<p style="text-align:justify">২০২৫ সালের পাঠ্যবই নিয়ে মহাসংকটে পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এখনো ২৫ কোটি বই ছাপার কাজ শুরুই হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় সেটা অনেকটা নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বড় ধরনের শিখন ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।  </p> <p style="text-align:justify">প্রেস মালিকরা বলছেন, বছর শেষ হতে বাকি মাত্র ১১ দিন তবে এখনো সব শ্রেণির বইয়ের কার্যাদেশও দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বাজারে কাগজের প্রচণ্ড সংকট রয়েছে। বেশি দাম দিয়েও এত কাগজ কিনতে পারছেন না তারা। ফলে ছাপার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। </p> <p style="text-align:justify">এই পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেস মালিক ও এনসিটিবির কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সেখানে আগামী জানুয়ারির ১৫ দিনের মধ্যে অন্তত তিনটি করে বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রেস মালিকরা সেখানে পুরোপুরি কথা দিয়ে আসেননি।</p> <p style="text-align:justify">প্রেস মালিকরা বলেছেন, ‘একসঙ্গে সব বইয়ের কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে। যদি কিছুদিন সময় দিয়ে কার্যাদেশ দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো আমরা তিনটি করে বই দিতে পারতাম। এ ছাড়া আমরা প্রচণ্ড রকমের কাগজের সংকটে ভুগছি। বেশি দাম দিয়েও এত কাগজ কিনতে পারছি না। ফলে ছাপার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।’</p> <p style="text-align:justify">পরে শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যথাসময়ে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, বিতরণ ও সরবরাহ করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারমূলক কাজ। এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।’</p> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম, বছরের শুরুতে যাতে শিক্ষার্থীদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বই তুলে দিতে সেভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা শোনেননি। অথচ এখন বাকি আছে ১১ দিন। সব শ্রেণির বইয়ের কার্যাদেশও দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের কাছে তিনটি করে বই চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এত অল্প দিনে তা সম্ভব নয়। এ ছাড়া বাজারে কাগজেরও সংকট রয়েছে। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি, আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’</p>