<p style="text-align:justify">প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা রক্তাক্ত জুলাইয়ে হতাহতদের সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার নিশ্চিত, ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আন্তর্জাতিক মানের পুনর্বাসন এবং গত ১৬ বছরে খুন, গুম ও আয়নাঘরের মতো ভয়ংকর নির্যাতনের ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">আজ সোমবার রাজধানীর রায়েরবাজার হাই স্কুল মিলনায়তনে ‘রক্তিম জুলাই ২৪-এর ঐতিহাসিক বিজয়ের পর তরুণদের কল্পনায় একটি নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপে এ দাবি জানান।</p> <p style="text-align:justify">মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হকের সভাপতি সংলাপে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, গণ অধিকার পরিষদের সেক্রেটারি রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ।</p> <p style="text-align:justify">সংলাপে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরে হাজারো মানুষকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। রক্তাক্ত জুলাইয়ে দুই হাজারের অধিক নিহত ও ৩০ হাজারের অধিক আহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নিম্নআয়ের তরুণ জনগোষ্ঠী। যে কারণে আপামর জনগণ প্রতিবাদী হয়ে রাজপথে নেমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘তরুণরা এমন নতুন বাংলাদেশে দেখতে চায়, যেখানে কোনো ধরনের বৈষম্য থাকবে না, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ থাকবে, কোনো ধরনের বল প্রয়োগ থাকবে না এবং যেখানে সব নাগরিক ভয়ভীতি ও বৈষম্য ছাড়াই মানবাধিকারের সুরক্ষা পাবে। এ জন্য নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাই হবে জুলাই বিপ্লবের স্বার্থকতা। আন্দোলনে তরুণরা বলেছে, লাখো শহীদের রক্তে কেনা এই দেশটা কারো বাপের না। বাংলাদেশকে সবার দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পদক্ষেপ নিতে হবে।’</p> <p style="text-align:justify">বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, ‘এখনো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হয়নি, তাদের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই এবং অনেকেই এখনো ভোটার হতে পারেনি। কেউ কেউ ভোটার হলেও ভোট দিতে পারেনি। এই বৈষম্যের অবসান চাই।’</p>