ঢাকা, বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫
১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬

মাগুরার শেখর ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মাগুরার শেখর ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সংগৃহীত ছবি

মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর ও তার স্ত্রী সিমা রহমানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন

দেশজুড়ে তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

দেশজুড়ে তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

 

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার মোল‍্যা নজরুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ও বিবিএসের প্রশ্নফাঁসের হোতা সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের স্ত্রী শাহরিন আক্তার শিল্পী।

আরো পড়ুন

কালিয়াকৈরে শ্রমিক আন্দোলনে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১০

কালিয়াকৈরে শ্রমিক আন্দোলনে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১০

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে পৃথক চারটি আবেদন করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধান চলমান থাকায় এ আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হাছান মাহমুদ-নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাছান মাহমুদ-নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থী ওয়াসিমসহ কয়েকজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেল এ আদেশ দেন।

প্যানেলের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানি শেষে এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালে চট্টগ্রামের বিষয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট এবং অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করার জন্য দুটি আবেদনের ছিল আমাদের।

চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলন চলাকালীন যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, এর সিংহভাগেই সম্পৃক্ত ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তিনি জানান, তদন্ত সংস্থা মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবরের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।  
 

মন্তব্য

আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না : চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘যারা চিফ প্রসিকিউটরের পদ থেকে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন, হয় তারা সেটি না বুঝে করেছেন, নয় কোনো একটি বিশেষ মহল তাদের উসকানি দিচ্ছে।’

জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির দাবি নিয়ে সোমবার (২৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভ করেন শহীদ পরিবারের স্বজনরা। সেই বিক্ষোভ থেকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের আদেশ নিয়ে ব্রিফ করার সময় শহীদ পরিবারের স্বজনদের দাবির বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের প্রতিক্রিয়া জানতে চান এক সংবাদিক।

তখন তাজুল ইসলাম ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ আছে, তাই একটি বিশেষ মহল উসকানি দিয়ে তাদের আদালতের সামনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের মামলার তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, চিফ প্রসিকিউটর একজন আইনজীবী। চিফ প্রসিকিউটরের ক্ষমতা, দায়িত্ব আইন দ্বারা নির্ধারিত।

আমাদের কাছে (প্রসিকিউশনে) তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) দিলে চিফ প্রসিকিউটরের কাজ শুরু হয়। তদন্ত করার কাজ সম্পূর্ণভাবে তদন্ত সংস্থার। যে কারণে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত চিফ প্রসিকিউটর তাড়াতাড়ি করে মামলা শুনানি করতে পারেন না। প্রথমে তদন্ত শেষ হতে হবে, এরপর চিফ প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত রিপোর্ট আসবে, চিফ প্রসিকিউটর ওইটার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করবেন, এরপর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।
চার-পাঁচটা মামলার তদন্তকাজ শেষ হয়েছে, রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আসেনি। এখানে চিফ প্রসিকিউটরের কিছু করার নেই। যারা চিফ প্রসিকিউটরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, হয় তারা না বুঝে বলছেন, নয় কোনো একটি বিশেষ মহল তাদের উসকানি দিচ্ছে।’

‘আমরা শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা তাদের স্বজনদের হারিয়েছেন।

তারা দ্রুত বিচার চাইবেন, এ ব্যপারে কোনো আপত্তি নেই। দ্বিমত করারও কোনো কারণ নাই। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, এই বিচারটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হতে হবে। এটা (ট্রাইব্যুনাল) মোবাইল কোর্ট না যে, আমি বললাম আসামি অমুক, আর তাকে ধরে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেব। এটার সুযোগ এখানে নেই। যেহেতু শহীদ পরিবারের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ তাদের আছে, তারা (একটি বিশেষ মহল) উসকে দিয়ে আদালতের সামনে (শহীদ পরিবারের স্বজনদের) নিয়ে এসেছেন। আমি মনে করি, এটা উচিত হয়নি। কারণ আদালতের সামনে মিছিল করে বিচার করা যায় না। তদন্ত সংস্থা যদি কাজ না করে, সরকারের কাজে যদি ধীরগতি থাকে, তাহলে সরকারের কাছে তারা দাবি জানাতে পারেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের সামনে এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা শোভনীয় নয়। আমরা অনুরোধ করব, এটা বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার একটা প্রচেষ্টা হবে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কোথাও এটা ভালভাবে দেখা হবে না।’ -বলেন তাজুল ইসলাম।

শহীদ পারিবারগুলো তদন্ত কাজে সহযোগিতা করছে না বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) যে দুই-তিনজন শহীদ পরিবার ছিলেন (ট্রাইব্যুনালের সামনে বিক্ষোভে), তাদের প্রত্যেককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করেছি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন। হয়তো কেউ তাদের উসকানি দিচ্ছে। তা ছাড়া এরকম হওয়ার কোনো কারণ নেই। শহীদ পরিবারের অনেকেই আছেন, যাদের তদন্ত সংস্থায় গিয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত সংস্থাকে তারা কেউ সহযোগিতা করেন না। বক্তব্যও রেকর্ড করবে না। কোনো তথ্য-প্রমাণাদি দেবে না। শুধু বলবে আসামিদের ফাঁসি দাও। চৌদ্দ শ শহীদ পরিবারের মধ্যে এক-দেড় শ শহীদ পারিবারও তো আমাদের কাছে আসেনি। বাকি শহীদ পরিবারগুলো যদি এগিয়ে না আসে, তাহলে তদন্তে সময় লাগবে। আর তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে চিফ প্রসিকিউটর কিছু করতে পারবেন না। তদন্ত প্রতিবেদন এসে গেছে, আদালতে কোনো কারণ ছাড়া আমি সময় নিচ্ছি, শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছি, তাহলে বলা যাবে প্রসিকিউশন টিম এর জন্য দায়ী।’

আগামীতে ট্রাইব্যুনালের সামনে এ ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন না করার আহ্বান জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আর বিচারের জন্য ভিকটিম ও শহীদ পরিবারের স্বজনদের সহযোগিতা চান তিনি।

মন্তব্য

মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সংগৃহীত ছবি

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা দেন। 

ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের সাবেক দুই মেয়র আ জ ম নাসির ও রেজাউল করিম এবং তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নাম জানা গেছে।

 

আরো পড়ুন
মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজীরহাট নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ

মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজীরহাট নৌ রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ

 

চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকার শফিউল আলমের দ্বিতীয় সন্তান। ওয়াসিম পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। গত বছর ১৬ জুলাই মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।

সংঘর্ষ চলার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওয়াসিম আকরামের। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলেনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত বছর ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন ওয়াসিমের মা জোসনা। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলসহ ১০৮ জনকে আসামি করা হয়। 

আরেক আদেশে ট্রাইব্যুনাল আনসার সদস্য ওমর ফারুককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সরকার পতনের আন্দোলনের সময় রাজধানীর মোহাম্মাদপুরে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় হওয়া মামলায় ওমর ফারুককে হাজির করা হলে এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার, গাজী এম এইচ তামিম, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ও মইনুল করিম। আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্তব্য

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বরকত উল্লাহ বুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বরকত উল্লাহ বুলু
সংগৃহীত ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত সূত্র বলছে, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এদিন ধার্য ছিল।

এজন্য বরকত উল্লাহ বুলু আদালতে হাজির হন। পরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে তার আইনজীবী তাকে নির্দোষ দাবি করে বেকসুর খালাস প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

আরো পড়ুন
দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়ার ভাই

দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়ার ভাই

 

পরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন আদালত। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরকত উল্লাহ, স্ত্রী মিসেস শামীমা আক্তার এবং ছেলে ওমর শরীফ মো. ইমরান (সানিয়াত) এর বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন সহকারি পরিচালক মনজুর আলম রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।

আরো পড়ুন
নওগাঁয় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি বুলু গ্রেপ্তার

নওগাঁয় উপজেলা আ. লীগের সভাপতি বুলু গ্রেপ্তার

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসাধুপায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত চার কোটি ৮৯ লাখ ৬১ হাজার ২১১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জ করেন। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিন কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ১১৭ টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।

মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ আগস্ট আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা মনজুর আলম। 

পরে উচ্চ আদালত বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী ও ছেলের মামলা বাতিল করেন। বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে আনা ৫৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার বিচার চলে। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে আদালত ৬৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ