<p>নিখোঁজের ১৭ বছর পর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামের সাদেকুল ইসলাম (৪২) ফিরে এসেছেন তার পরিবারের কাছে। পরিবার ও স্বজনদের কাছে সাদেকুলের এই ফিরে আসা এক অবিশ্বাস্য স্বপ্নের মতো। তার নিখোঁজ হওয়ার গল্পটি যেমন বেদনাদায়ক, তেমনি ফিরে আসার ঘটনাটি আনন্দে ভাসাচ্ছে পুরো গ্রামকে।</p> <p>গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের কলকাতার একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি।</p> <p>পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সাদেকুল। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে বছর পেরিয়ে যুগ গুনেছে, কিন্তু কোনো খোঁজ মেলেনি। অবশেষে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বীরগঞ্জ থানা থেকে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন যে তিনি কলকাতার একটি মানসিক হাসপাতালে আছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপির নেতা নির্বাচন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/27/1735276535-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্যালটের মাধ্যমে বিএনপির নেতা নির্বাচন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/27/1461912" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এর পর দুই দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় ২৪ ডিসেম্বর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় সাদেকুলকে। তার বাড়ি ফেরার খবরে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদের ঢল নামে।</p> <p>সাদেকুলের বাবা মো. আকবর আলী একজন কৃষক। মা মোছা. সিদ্দিকা বেগম গৃহিনী। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সাদেকুল সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংসারের কাজে বাবাকে সহযোগিতা করতেন। চতুর্থ শ্রেণি পড়াশোনার পর তিনি পুরোপুরি কৃষিকাজে মনোযোগ দেন। ২০০০ সালে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়েছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে হঠাৎ মানসিক অসুস্থতা দেখা দিলে স্ত্রী তার দুই বছরের সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মাদারীপুরে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/27/1735275380-5a2af0ea8c715c89af4eb218a7ca58d4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মাদারীপুরে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/27/1461907" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এর পর পরিবারের প্রচেষ্টায়ও তার সুস্থতা ফিরে আসেনি। ২০০৭ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর দীর্ঘদিন খুঁজে ফিরে তাকে পাওয়ার আশা ক্রমেই ফিকে হয়ে যায় পরিবারের।</p> <p>কলকাতার মানসিক হানপাতালে দীর্ঘ নয় বছর চিকিৎসাধীন ছিলেন সাদেকুল। সেখানকার একজন কর্মকর্তা শুক্লার সহযোগিতায় তার ঠিকানা চিহ্নিত করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার দেশে ফেরার উদ্যোগ নেওয়া হয়।</p> <p>সাদেকুলের বাবা আকবর আলী বলেন, ‘মনে করেছিলাম, তাকে আর কোনোদিন জীবিত পাব না। আল্লাহর রহমতে তাকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়ে এই পৃথিবীটা নতুন মনে হচ্ছে।’</p> <p>ছোট ভাই আজিজুল হক আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘ভাইকে পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেঁদেছি। এটা ছিল আনন্দের কান্না। আমাদের বাড়িতে এখন আনন্দের বন্যা বইছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আহত" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/27/1735274669-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আহত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/27/1461904" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাদেকুলের বাল্যবন্ধু আবব্দুল খালেক বলেন, ‘সাদেকুল ছিল খুব পরিশ্রমী। তাকে ফিরে পেয়ে মন ভরে গেছে। তার পুনর্বাসনের জন্য সরকারের সহযোগিতা দরকার।’</p> <p>উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা  মো. তরিকুল ইসলাম জানান, পরিবার আবেদন করলে বিধি অনুযায়ী তাকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।</p>