<p>হেমন্তকালে বাজারজুড়ে দেখা মিলছে শীতকালীন শাক-সবজি। সবজি বাজারের শীতকালীন সব ধরনের শাক-সবজির দেখা মিললেও গত কয়েকদিন ধরে এসবের দাম নাগালের বাইরে। কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী এবং এর সঙ্গে অন্যান্য শাক-সবজির দামও চড়া। শীত মৌসুম শুরুর আগেই হঠাৎ করে সব শাক-সবজির দাম এতোটা বেড়েছে যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। </p> <p>গত মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল-বিকালে বরগুনার বেতাগী পৌর শহরের বেশ কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা এবং ধনিয়া পাতা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। </p> <p>বেতাগী পৌর শহর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. নাসির উদ্দিন ও মো. আলী আকন বলেন, ‘গত দুই দিন আগে কাঁচা মরিচের মানভেদে ২০০-২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন আমাদের পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।’</p> <p>মো. নাইম হাসান নামে আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা বরিশালের পাইকারি বাজার থেকে সবজি আনি। ওইখানেই দাম অনেক বেশি। পাইকারিতে দাম না কমলে আমগো হাতে কিছু নাই।’</p> <p>হঠাৎ দাম বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। সবজি বাজারে বাজার করতে আসা বেতাগী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক মৃধা নামে এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আড়াই শ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা! চিন্তা করা যায়? সব কিছুর দাম বাড়তি। এইভাবে দেশ চলে নাকি?’</p> <p>সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কাঁচামরিচ নয়, সব ধরনের সবজির দামই চড়া। একমাত্র পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। বাজারে এই পেঁপে জাত ও আকারভেদে আবার এই পেঁপেই বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য সব সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি।</p> <p>বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে। শশার কেজি ৮০ টাকা, লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, উস্তা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা।</p> <p>এবিষয় বেতাগী পৌর শহরের কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মহারাজ সিকদার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বরিশাল থেকে বেশি দামে আমাদের আড়তে সব ধরনের সবজি কিনতে হচ্ছে। এজন্য খুচরা বিক্রেতাদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে শিগগিরই দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’ </p> <p>এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কোনো দোকানদার ইচ্ছামতো বেশিতে কোনো পন্য বিক্রি করতে পারবে না। এজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। বেশিতে পন্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমান আদালতে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’<br />  </p>