<p>চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ও বিএনপি নেতা ওপর হামলার ঘটনায় দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছি পটিয়া থানা পুলিশ।</p> <p>শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে পটিয়া পৌর সদর এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।</p> <p>আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মেহেরআটি গ্রামের মৃত নুরুল আবসারের ছেলে মুসলিম জামান সবুজ (৩০) ও তার ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান শাকিল (২৪)।</p> <p>পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এ দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে আক্তারুজ্জামান শাকিল গত ৪ আগস্ট পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতা লিটন বড়ুয়ার সঙ্গে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। তখন ভিডিও ফুটেজে শাকিলকে শনাক্ত করে পুলিশ। তার বড় ভাই মুসলিম জামান সবুজ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনামের গাড়ি বহরে হামলা ভাঙচুর করার অভিযোগের মামলার আসামি। </p> <p>এ ছাড়াও তারা এলাকায় মাদক কারবারিসহ নানা অপরাধ কর্মাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শনিবার রাতে তাদের আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তারা দুই সহোদরকে গত ৪ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর দায়ের করা পৃথক তিনটি মামলায় আসামি করা হচ্ছে। আজ রবিবার তাদেরকে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে।</p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সাবেক এপিএস এজাজের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুসলিম জামান সবুজ। সে এজাজের ইয়াবা ব্যবসা দেখাশোনা ও সরবরাহ করতেন। তার ছোট ভাই শাকিল আওয়ামী লীগ নেতা লিটন বড়ুয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড। তারা দুই ভাই এলাকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেন। ভয়ে তটস্থ থাকতেন সবাই।</p> <p>পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, সবুজ ও শাকিল নামের দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি, বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও জামায়াত নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলাসহ তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে আজ রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে। </p>