<p>এম পক্সে আক্রান্ত হওয়ার দুটি ঘটনার পরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন মাংকি পক্স প্রতিহত করতে সোমবার দেশটিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। </p> <p>স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্টিন ডেম্বি রাজধানী ফ্রিটাউনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে এম পক্সে আক্রান্ত হওয়ার দুটি ঘটনার পর জনস্বাস্থ্য আইন অনুসারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিয়েরা লিওন সরকারের পক্ষ থেকে আমি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উ. কোরিয়ার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/14/1736844524-9bf4989c13221da464270f151d4201b2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উ. কোরিয়ার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/14/1468558" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্বাস্থ্যমন্ত্রী অস্টিন ডেম্বি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিয়েরা লিওন সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সিয়েরা লিওনের সঙ্গে লাইবেরিয়া এবং গিনির সীমান্ত রয়েছে। ডেম্বি নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আরো জানান, আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং এম পক্সের লক্ষণ প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। </p> <p>শরীরে এম পক্সের উপস্থিতির কারণে অতিমাত্রার জ্বর এবং ত্বকের কোথাও কোথাও অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে দুইজনের শরীরে এম পক্স ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। গত সপ্তাহে সিয়েরা লিওনে এম পক্সের উপস্থিতি প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করে।  </p> <p>১৯৭০ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে প্রথম মাংকি পক্স ধরা পড়ে এবং এই ভাইরাস আফ্রিকার কয়েকটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ  ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এমনকি উন্নত দেশেও পৌঁছে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৪ সালে এম পক্স নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঘোষণা করে।</p> <p>সিরেয়া লিওনে ২০১৪ সালে ইবোলা প্রাদুর্ভাব হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। সারা বিশ্বের মোট ১১ হাজার মৃত্যুর মধ্যে সিয়েরা লিওনেই চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এই ভাইরাসের কারণে। ওই মহামারিতে দেশটি তার ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবাকর্মী হারিয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি </p>