<p style="text-align:justify">ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ‘অতীতে নাগরিক অধিকার ভূলণ্ঠিত হওয়ায় দেশের মানুষের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এর আগেও একই কারণে ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজনের দুঃসাহস দেখিয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">বুধবার (৮ জানুয়ারি) জামেয়া কারিমিয়া আরাবিয়া রামপুরা ঢাকা ও জামিয়া সাঈদিয়া কারিমিয়া ভাটারা ঢাকার পৃথক দুটি খতমে বোখারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বোরকা পরে ধরা পড়া ব্যক্তি কি শিবির নেতা?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/08/1736335300-e0da419712736c80dd38024d8dfeca6c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বোরকা পরে ধরা পড়া ব্যক্তি কি শিবির নেতা?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/01/08/1466489" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা হচ্ছে, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে দেশে যাতে আর কেউ নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে। নতুন করে পেশিশক্তি দিয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন করে পার পাওয়া তো দূরের কথা সাহসও যাতে না পায় তেমন সংস্কার জনগণ চায়।’ </p> <p style="text-align:justify">ফয়জুল করীম বলেন, ‘এক সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কথায় প্রশাসন পরিচালিত হতো, এখন কারো কথায় প্রশাসন চলুক এটা জনগণ চায় না। বর্তমানে কোনো কোনো এলাকায় একটি দলের কথায় প্রশাসন কাজ করার কথা শোনা যাচ্ছে- এটা প্রত্যাশিত নয়।’ </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে তবে দেশে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যাবে। এ জন্য দ্রুত সময়ে সচিবালয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করানো যখন পুরোপুরি সম্ভব হবে, তখন জনগণ অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী হবে। কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়ার আশা করতে পারবে।’</p> <p style="text-align:justify">এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মকবুল হোসেন ও আলহাজ আবু সাঈদ প্রমুখ।</p>