<p style="text-align:justify">গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসানকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তাকে দেখতে যান বিএনপির এ নেতা।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া ফারুককে দেখতে যান ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফারুক হাসানের ওপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়, আরো নিন্দনীয় আসামিদের জামিন পাওয়া। ঘটনার পেছনে কারা আছে, সরকারের উচিত তদন্ত করে দেখা। ফারুক হাসানের প্রতি দলের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।’</p> <p style="text-align:justify">গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘হাসিনার আমলে আমরা হামলার শিকার হয়েছি, বিচার পাইনি। এখনো যদি হামলার শিকার হই, বিচার না পাই, তাহলে কোথায় পরিবর্তন হলো? আমরা এই ঘটনায় সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও শারমিন মুর্শিদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পেয়েছি।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘কিন্তু এর পরও আসামিদের জামিন করাল কারা? তারা কি সরকারের থেকেও শক্তিশালী? তিনি কিভাবে, কোন গ্রাউন্ডে জামিন অযোগ্য মামলায় অপরাধীদের জামিন দিলেন? আসামিরা কতটা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত যে জামিনের পর দুধ দিয়ে গোসল করেছে। ঘটনার পেছনের রহস্য উদঘাটন করার আগেই আসামিদের জামিন প্রমাণ করে বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়নি। হাসিনার আমলের মতো সব কিছু চলছে।’</p> <p style="text-align:justify">১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমরা গণ অধিকার পরিষদের সাথে আছি। ফারুক হাসান আমাদের সহযোদ্ধা, হাসিনার পতনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। তার ওপর হামলার বিচার না হওয়া দুঃখজনক।’</p> <p style="text-align:justify">এ সময় ফারুক হাসান বলেন, ‘আসামিদের আমি ক্ষমা করিনি। তাহলে বিচারক কিভাবে ক্ষমা করে জামিন দিলেন? আমি আসামিদের গ্রেপ্তার দাবি করছি। আমার পায়ের লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি হাসপাতালে, আর ওরা কিভাবে জামিনে মুক্ত?’</p>