<p>ঘূর্ণিঝড় ফিঞ্জালের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় তিন দিন ধরে মাছ ধরতে পারেননি দুবলার শুঁটকিপল্লীর জেলেরা। মাছ সংকটে চলতি মাসে (ডিসেম্বর) শুঁটকি উৎপাদন কমে যাবে প্রায় ৫০০ মণ, যার বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। এতে বন বিভাগ কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব হারাবে। </p> <p>সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা বিশেষ টহল ফাঁড়ি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।</p> <p>সূত্র জানায়, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (২৮-৩০ নভেম্বর) টানা তিন দিন শুঁটকিপল্লীর কোনো জেলে সাগরে মাছ ধরতে পারেনি। এর ফলে আলোরকোল, মাঝের কিল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শ্যালার চরসহ চারটি চরে শুঁটকি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এই কারণে ডিসেম্বর মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।</p> <p>আলোরকোল শুঁটকি পল্লীর ব্যবসায়ী পঙ্কজ বিশ্বাস ও জেলে স্বপন বিশ্বাস জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় টানা তিন দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল, ফলে তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় জেলেরা আবার সাগরে নেমেছেন। তবে দুর্যোগের কারণে চারটি চরের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।</p> <p>পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্ট রেঞ্জার মো. খলিলুর রহমান জানান, জেলেরা মাসে দুইবার ১৪ দিন করে মাছ ধরার অনুমতি পান। কিন্তু এবারের গোনে তিন দিন সাগরে যেতে না পারায় প্রায় এক কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদন কম হবে।</p> <p>তিনি আরও জানান, ডিসেম্বর মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই কোটি টাকা। কিন্তু মাছের সংকটের কারণে এই মাসে প্রায় ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।</p> <p>তিনি বলেন, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাসে দুবলার শুঁটকিপল্লীর চারটি চরে আট কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছর এ খাত থেকে সাত কোটি ২৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল। তবে এবছর সাগরে মাছের পরিমাণও কম থাকায় মৌসুমের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।</p>