<p>আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে প্রশাসনিক কমিটি গঠন করছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।</p> <p>সভায় সভাপতিত্ব করেন জিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান।</p> <p>সভায় সভাপতি বিশ্ব ইজতেমার সুষ্ঠু ও সফল আয়োজন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন ও এ সংক্রান্ত কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।</p> <p>সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান, সকল উপ-পুলিশ কমিশনার এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অন্য কর্মকর্তাসহ সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য।</p> <p>অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান জানান, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কাজের বিভাগওয়ারি দায়িত্ব ভাগ করে দিতে তারা আলাদা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমার বিভিন্ন দিক ও কমিটির রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।</p> <p>এ বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থীরা করতে দেবে না বলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর রাতেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। নিহত হন তিনজন ও আহত হয় শতাধিক মুসল্লি। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় জুবায়েরপন্থীদের পক্ষ থেকে সাদপন্থীদের ২৯ জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলার শনাক্ত ৫ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূর, ৬ নম্বর আসামি জিয়া বিন কাসেম ও ৯ নম্বর আসামি শফিউল্লাহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।</p>