<p>হকি ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি বিজয় দিবস টুর্নামেন্ট করেছে। সামনে মেয়েদের হকি করতে যাচ্ছে তারা। এরপর শহীদ স্মৃতি হকি হবে। কিন্তু হকির মূল যে আসর, সেই লিগ নিয়ে ভাবতে গিয়ে থমকে যেতে হচ্ছে তাদের।</p> <p>কারণ জানতে ফিরে যেতে হবে সেই ২০২৩ সালে হওয়া নির্বাচনে, যে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কমিটি গঠন করেছিলেন এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। তিনি ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন এবং এরই মধ্যে তাঁর সেই কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটিও গড়া হয়েছে।</p> <p>কিন্তু সেই নির্বাচনেই দুটি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে করা মামলায় এখন প্রথম বিভাগ লিগ করতে গিয়ে আটকে যেতে হচ্ছে বর্তমান কমিটিকে। ‘প্রথম বিভাগের দুটি ক্লাব হকি ঢাকা ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ড স্পোর্টিং নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় লিগের কার্যক্রম এখনো আমরা শুরু করতে পারছি না। ফেডারেশনের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও মামলার বাদী। আমরা ক্রীড়া পরিষদকে অনুরোধ করেছি ওই দুই ক্লাবের মালিকানাসংক্রান্ত বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করে দেওয়ার জন্য’, বলেছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান।</p> <p>ওই দুটি ক্লাবেরই সভাপতি ছিলেন সাজেদ এ আদেল। তাঁর অভিযোগ ছিল, মমিনুল হক সাঈদ ভুয়া কমিটি দেখিয়ে ওই দুটি ক্লাবে তাঁর মনমতো কাউন্সিলর দেন। ওই সময়েই সাজেদ নির্বাচন কমিশনকে এসংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে গেলে সাঈদের লোকজন ক্রীড়া পরিষদ থেকে তাঁকে জোরপূর্বক বের করে দেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি হলে সাজেদ মামলা করেন। আদালত নির্বাচন কেন অবৈধ হবে না জানিয়ে রুলও জারি করেছিলেন। সর্বশেষ গত নভেম্বরে ওই দুটি ক্লাবের নাম ব্যবহার করে লিগ আয়োজনের ওপরও ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ফেডারেশন আটকে গেছে সেখানেই।</p> <p>সাজেদ বলেছেন, ‘দুটি ক্লাব আমার দুটি সন্তানের মতো। আমি আমার সেই দুটি সন্তানকে তো ফেরত চাইবই।’ এদিকে ফেডারেশন বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাজেদের দাবি মেনে নিলে আগের কাউন্সিলরশিপ অবৈধ হয়ে যায়, সেই সঙ্গে নির্বাচনও। এই মুহূর্তে যদিও সেই নির্বাচিত কমিটির আর অস্তিত্ব নেই। এদিকে আবার প্রথম বিভাগ আটকে যাওয়ায় থমকে আছে প্রিমিয়ার লিগও।</p>