<p>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দাবিতে অনশন করা শিক্ষার্থীদের সাজানো ছিল বলে আখ্যায়িত করেছেন জবি ছাত্রদল নেতা রিয়াসসাল রাকিব। তিনি জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য। </p> <p>মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের তিন দফার এই আন্দোলনকে সাজানো নাটক বলে দাবি করেন তিনি। </p> <p>ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, সাংঘাতিক, তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী, চোর, বাটপাড়, দালালদের সাথে নিয়ে নাটক সাজিয়ে স্টুডেন্টদের মাঠে নামিয়ে আন্দোলন ভালোই হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল জকসু ইলেকশনের জন্য নিজেদের ফেস ফোকাস করা। আমরা ধৈর্য সহকারে সব কিছু <br /> অবজার্ভ করেছি। আমরা কোনো ক্রেডিট নেওয়ার জন্য আন্দোলনে আসিনি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে মাইনাস করেই সব কিছু করা হয়েছে। তবুও আমরা পাশে ছিলাম। </p> <p>তিনি লেখেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে ধোঁয়া দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে আগামীতে এ ধরনের মুনাফিক মার্কা আন্দোলনের স্বপ্ন দেইখেন না। আর ভুলেও নেতৃত্ব দেওয়ার চিন্তা কইরেন না। মুনাফিকদের সহযোগিতা করা, পা চাটা গুটি কয়েক মুনাফিক শিক্ষকের জন্যও একই বার্তা।</p> <p>এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রিয়াসাল রাকিব বলেন, এই আন্দোলনে শুরু থেকে ছাত্রদল পাশে ছিল। কিন্তু শেষে যারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে, তারাও একটি ছাত্রসংগঠনের। তারা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। রাকিবকে আমি চিনি, সে একটা সংগঠনের সভাপতি। আর শিবিরের ছিল দুইজন প্রতিনিধি। কিন্তু একটা আন্দোলনে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ছাত্রদলের কাউকে ডাকা হয়নি। এরা দুইজন সিন্ডিকেট করে বলে দিল, দুই দিন ক্লাস-পরীক্ষা নেই, তাহলে হয়ে গেল? পেছন থেকে কারা এসব কলকাঠি নাড়ছেন, এসব আমরা তো বুঝি। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করতেছে?</p> <p>উল্লেখ্য, এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মামলা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে পরদিনই কোর্ট থেকে হলফনামা দিয়ে নিজ জিম্মায় জামিনে মুক্ত করেন এই নেতা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পিচ্চি হেলাল-ইমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : ডিবি প্রধান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/14/1736842549-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পিচ্চি হেলাল-ইমন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : ডিবি প্রধান</p> </div> </div> </div> </div> </div> <p>এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার বিকেল ৫টায় সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় দাবি মেনে নেওয়ার মন্ত্রণালয়ের লিখিত আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা। </p>