আগে দেড় লিটার পানি পান করেন সাবেক এমপি মিজান
ছবি: কালের কণ্ঠ

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানের পৃথক দুই ধারায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে উভয় ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বিধায় তার পাঁচ বছরের সাজাভোগ করতে হবে। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। এ দণ্ডের আগে তিন ঘণ্টায় তিনি দেড় লিটার পানি পান করেন তিনি।

এ সময় তিনি কফি ও বরই খেয়েছেন। 

এদিন কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তাকে আদালতের ভেতরের বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়।

তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় তিনি কফি ও হাফ লিটার পানি পান করেন। পরে সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। তখন পুলিশ তাকে কাঠগড়ায় উঠতে বলেন।
 

তার উত্তরে তিনি বলেন, আগে মামলা ডাকুক; তারপর কাঠগড়ায় উঠব৷ এরপর তিনি সেখানে বসেই থাকেন। এরপর শুরু হয় আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। তখন রায়ের অপেক্ষায় বসে থেকে তিনি আরো দুই লিটার বোতলের পানি পান করা শুরু করেন। সেই বোতলের অর্ধেক পানি তিনি পান করেন। এ সময় তাকে বরই খেতে দেওয়া হয়।

অন্যান্য মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে তাকে বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে কাঠগড়ায় তোলা হয়। পরে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাস কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৭(১) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজা  টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। উভয় দণ্ড একত্রে চলবে। জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত এক কোটি ৪৪ লাখ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৮৯ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। 

অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার বিচার চলাকালীন ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। 

গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন

পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আসামির দাবি শেখ পরিবারের রোষানলে তাকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে মাইনাস করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন, তার বিরুদ্ধে মাত্র এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছি। এ সাজার বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উত্তরায় প্রকাশ্যে দুজনকে কোপানোর ঘটনায় তিনজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
উত্তরায় প্রকাশ্যে দুজনকে কোপানোর ঘটনায় তিনজন কারাগারে
উত্তরায় দুজনকে কোপায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া

ঢাকার উত্তরায় প্রকাশ্যে দুজনকে কোপানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিনের আদালত তাদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন মো. আলফাজ মিয়া শিশির, সজীব ও মেহেদী হাসান সাইফ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ দিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দ্বীন ইসলাম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা গত সোমবার রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে উচ্চশব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছিল।

এ সময় রিকশা থেকে মকবুল ও তার স্ত্রী নাসরিন আকতার ইপ্তি প্রতিবাদ করেন।

এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জনকে একসঙ্গে জড়ো করেন। এরপর তাদেরকে প্রকাশ্যে কোপায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার পর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা ও জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত দুই যুবক একজন ভুক্তভোগী পুরুষ ও তার সঙ্গে থাকা এক নারী পথচারীকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। এ সময় জীবন বাঁচাতে ওই নারীকে হাত জোড় করে সন্ত্রাসীদের কাছে মাফ চাইতে দেখা গেছে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা।

পরে এ মামলায় ১৮ ফেব্রুয়ারি মোবারক হোসেন ও রবি রয়কে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’: অস্ত্র মামলায় পাঁচজন রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’: অস্ত্র মামলায় পাঁচজন রিমান্ডে
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’র ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. মিরাজ (২৫), আল আমিন (২৪), মোহাম্মদ হোসেন (২৩), মোমিনুল (২০) ও মেহেদি হাসান (১৯)। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর তাদের এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে. গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর চাঁদ উদ্যানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ‘গোলাগুলি’র সময় দুই ব্যক্তি নিহত হন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন জুম্মন (২৫) ও মিরাজ হোসেন (২৬)।

এ সময় অস্ত্র-গুলিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

মামলায় বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে যৌথ বাহিনী চাঁদ উদ্যান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় একতলা একটি বাড়ির টিনের চালার ওপর থেকে সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।

আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনী পাল্টা গুলি চালায়। পরে বাড়িটি তল্লাশি চালিয়ে টিনের চালার ওপর থেকে জুম্মন ও মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চাঁদ উদ্যানের বাড়িটি থেকে একটি পিস্তল, চারটি গুলি, একটি চাপাতিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যান। এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।

মন্তব্য

রিমান্ড শেষে কারাগারে হাসিনার সামরিক সচিব মিয়াজী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
রিমান্ড শেষে কারাগারে হাসিনার সামরিক সচিব মিয়াজী
ছবি : কালের কণ্ঠ

শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন

বরখাস্ত হচ্ছেন শেকৃবির ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

বরখাস্ত হচ্ছেন শেকৃবির ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী

 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ঝিনাইদহ সদর থানা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে নেওয়া হয় তাকে। পরে সেখান থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তাকে।

সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

আরো পড়ুন

গভীর রাতে শহীদ মিনার ভাঙচুর, নিন্দার ঝড়

গভীর রাতে শহীদ মিনার ভাঙচুর, নিন্দার ঝড়

 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন মিয়াজী। এর আগে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মন্তব্য

চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার বিষয়ে রায় ২৫ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার বিষয়ে রায় ২৫ ফেব্রুয়ারি
ফাইল ছবি

দেড় যুগ আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা চাকরিতে ফিরতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

এসংক্রান্ত আপিল ও পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের এই তারিখ দেন।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

 

আদালতে আপিলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। আর রিভিউ আবেদনে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘চাকরিচ্যুত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা চাকরিতে ফিরতে পারবেন কিনা, তা ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করলে জানা যাবে।’

আইনজীবীদের তথ্য মতে, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়ার পর ওই বছর ৩ সেপ্টেম্বর ৮৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ৮৫ জন চাকরি ফিরে পেতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রশাসিনক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
গ্রেপ্তার হতে নিজেই আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির

গ্রেপ্তার হতে নিজেই আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির

 

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চারটি আলাদা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার আদালত আবেদন চারটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। পরে ২০১১ সালে সরকারপক্ষ আপিল করে। এসব আপিল মঞ্জুর করে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন আপিল বিভাগ। এই রায়ে ৮৫ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২৩ সালে আবেদন পাঁচটি আলাদা আবেদন করেন চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। এসব রিভিউ আবেদনের মধ্যে একটি রিভিউ আবেদনে শুনানির পর আপিল বিভাগ গত বছরের ৬ নভেম্বর আগের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন। এই আপিল ও আগের আরও চারটি রিভিউ আবেদনে শুনানির পর আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ