<p style="text-align:justify">ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে এবার থানার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। দিলীপের পরামর্শে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চুয়াডাঙ্গায় পদায়ন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামকে। এরপর ওই কর্মকর্তাকে দিয়েই নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত হন দিলীপ। অভিযোগ রয়েছে, ওই কর্মকর্তাকে দিয়েই কৌশলে থানার খালি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শাখা খুলে বসেন দিলীপ।</p> <p style="text-align:justify">সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৈয়দ আলাউল ইসলাম খোকন সড়কে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা থানা। ওই থানার শেষ সীমানা ও পায়রা চত্বরের পাশেই গড়ে উঠেছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শাখাটি। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দোকানটি ভাড়া হিসেবে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করছে। যদিও ব্যবসার ধরনভেদে একই আকৃতির দোকানের ভাড়া আট থেকে ২০ হাজার টাকা।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তা মোড় হিসেবে পরিচিত স্থানটির নাম শহীদ হাসান চত্বর। এই স্থানটিই জেলা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। স্থানটি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকায় অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আছে অনেক সোনার দোকান।</p> <p style="text-align:justify">যে স্থানে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শোরুম তার বিপরীত দিকে রাস্তার পাশের দোকানগুলোর ভাড়া সাত হাজার টাকা কিংবা তার কাছাকাছি। এখানকার বেশির ভাগ দোকানের তুলনায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শোরুমের আয়তন দ্বিগুণেরও বেশি। কোনো কোনো দোকানের আয়তনের তুলনায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শোরুমের আয়তন প্রায় তিন গুণ। সেই হিসাবে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দোকান ভাড়া হওয়ার কথা অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। দিলীপ আগরওয়ালা দোকানভাড়া বাবদ মাসে প্রদান করেন পাঁচ হাজার টাকা।</p> <p style="text-align:justify">দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে নিয়ে এই এলাকার ব্যবসায়ীদের মনে আগে থেকেই নানা ধরনের ভীতি রয়েছে। ভয়ে কেউ দিলীপ কুমার আগরওয়ালা প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চায় না। তার পরও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিক্রয়কেন্দ্র অবস্থিত। এই বিক্রয়কেন্দ্রটি এখানকার বেশির ভাগ দোকানের আয়তনের হিসাবে অন্তত তিনটি দোকানের সমান। সেই তুলনায় ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে নামমাত্র।</p> <p style="text-align:justify">চুয়াডাঙ্গা সদর থানার প্রধান ফটকের বিপরীতে আছে নিউ জুয়েলার্স। এই দোকানের মালিক ফিরোজ শেখ জানান, তাঁকে দোকানের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে দিতে হয় সাত হাজার টাকা। নিউ জুয়েলার্স দোকানের পরিধি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের চার ভাগের এক ভাগ।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আনুমানিক দুই বছর আগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের চুয়াডাঙ্গার বিক্রয়কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের শোরুমটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। পুলিশের সঙ্গে কিসের চুক্তিতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবসাকেন্দ্র চালু করা হয় তা অনেকের কাছে রহস্যজনক। এর আগে অনেকে চেষ্টা করেও ওখানে দোকান বা বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করতে পারেনি।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘পাঁচ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া চুক্তিতে দোকানঘরটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের সময় কোনো জামানত নেওয়া হয়েছিল কি না তা আমার জানা নেই।’</p>