ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি মহেশপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি শহিদুল ইসলাম মাস্টার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৩টায় ঢাকা গ্যাস্ট্রো লিভার (বিআরবি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে......রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ মেয়ে রাজনৈতিক সহকমীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শহিদুল ইসলাম মাস্টার মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের রাহাতুল্লাহ সরদারের ছেলে।
ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাস্টারের ইন্তেকাল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, শহিদুল ইসলাম মাস্টার মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভারজনিত রোগে ভুগছিলেন। ঢাকার পান্থপথে গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।
উল্লেখ্য, শহিদুল ইসলাম মাস্টার ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাদপুর) আসন থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিবার এমপি বিএনপি নির্বাচিত হন।
সম্পর্কিত খবর

প্রভাবশালীদের কবল থেকে ৩ জলমহাল দখলমুক্ত, রাজস্ব পাবে সরকার
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দীর্ঘদিন থেকে প্রভাবশালী মহলের কয়েকটি সিন্ডিকেট চক্র সরকারি তিনটি জলমহালে মাছ লুট করে খেয়েছিল। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছিল সরকার। গত ৫ আগস্টের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিন্দারাণির দিঘি, হ্যালিপ্যাড পুকুর ও কাটুয়া বিল প্রভাবশালীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করেন। যার ফলে অনেক রাজস্ব পাবে সরকার।
বিন্দারাণির দিঘি :
উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ৭ একরের পুকুরটি গত ২০১৪ সাল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষ বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার নামে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ভোগ করে আসছিল। এমনকি বিগত সময়ে বিন্দারাণির দিঘি নিয়ে দুই পক্ষের মামলা থাকলেও রাতের আধারে মিলেমিশে দুই পক্ষই মাছ লুট করেছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই দিঘিতে রাতের আধারে মাছ চুরি করতো। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ছিল।
হ্যালিপ্যাড পুকুর :
উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত হ্যালিপ্যাড পুকুরটি ২ একর আয়তনের।
কাটুয়া বিল :
উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি মৌজায় অবস্থিত কাটুয়া বিলের আয়তন ২৬ একর। বিলটি হাকালুকি হাওরের চকিয়া বিলের পার্শ্ববর্তী একটি বিল। সরকারের অগোচরে এই বিলটি স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্যজীবী মহল প্রতিবছর মাছ ধরার হরিলুটে ব্যস্ত থাকেন। চকিয়া বিলের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করা হতো কাটুয়া বিল থেকে। কিন্তু নিয়মিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ছিল সরকার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিনের নজরে আসলে তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়কে অবগত করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন ও ভূকশিমইল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন, রেকর্ডপত্র যাচাই করে কাটুয়া বিলটিকে সরকারের ৬ নম্বর রেজিস্ট্রারভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কয়েক দফা নথি আদান প্রদান, সংশোধনের পর গত ২৫ মার্চ সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে উক্ত বিলটি সরকারি জলমহাল হিসেবে অনুমোদন করা হয়। বর্তমানে বিলটি ইজারার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন স্যারের স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল, সরকারি পুকুর, বিল, জলাশয়সহ বিভিন্ন সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে যেকোনো উপায়ে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সরকারি কাজটি বাস্তবায়ন করেছি।
তিনি আরো বলেন, বিন্দারাণি দিঘি ও হ্যালিপেড পুকুর ইজারার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কাটুয়া বিল ইজারার কার্যক্রম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু করা হবে। অবৈধ দখলমুক্ত করায় এখন থেকে সরকারের কোষাগারে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব জমা হবে।

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিল : ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী মোড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আরো ৫০ জনকে অজ্ঞাত অসামি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন থানার এসআই এনামুল হক। এ ছাড়াও মামলায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক সাইফুল আলম লিমন, নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাজিদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান, নগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম সামদানি জনি, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিমসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চকবাজার থানার ওসি মো. জাহেদুল কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চট্টেশ্বরী এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে চট্টেশ্বরী মোড় থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানসহ মিছিল করেন। আসামিরা বিভিন্ন স্লোগান ও সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে হাতে লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টেশ্বরী মোড় এলাকায় মিছিল করেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি কালিমন্দির ঘেঁষে এম এম আলী সড়কের দিকে চলে যায়।

‘সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক ছাড় নয়’
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি

নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বরিশালের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় এক পুলিশি মহড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানা থেকে নথুল্লাবাদ টু রায়পাশা, কড়াপুর টু মাধবপাশা, রহমতপুর হয়ে এয়ারপোর্ট থানা চত্বরে এসে শেষ হয়।
এ সময় এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাকির সিকদার থানার সকল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাতে সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা কাছে জিম্মি না থাকে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ যে দলেরই হোক না কেন কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

আদালত চত্বরে ২ সাংবাদিকের ওপর ছাত্রদল নেতার হামলা, অগ্নিসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান ফটকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এন আমীন রাসেল ও মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে তারা আদালতে যান।
তারা জানান, খবর সংগ্রহ করে যখন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আসছিলেন তখন অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রদলের সোহেল রাঢ়ি ও তার দলবল। এ সময় তারা তাদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দেয়।
হামলার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিচারের দাবিতে কোর্টের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আশ্বাসে সড়ক থেকে সরে দাঁড়ান তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢী।