<p>কাজ পাইয়ে দেওয়ার শর্তে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. দেলোয়ার হোসেন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়েছেন ৯ লাখ টাকা। এছাড়া বিল অনুমোদনের জন্য ২ শতাংশ কমিশন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হয়েছে এবং চলমান প্রকল্পগুলিতে উটকো ঝামেলা সৃষ্টি করে তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। নিজ এলাকা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাট পুকুরিয়া ইউনিয়নে তিনি বিলাসবহুল বাড়ি গড়ে তুলেছেন এবং ঢাকাতেও তার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে।</p> <p>ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, নিয়ম বর্হিভূতভাবে দেলোয়ার অফিসে আসা-যাওয়া করেন এবং অফিসের দৈনন্দিন কার্যক্রম বিঘ্নিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, দেলোয়ার 'মেসার্স আজিজ ব্রাদার্স' নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। এই বিষয়ে ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে মেয়র তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।</p> <p>অভিযোগের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় যোগাযোগ করা হলে দেলোয়ার মন্তব্য করেন, “যত উন্নয়ন, ততই দুর্নীতি।” তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।</p> <p>দেলোয়ারের প্রতিবেশীরা জানান, মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা দেলোয়ারের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।</p> <p>ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'মেসার্স আজিজ ব্রাদার্স'-এর পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, “দেলোয়ার কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পরে মেয়রের হস্তক্ষেপে আমি সেই টাকা ফেরত পেয়েছি।”</p> <p>সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, দেলোয়ারের ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি তাকে শোকজ করেছিলেন।</p> <p>ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আবু সুফিয়ান জানান, দেলোয়ারের ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় সপ্তাহে তিন দিন দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে। তার অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।</p>