<p>ময়মনসিংহের গৌরীপুরে লাইসেন্স ছাড়াই প্রায় ১৭টি ইটভাটা চলছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুনন্দা সরকার প্রমা। জরিমানার পরও ইটভাটার কার্যক্রম চলে।</p> <p>সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ সময় বৈধ কাগজপত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াও নিয়মনীতি না মানায় এসএস ব্রিকসকে দুই লাখ, ভুইয়া ব্রিকসকে দুই লাখ, শামছু ব্রিকসকে তিন লাখ, এনজিএম ব্রিকসকে তিন লাখ, চাচা-ভাতিজা ব্রিকসকে তিন লাখ ও একতা ব্রিকসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। </p> <p>গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের শামছু ব্রিকসের মালিক মো. নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি তো মাত্র শুরু করেছি। একটা ভয় ছিল। কিন্তু আজকে অনর্থক তিন লাখ টাকা জরিমানা করছে। এখন মনে হচ্ছে, ‘এইডাই একটা লাইসেন্স, অহন দেদারসে চালাইয়াম।’ </p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জরিমানার পরও ওই সব ইটভাটার কার্যক্রম চলে।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, এই জরিমানা প্রায়ই দেখা যায়, কাজের কাজ কিছুই হয় না। ভাটার প্রভাবশালী মালিকরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইটভাটার কাজকর্ম চালিয়ে যান।</p> <p>সুনন্দা সরকার প্রমা কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এই জরিমানা করেন। একদিকে জরিমানা, অন্যদিকে সব কার্যক্রম চলমান থাকে তাহলে জরিমানা করে লাভ কী? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ শেষ করেছি এখন জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর দেখবে। কিন্তু পর্যায়ক্রমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’</p> <p>ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রোকন মিয়া বলেন, ‘আমি তো প্রসিকিউশন দিয়ে আসছি। এরপর কার্যক্রম চললে আমার কী করণীয়। এই বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে জিগান।’ আপনি তো পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ছিলেন আপনার দায়িত্ব কী, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ভাই, আমি তো জুনিয়র মানুষ; বড়দের কাছে জিজ্ঞেস করেন।’</p> <p>গৌরীপুর উপলোর নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাজ্জাতুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, জরিমানার পরও ইটভাটা কেনো চলবে এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে জানতে চাওয়া হবে।</p>