<p>চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি-যুবদল নেতার অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।</p> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন মিরসরাই পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান (৩৭), নাজমুস সাকিব মারুফ (২২), শাহ আলম (৪৭), আরমান (২৬)। সংঘর্ষের পর থেকে বাণিজ্য মেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।</p> <p>সোমবার বিএনপি-যুবদলের সংঘর্ষে মিরসরাই পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন মুন্না (২২) মারা যান। নিহতের ঘটনায় রাতেই মামলা করেন জাহেদ হোসেন মুন্নার ভগ্নিপতি আরাফাত হোসেন। </p> <p>স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর মিরসরাই স্টেডিয়ামে চলা মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারীদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কামরুলের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদের অনুসারীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় ১০ জন আহত হন। </p> <p>মুন্না মিরসরাই পৌরসভা বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদ হুসাইনের অনুসারী। জাহিদ হুসাইন ও কামরুল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের অনুসারী।</p> <p>মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহতের ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে কামরুলসহ চারজন গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।</p>