‘রাজনীতির আগেও আমার পরিচয়, আমি একজন মুসলমান’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘রাজনীতির আগেও আমার পরিচয়, আমি একজন মুসলমান’

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পাটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাজনীতির আগেও আমার পরিচয়, আমি একজন মুসলমান। আমি আমার এই পরিচয় ধারণ করি, সবসময় করেই যাবো।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এই কথা বলেন। 

হাসনাত বলেন, আমার বিশ্বাসকে কিংবা আমার দেশের মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করে কোনো রাজনীতি আমি কখনো করব না।

স্পষ্ট কণ্ঠে জানিয়ে দিতে চাই, ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছুই আমার বা আমাদের রাজনীতিতে কখনো জায়গা পাবে না। 

আরো পড়ুন
দায়িত্ব পেয়েই ৪ বিভাগের জন্য যে বার্তা হাসনাতের

দায়িত্ব পেয়েই ৪ বিভাগের জন্য যে বার্তা হাসনাতের

 

তিনি বলেন, যা হয়েছে, সেটা ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমরা নির্ভুল নই। কোনো ভুল করলে আপনারা আমাদের নিজের ভাই মনে করে ভুল ধরিয়ে দেবেন, এবং 'যদি', ‘কিন্তু’, 'অথবা' ব্যতিত আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করে নিব।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আ. লীগ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে রিপোর্ট করিয়েছে : রিজভী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগ মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে রিপোর্ট করিয়েছে : রিজভী
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পরাজিত শক্তি আওয়ামী লীগ নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। তারা হাজার হাজার কোটি অবৈধ টাকার মালিক। তারা সেই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে।

বুধবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদের উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করছে, কথা বলতে পারছে। শেখ হাসিনার আমলে কেউ স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি। 

আরো পড়ুন
বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে : এ্যানি

বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে : এ্যানি

 

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অপতথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা।

শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে যে নাটক করেছেন সেটা তিনি বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন। এটা ক্ষমতায় টিকে থাকতে তার রাজনৈতিক কৌশল ছিল। একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও তা ওঠে এসেছে।

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে যেভাবে মুগ্ধ-ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনো বক্তব্যে অনুতপ্ততা নেই।

অস্থিরতা তৈরি করতে দেশকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রশাসনের চারদিকে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে : এ্যানি
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে গভীর চক্রান্ত চলছে, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র ও বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে, যেন ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে। এই চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল নেতাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’

আজ বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে ক্যাম্পাস মাঠে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে : জামায়াতের আমির

আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে : জামায়াতের আমির

 

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘তারেক রহমানের হাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য যে যেখানে আছি সেখান থেকে আমাদের লক্ষ্য ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে আসতে হবে।

তার নেতৃত্বে এ দেশে স্থায়ী ও সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের দাবি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই এ দেশে একটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যেখানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম স্বৈরাচার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে।

সেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই হুমকির মুখে না পড়ে। আমরা সচেতন ও সজাগ রয়েছি। তা ধরে রাখতে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদলের নেতাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।’

আরো পড়ুন
শহীদ কাউসারের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপি নেতারা

শহীদ কাউসারের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপি নেতারা

 

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য প্রদান করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম হুমায়ুন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল খালেদ, বর্তমান আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান ওভি ও সদস্যসচিব মাঈনুল হাসান শাওন প্রমুখ।

মন্তব্য

নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা কখনো বলিনি, আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। এটি মিথ্যা ও ভ্রান্ত ধারণা। এটাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

বুধবার (২ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

‘ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচনের কথা বলে এসেছি আমরা। নির্বাচনব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার করেই আমরা নির্বাচনের কথা বলে আসছি। আমরা কখনো বলিনি আগে নির্বাচন পরে সংস্কার। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার, তা করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচারী হয়ে উঠলে তাদের অবস্থা আওয়ামী লীগের মতোই হবে। স্বৈরাচারী হলে জনগণই তাদের ক্ষমতা থেকে বের করে দেয়। গণতন্ত্রই সর্বোত্তম ব্যবস্থা।’

গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো ভিন্নমত থাকবে।

প্রতিটি রাজনৈতিক দলের যদি একই মত থাকে, তাহলে তো একই হয়ে গেল। একেক  দলের একেক মত থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। জনগণ বেছে নেবে কোনটি তাদের জন্য উপযোগী। এ কারণেই তো নির্বাচন। নির্বাচন কেন? আমি আমার ম্যানুফ্যাকচার নিয়ে জনগণের কাছে যাব, আমি যে কাজগুলো করতে চাই, আমার বিভিন্ন পলিসি নিয়ে আমি জনগণের কাছে যাব, দিস ইজ মাই পলিসি, আপনারা আমাকে ভোট দিয়েন।
অন্য দলগুলো তাদের পলিসি নিয়ে যাবে। যেখানে জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই সরকার গঠন করবে, তারাই পার্লামেন্ট গঠন করবে। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্র।

আমরা বলছি যে একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের জন্য যে ন্যূনতম সংস্কারগুলো করা দরকার, সেগুলো করতে হবে। যেমন নির্বাচনব্যবস্থা-কেন্দ্রিক যে সংস্কার। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা, এটা করতে হবে। দুই নম্বরে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা, তিন নম্বরে জুডিশিয়াল রিফর্ম (বিচার বিভাগীয় সংস্কার)। এই তিনটি একেবারে মাস্ট করতে হবে। সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সেই ছয়টি কমিশনের মধ্যে বেসিক ইম্পরট্যান্ট এই তিনটি। এই তিনটি তো আমরা করতে বলেছি। এবং ইতোমধ্যে আপনারা জানেন, সরকারের প্রত্যেকটা সংস্কারের প্রস্তাবের বিষয়ে আমরা কিন্তু প্রত্যেকটাই ক্লোজবাই ক্লোজ জবাব দিয়েছি এবং উত্তর দিয়েছি এবং তাদেরকে (সংস্কার কমিশনকে) অনুরোধ করেছি, এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে। 

আমরা যে বিষয়ে জোর দিচ্ছি, যে জিনিসটা বুঝতে অনেকে অক্ষম হচ্ছে। বিএনপি কখনোই এ কথা বলেনি যে আগে নির্বাচন, আর তারপরে সংস্কার। এটা যদি কেউ বলে থাকে, তাহলে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

আমরা বলছি, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম যে সংস্কারগুলো করা দরকার, সেটা করতে হবে। আপনারা একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছেন কেন? 

সংস্কারের দাবি তো আমাদের। বিএনপির দেওয়া ৩১ দফার একটি হলো নির্বাচনীব্যবস্থার সংস্কার। ২০১৬ সালে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন প্রথম। সেই ভিশন ২০৩০-এ আমরা আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থার যে পরিবর্তনগুলো করা দরকার, সে কথাগুলো আমরা তখনই বলেছি।

এই আজকের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা উঠছে এবং সংস্কার কমিশনও বলছে, এটাই করতে হবে। এ কথা তো আমরা তখনই বলেছি। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের অধীনে ৯ মাসের মধ্যে নির্বাচন, এ কথা আমরা তখনই বলেছি। তাহলে কী বোঝা যাচ্ছে? আমরা যা বলেছি, সেগুলোই তো আসছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?

পুলিশ প্রশাসন আওয়ামী লীগের ধামাধারা পুলিশ প্রশাসন ছিল। তারা যা বলত, তা-ই করত। যার ফলে প্রশাসনিক যে কনফিডেন্স, এটি তাদের কমে গিয়েছে। যার ফলে তারা যে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তারা সেভাবে নিতে পারছে না। যেটা তাদের নেওয়া উচিত।
আমাদের দলের যেটা দায়িত্ব, আমরা দল হিসেবে ইতোমধ্যে দলের কিছু কিছু ব্যক্তি, তারা কিছু কাজ করেছিলেন, যেগুলো আমরা প্রশ্রয় দিই না। সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আপনারা খুব ভালো করে জানেন, কোন কোন সংগঠনকে ভেঙে দিয়েছি, কোন কোন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা দল থেকে বহিষ্কারও করেছি। আমাদের যেটা রাজনৈতিক দায়িত্ব, আমার দল অত্যন্ত সুচারুরূপে পালন করছে। কোনো কোনো জায়গায় ব্যর্থই ঘটছে, তার বিরুদ্ধে আমরা রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিচ্ছি, শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যে কথাটা আমরা বলতে চেষ্টা করি, হয়তো বোঝাতে পারি না অথবা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বোঝেন না। বিএনপিকে টার্গেট করে একটা জিনিস সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি করে প্রচারণা করা হচ্ছে যে বিএনপি আগে নির্বাচন চায়, তারপরে সংস্কার চায় অথবা সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। আমি আপনাদের সামনে পরিষ্কার করে বলছি, এটা একটা ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করা হচ্ছে জনগণের মধ্যে। আমরা বারবার করে এ কথাটাই বলছি, আমরাই তো সংস্কারের প্রবক্তা। আমরাই সংস্কার চেয়েছি। আমরা আমাদের ৩১ দফা যেটি দিয়েছি, একটাও দেখবেন না গভমেন্টের যে সংস্কার, তার সঙ্গে কোনো অমিল আছে। হ্যাঁ, কতগুলো বিষয় আছে, সংবিধানের সংস্কারের ব্যাপার। সেখানে আমরা সুস্পষ্টভাবে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। 

কতগুলো বিষয় আছে মীমাংসিত, সে বিষয়গুলোতে আমরা হাত দিতে চাই না। এখন বলুন তো দেখি, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে বহুত্ববাদ আমাদের দেশের কয়টা লোকে বোঝে? এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক কাদের? রাজনৈতিক দলগুলোর। জামায়াত, বিএনপি বা আওয়ামী লীগ হোক, জাতীয় পার্টি হোক, জাকের পার্টি হোক বা ছাত্রদের সংগঠনটাই হোক, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক হচ্ছে জনগণের। আর যারা এসেছেন সংস্কারের খুব জ্ঞানী মানুষ, পণ্ডিত লোক, বিশাল বিশাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন। তাদের আমরা সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু করেন পলিটিক্সে, আমরা তাদের সমর্থন করতে পারব না। জনগণ যেটা চাইবে, আমরা সেটাই সমর্থন করব! রাজনৈতিক দল নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে কাজ করে। রাজনৈতিক দল তো আকাশ থেকে উড়ে আসে না। এটা তো জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করতে হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কেউ যদি ফলো করে, তাহলে সেখানে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠা যায় না। আজকে গোটা পৃথিবীতে ডানপন্থীদের একটা উত্থান ঘটেছে এবং তারাই বলছেন যে, গণতন্ত্র ইজ গইং ডাউন। 

জাতিসংঘের মহাসচিব এসেছিলেন দেশে, ওনার সঙ্গে আমাদের একটা এক্সক্লুসিভ মিটিং হয়েছিল। কয়েকটা রাজনৈতিক দল এবং সংস্কার প্রধানদের। সেখানে তিনি নিজেই বলেছিলেন, গণতন্ত্র এখন খুব বিপদের সম্মুখীন। গণতন্ত্র বিভিন্ন দেশে ডানপন্থীদের উত্থান হচ্ছে, কর্তৃত্ববাদের উত্থান হচ্ছে, গণতন্ত্রের নিচে নামছে। কিন্তু তারপরেও গণতন্ত্রই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা, সুশাসনের জন্য, রাষ্ট্র পরিচালানার জন্য।

মন্তব্য

আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে : জামায়াতের আমির

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে : জামায়াতের আমির
ছবি: কালের কণ্ঠ

অতীতের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দুঃশাসন-জুলুমের কারণে গত ২৪ বছর এখানে এসে সালাম দিতে পারিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আপনাদের সামনে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। আমাকে কুলাউড়ার মানুষ যেভাবে চিনে, অন্য কেউ সেভাবে চিনে না। বিগত সময়ের স্বৈরাচারী হাসিনা কিংবা তার সরকারের মন্ত্রী, আমলারা কি কুলাউড়ার মানুষের চেয়ে বেশি চিনেন? আমি কি যুদ্ধাপরাধী? অথচ আমাকে বলা হয়েছে আমি যুদ্ধাপরাধী।

আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেলে কুলাউড়া ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের ঘুড়ি উৎসব, আনন্দিত দর্শনার্থীরা

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের ঘুড়ি উৎসব, আনন্দিত দর্শনার্থীরা

 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর। সাড়ে ১২ বছরের মানুষ যুদ্ধকালীন সময়ে ১৪ মাইল দূরে গিয়ে কি মানুষ খুন করতে পারে-এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? চেষ্টা করা হয়েছে।

কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগও দেয়নি, সাক্ষ্যও দেয়নি। হিন্দু ভাইয়েরাও তাতে রাজি হয়নি। মহান আল্লাহ পাক সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন। শুধু আওয়ামী লীগের নেতারা বিদেশে পাচার করেছে ২৬ লাখ কোটি টাকা।
প্রশাসন কত টাকা পাচার করেছে আল্লাহই ভালো জানেন। ওই সময় তাদের ভাব ছিল এমন যে তারা জমিদার আর দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের প্রজা। ওই সরকার দেশের কারো সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করেনি। তাই সরকার পতনে ৭ বছরের শিশুও আন্দোলন করেছে।’

ঈদুল ফিতরের দিন জুলাই বিপ্লবের কয়েকটি শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নিয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবারের মধ্যে যাদের বাড়ি গিয়েছিলাম তাদের জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছেন, তারা শুধু টপটপ করে চোখের পানি ফেলেছেন।

জানতে চেয়েছি, জাতির কাছে তাদের প্রত্যাশা কী? তারা খুনিদের বিচার চেয়েছেন, আর তাদের স্বজনরা যে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন সেই দেশ চেয়েছেন। দেশটাকে আপনাদের হাতে দেখতে চাই। শহীদ পরিবারের প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই শেষ হয়নি, এখন থেকে শুরু হলো। আমরা মানবিক বাংলাদেশ চাই। প্রয়োজনে শহীদদের প্রত্যাশা পূরণে নিজের জীবনও বিলিয়ে দিতে চাই।’

আরো পড়ুন
পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

 

জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমি আমি অন্য একটি সংগঠনের খুদে সমর্থক ছিলাম। এখন এ সংগঠনের নাম বলতে লজ্জা লাগে। ওইসময় আমি জামায়াতে ইসলাম ও শিবির করতাম না। বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। সাড়ে ১৩টি বছর দলীয় অফিস সিলগালা করা হয়েছে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করে ১ আগস্ট দিশেহারা হয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহকে বলেছিলাম, আল্লাহ তুমি বিচার করো, ঠিক ৪দিন পর আল্লাহর বিচার হয়েছে।’

ছাত্রদের কোটা আন্দোলন দেশের সব মানুষের আন্দোলন ছিল জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এটা কোনো দলের বা কোনো গোষ্ঠীর আন্দোলন ছিল না। ওই আন্দোলন ছিল দেশের সব মানুষের আন্দোলন। এর কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রজনতার সঙ্গে আমরাও ছিলাম। জালিমের মাথা আল্লাহ গুড়িয়ে দিয়েছেন। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। বাংলাদেশকে আল্লাহ জালিমের কবল থেকে মুক্ত করেছেন।’

আরো পড়ুন
টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর

টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর

 

তিনি বলেন, ‘আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী চাই না, যাদের ভিতর মনুষ্যত্ব নেই। আমরা চাই প্রকৃত মানুষ। যারা মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন, তাদের প্রয়োজন। বাংলাদেশে মানবিকতার মৃত্যু হয়েছে। আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু মুসলিম কিংবা মেজরিটি মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না। দল,মত নির্বিশেষে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে লড়াই শুরু হয়েছে। দুঃশাসন এবং জুলুমের কারণে আপনাদের মুখ দেখতে পারিনি। আজ প্রাণ খুলে আপনাদের সবাইকে দেখতে পেরেছি এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া।’ 

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুনতাজিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী, সাবেক জেলা আমির সিরাজুল ইসলাম মতলিব, মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুর রব, মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল মান্নান, ঢাকা পল্টনের আমির শাহিন আহমদ খান প্রমুখ।

আরো পড়ুন
রাশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ

রাশিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগ

 

ডা. শফিকুর রহমান কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের তুলাপুর গ্রামের সন্তান। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ৪ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। আগামী নির্বাচনে এই আসনে জামায়াত তাদের একক প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলীর নাম ঘোষণা করেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ