<p style="text-align:justify">কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৮ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে গলা টিপে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেল পলাতক আসামি মো. আবুল হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১২ টার দিকে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি দল গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল্লাহ ভৈরবের শম্ভুপুর এলকার নূর আলী মিয়ার ছেলে।</p> <p style="text-align:justify">বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, '২০১১ সালে আসামি নিজের ১৮ (আঠারো) মাস বয়সী কন্যা সন্তান সুমাইয়াকে গলা টিপে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা সুরাইয়া বেগম বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে আদালত উক্ত চার্জশীট আমলে নিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। </p> <p style="text-align:justify">বিচারিক কার্যক্রম শেষে, কিশোরগঞ্জের দায়রা জজ ১ম আদালত ২০১৭ সালে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় প্রদান করেন। আসামি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল বলেন, 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ছয় আগষ্ট কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার ভেতরে আসামি মো. আবুল হোসেন আব্দুল্লাহ (৩৭) জেল থেকে পলায়ন করত আত্মগোপন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনায় মামলা দায়ের করে। </p> <p style="text-align:justify">আসামি আব্দুল্লাহ জেল পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। পলাতক অবস্থায় তিনি গত ১৩ ডিসেম্বর সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিজের প্রকৃত নাম-ঠিকানা গোপন করে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভর্তি হন। </p> <p style="text-align:justify">এন্টি টেররিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাচাইপূর্বক আসামির অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করে।<br /> গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।</p>