ভুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেভেন-এইটের শিক্ষার্থীরাও আনন্দ স্কুলের পরীক্ষার্থী হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে! আনন্দ স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির সময়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সেভেন-এইটের শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করা হয়েছে। সমাপনী পরীক্ষায় ওই সব পরীক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। আবার সঠিক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় ভুয়া পরীক্ষার্থীও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
লোহাগড়ায় পিইসি পরীক্ষা দিচ্ছে সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা!
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি

লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর এসি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চারটি আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। স্কুলগুলো হলো ঈশানগাতী পূর্বপাড়া আনন্দ স্কুল, রামেশ্বরপুর আনন্দ স্কুল, ঈশানগাতী আনন্দ স্কুল, বসুপটি আনন্দ স্কুল।
এদিকে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কে ডি আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনটি আনন্দ স্কুল। সেগুলি হলো মাটিয়াডাঙ্গা আনন্দ স্কুল, চরকোটাকোল আনন্দ স্কুল, করগাতি আনন্দ স্কুল। ওই তিন স্কুলের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৪৫ হলেও সোমবারে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩৩ জন।
অভিযোগ রয়েছে, এখনো সেভেন-এইটের শিক্ষার্থীরা আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে। আবার আনন্দ স্কুলে ভর্তি প্রকৃত শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় ভুয়া ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে আনন্দ স্কুল সংশ্লিষ্টরা পরীক্ষা দেয়াচ্ছেন। আনন্দ স্কুলের কো-অর্ডিনেটর দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া শিক্ষার্থীর আনন্দ স্কুল চালাতে শিক্ষকদের সহযোগিতা করেছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) কে ডি আর কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনন্দ স্কুলের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় অন্তত ৫ জন পরীক্ষার্থীকে বের করে দিয়েছে পরীক্ষায় দায়িত্বরতরা। ওই কেন্দ্রের হল সুপার মো. হান্নান বিশ্বাস বলেন, আনন্দ স্কুলের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় সোমবার ৫ জন পরীক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. তমিজউদ্দিন বলেন, সেভেন-এইটে পড়ে অথচ আবার আনন্দ স্কুলে ভর্তি হয়ে ওই ৫ জনে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। ওই সব পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবি ও নামের সাথে নিজের কোনো মিল নেই। আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তাদের চেক করি এবং ভুয়া প্রমাণ হওয়ায় হল থেকে বের করে দিয়েছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রবিবার উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ঈশানগাতী পূর্বপাড়া আনন্দ স্কুল, ঈশানগাতী আনন্দ স্কুল ও রামেশ্বরপুর আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিতে আসে সেভেন-এইটের শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি শিক্ষকেরা ধরে ফেললে তারা দৌঁড়ে চলে যায়। ওই বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ঈশানগাতী পূর্বপাড়া আনন্দ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরজান আলী বলেন, এসব শিক্ষার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে তা আমি জানতাম না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আনন্দ স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকাসহ উন্নয়নের কোনো টাকা এলেই ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর স্যার অর্ধেকের বেশি নিয়ে নেন। আগের শাহজালাল স্যার যে পরিমাণ টাকা নিতেন বর্তমান স্যার আরো বেশি নেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুজ্জামান খান বলেন, সোম ও গত রবিবারে আমরা এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। তদন্ত চলছে। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো। আনন্দ স্কুল দেখার জন্য ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর রয়েছে।
আনন্দ স্কুলের লোহাগড়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মো. সোহেল টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সেভেন-এইটের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, মোট ২৪টি আনন্দ স্কুলে ৪১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনে পরীক্ষা দিয়েছে ৩৪৭ জন। দ্বিতীয় দিনে ৪/৫ জন বোধ হয় কমেছে।

ইলিশ ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক
বরিশাল অফিস

ইলিশ মাছ ছিনতাইয়ের অভিযোগে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাজিব হোসেন দিপুকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (১৩ এপ্রিল) নগরীর ভাটিখানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী বন্দরের মাছ ব্যবসায়ী কালু সিকদার বলেন, 'আমার দুই কর্কশিট ইলিশ মাছ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ওই মাছগুলো ভাটিখানা এলাকায় বসে আটক করে নিয়ে যায়।

তামান্না-বিজয়ের বিচ্ছেদের আড়ালে কে এই নারী?
নগরী ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজা মিয়া জানান, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব আমির খসরু, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আরিফুর রহমান মিঠু ও দিপু ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে পুকুর ভরাটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নামে চাঁদাবাজি ও মাছ ছিনতাই করেন।
তিনি আরো জানান, বিষয়গুলো মহানগর বিএনপি ও পুলিশকে জানালে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ ইলিশ মাছ ছিনতাইয়ের অভিযোগে দিপুকে আটক করা হয়। এখন বাদীকে অভিযোগ না দিতে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।

কারাগার থেকে তাদের গণহারে মুক্তি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি : আবু হানিফ
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল নিশাত বলেন, রাজিব হোসেন দিপু নামের একজনকে আমরা হেফাজতে নিয়েছি।

ধর্মপাশায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের হিজলা গ্রামে শাহীন মিয়ার ছেলে সাফায়েত (৬) ও জয়শ্রী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মামুন মিয়ার মেয়ে মীম আক্তার (৬)।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত মীমের মা ঢাকায় বেসরকারি চাকরি করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, এ ব্যাপারে কারো কোনো অভিযোগ নেই।

দুর্ঘটনায় নিহত ২ পরিবারের পাশে ইস্পাত
অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি ইস্পাত কারখানায় লিফট ছিঁড়ে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কম্পানিটি।
জিপিএইচ ইস্পাতের অ্যাডভাইজার ওসমান গনি চৌধুরী এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত দুই শ্রমিকের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে তিনি শোক জানিয়েছেন।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ওই কারখানার বিভিন্ন ভবনে এসির কাজ করতেন।
নিহত শ্রমিকরা হলেন সীতাকুণ্ডের কুমিরা সুলতানা মন্দির এলাকার রোকনুজ্জামানের ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (২৫) ও মিরসরাই উপজেলার করুয়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মো. রিফাত (২৫)।
পুলিশ জানায়, নিহত শ্রমিকরা সীতাকুণ্ডের কুমিরা সুলতানা মন্দির এলাকায় অবস্থিত জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার বিভিন্ন ভবনে থাকা এসির কাজ করতেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জিপিএইচের পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। দুজন মূল্যবান কর্মীর অকালমৃত্যুতে জিপিএইচ কর্তৃপক্ষ গভীরভাবে শোকাহত। জিপিএইচ ইস্পাত সব সময় কর্মীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এবং এই অপূরণীয় ক্ষতি জিপিএইচ পরিবারকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।
আমাদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

কারাগার ভেঙে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার ভেঙে ৫ আগস্টে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিপন নাথ ঘোষকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে তাকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) মধ্য রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিপন নাথ ঘোষ (৪৫) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা গ্রামের নারায়ণ নাথ ঘোষের ছেলে।
মেজর কাওছার বাঁধন বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতির সুযোগে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অন্য বন্দিদের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত রিপনও পালিয়ে যান। প্রায় ৮ মাস পর শনিবার রাতে তাকে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার সকালে তাকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।