ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

অন্যের হয়ে জেল খাটা সেই মিনু আক্তার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অন্যের হয়ে জেল খাটা সেই মিনু আক্তার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
মিনু আক্তার। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় অন্যের হয়ে তিন বছর কারাভোগের পর সদ্য মুক্ত হওয়া নিরপরাধ সেই মিনু আক্তার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত ২৮ জুন রাতে নগরের বায়েজিদ সংযোগ সড়কে তিনি নিহত হলেও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। পরে তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি সেই আলোচিত মিনু আক্তার।

রবিবার (৪ জুলাই) বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক থেকে দুর্ঘটনায় নিহত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। শনিবার বায়েজিদ থানার একটি টিম সীতাকুণ্ড এলাকার লোকজনকে ছবি দেখিয়ে মিনুর পরিচয় শনাক্ত করে।’

এর আগে গত ১৬ জুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলি হয়ে তিন বছরেরও অধিক সময় কারাভোগ শেষে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।

জানা যায়, মোবাইল ফোন নিয়ে বিবাদের জের ধরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মী কোহিনুর বেগম খুন হন। ওই ঘটনায় হওয়া  মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার গৌরস্থান মাঝেরপাড়া গ্রামের আনু মিয়ার মেয়ে কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামীর নাম ছালেহ আহমদ। তিনি স্বামীর সঙ্গে কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে সাঈদ ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান কুলসুমী। পরবর্তীতে এ মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এক রায়ে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের দিন কুলসুমী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাঁকে পলাতক দেখিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।

এর পর ভাসমান বস্তিতে মিনুকে পান কুলসুমী। মিনুর স্বামী ঠেলাগাড়ি চালক বাবুল সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে ভাসমান বস্তিতে থাকতেন।

মিনুর বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর জাফারাবাদ এলাকায়। তাঁর পিতার নাম সোলাইমান ও মা সালেহ বেগম, স্বামী মোহাম্মদ বাবুল। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ময়নামতিতে।

মিনুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে ইয়াছিন (১২)। সে একটি দোকানের কর্মচারী। আরেকজন গোলাম হোসেন (৭) হেফজখানায় পড়ছে। ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (৫) দত্তক দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মিনু ও তাঁর সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার প্রস্তাব দেন  কুলসুমী। বিনিময়ে একদিন আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় মিনুকে। আদালতে হাজির হলে তাঁর জামিনও করিয়ে আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

মিনু কুলসুমীর কথায় রাজি হয়ে কুলসুমী সেজে ২০১৮ সালের ১২ জুন চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিনু কারাবন্দি। এরপর নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন কুলসুমী। এ কারণে ওই বছরের ১২ জুন মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ওই মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।

জানা যায়, মিনু কারাগারে যাওয়ার পর প্রথম প্রথম কয়েক মাস মিনুর সন্তানদের ভরণপোষণ দিলেও কয়েক মাস যেতে না যেতেই মিনুর পরিবারের খোঁজ নেওয়া বন্ধ করে দেন কুলসুমী। ওদিকে মিনুর দীর্ঘ হতে থাকে কারা জীবন। মিনুর আর খোঁজ নেননি কুলসুমী।

এ অবস্থায় মিনু পুরো ঘটনা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে ফাঁস করে দেন। প্রথম প্রথম কেউ তাঁর কথা না শুনলেও গত ১৮ মার্চ কুলসুমীর পরিবর্তে মিনুর কারাভোগের বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খানের নজরে আসে। এরপর তিনি বিষয়টি নিজে অনুসন্ধান করেন। চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা নথিতে কুলসুমীর ছবির সঙ্গে মিনুর ছবির মিল খুঁজে পায় না কারা কর্তৃপক্ষ।

গত ২১ মার্চ সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান রায় প্রদানকারী চট্টগ্রামের আদালতের নজরে আনেন বিষয়টি। এরপর মিনুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হলে পরদিন ২২ মার্চ কারাগার থেকে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। মিনু হাজির হয়ে আদালতকে বলেন, 'তিন বছর আগে মর্জিনা নামের একজন মহিলা ডাল-চাল দেবেন বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে জেলে ঢুকায় দেয়। আমি তখন ভাসমান বস্তিতে নিজের ঘরে ছিলাম।' 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি ১৩ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দিতে না পেরে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।

জানা গেছে, উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন নামে এক স্কুলে ১৩ জন পরীক্ষার্থীর কাউকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি, ফলে তারা কেউই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

আরো পড়ুন
পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে গুইন লুইসের বৈঠক

পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে গুইন লুইসের বৈঠক

 

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা ছিল ওই শিক্ষার্থীদের।

তারা বিদ্যালয়ে এসে দেখে গেটে তালা, তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা। ফলে এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পেরে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যানিকেতন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে।

পরে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে তারা বোর্ডে ফরমও পূরণ করেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘মূলত ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আমাদের লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

আরো পড়ুন
সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০

সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০

 

পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে না পারা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুর আলম বলেন, ‘আমার মেয়ের ফরম পূরণের টাকাও দিয়েছি।

সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা ছিল। এখানে এসে দেখি বিদ্যালয় তালাবদ্ধ। প্রধান শিক্ষকসহ সবাই পলাতক রয়েছেন।’

মন্তব্য

চাঁদপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁদপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল
ছবি: কালের কণ্ঠ

সারাদেশে আজ থেকে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে চাঁদপুরে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রদল। পরীক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া; পরীক্ষা সহায়ক শিক্ষাসামগ্রী যেমন-প্লাস্টিক ফাইল, স্কেল, কলম  বিতরণ করেছে সংগঠনটি। 

আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে থেকে এমন ভূমিকা পালন করেছে জেলা ছাত্রদল ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল।

এ সময় পরীক্ষার্থীদের হাতে বোতলজাত খাবার পানিও তুলে দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।এতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান সোহাগ।

এদিকে পরীক্ষা শুরু হলে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন জেলা শহরসহ বেশকিছু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় পরীক্ষার কেন্দ্র ও তার আশপাশের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানান তিনি।

 

চাঁদপুরে এবার এসএসসি, দাখিল এবং ভোকেশনাল মিলিয়ে মোট ৩৩ হাজার ৯৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির ৪৬টি কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৭২৬ জন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ১৯টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৪৫৫ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভোকেশনালের ১২টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭ ৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

মন্তব্য

সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০
ছবি: কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে হামলা-পাল্টা হামলা চালিয়ে স্থানীয় একটি বাজারের অন্তত ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলা গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে সালাথা-ফরিদপুর আঞ্চলিক সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আরো পড়ুন
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত রানাকে নেওয়া হচ্ছে ভারতে

মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত রানাকে নেওয়া হচ্ছে ভারতে

 

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশিরভাগ সময় গট্টি ইউনিয়ন নিয়ন্ত্রণ করেছেন সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।

তবে ৫ আগস্টের পর তিনি কয়েকমাস কারাভোগ করেন। পরে ওয়াদুদ মাতুব্বরের গ্রাম্যদলের লোকজন প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে যান। ওই লোকজনকে দলে মেশানো নিয়ে স্থানীয় নুরু মাতুব্বরের সঙ্গে জাহিদ মাতুব্বরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জেরে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।

নুরু মাতুব্বর বর্তমানে কারাগারে আছেন। তার অনুপস্থিতিতে বর্তমানে গ্রাম্যদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনছুর মাতুব্বর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিনউদ্দীন। এই বিরোধের জেরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বালিয়া বাজারে সালথা-ফরিদপুর সড়কের উপর দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের অন্তত ১২টি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

আরো পড়ুন
চাকরিজীবীদের টানা চার দিনের ছুটির সুযোগ

চাকরিজীবীদের টানা চার দিনের ছুটির সুযোগ

 

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে বক্তব্য দিয়েছেন উভয়পক্ষের নেতারা।

জাহিদ মাতুব্বর বলেন, ‘২০১৮ সালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের লোকজন। এখন তারাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। কোনো কারণ ছাড়াই বুধবার বিকেলে বালিয়া গট্টি ও ভাবুকদিয়া গ্রামের মাঝে থেকে প্রথমে আমার দুই কর্মীকে মারধর করে। পরে আবার বালিয়া বাজার থেকে ব্যবসায়ী মামুন শেখকে কুপিয়ে জখম করে। এরপরেই সংঘর্ষ শুরু হয়। নুরু মাতুব্বর, তার ভাই মুনছুর মাতুব্বর ও মহিনউদ্দীন তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাদের প্রত্যেকের দলীয় পদ আছে। এরা চাচ্ছে এলাকায় আওয়ামী লীগের আধিপত্য ধরে রাখতে।’

আরো পড়ুন
বিনা মূল্যে পাটবীজ ও সার পেলেন ৮০০ কৃষক

বিনা মূল্যে পাটবীজ ও সার পেলেন ৮০০ কৃষক

 

মুনছুর নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, ‘আমরা বিএনপি করি। জাহিদ মাতুব্বর আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি লাবু চৌধুরীর লোক। বিগত দিনে তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। গতকাল বুধবার বিকেলে বড় বালিয়ার গ্রামের সবুর খান খামখা মারধর করে জাহিদের লোকজন। পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’

সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পুলিশ শান্ত রাখতে বালিয়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

মন্তব্য

বিনা মূল্যে পাটবীজ ও সার পেলেন ৮০০ কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
বিনা মূল্যে পাটবীজ ও সার পেলেন ৮০০ কৃষক
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ৮০০ কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে পাটবীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পাটের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সামনে এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নূর এ নবীর সভাপতিত্বে বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

এ সময় অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সদর উপজেলার ৮০০ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ১ কেজি উন্নত জাতের পাটের বীজ, ৫ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে সদর উপজেলায় মোট ৮০০ কেজি পাটবীজ ও আট মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নূর এ নবী বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পাটের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

পাট উৎপাদন বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনীতি নতুনভাবে সমৃদ্ধ হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ