<p>রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শীত। গত তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই রংপুরে। হিমেল হাওয়া ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে অসহায় নিম্নআয়ের মানুষের।</p> <p>আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়কে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করছে। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।  রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="তীব্র শীতে স্থবির দিনাজপুরের জনজীবন, দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/02/1735808991-0331f1beab22fb6d25616fda3a99b07b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>তীব্র শীতে স্থবির দিনাজপুরের জনজীবন, দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/01/02/1464092" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রংপুরে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। আগামীতে তাপমাত্রা আরো কমে এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।</p> <p>রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ৪-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নওগাঁয় হিমেল হাওয়ার দাপট, কষ্টে নিম্নআয়ের মানুষ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/02/1735799754-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নওগাঁয় হিমেল হাওয়ার দাপট, কষ্টে নিম্নআয়ের মানুষ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/01/02/1464057" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ফুটপাত দখল করে শীতের পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে, এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।</p> <p>রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার শাহিনুর রহমান জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীত আর কুয়াশা পড়ছে। তবে ৩ দিন ধরে শীত বাড়ছে। আবার সকালে ঘন কুয়াশা হিমেল হাওয়া বইছে।</p> <p>তথ্য অনুযায়ী আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানা গেছে, চলতি মাসে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) ও মাঝারি (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এ ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/02/1735798737-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2025/01/02/1464051" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় শীতের দাপট বাড়ছে। এসব জেলায় শীতের কারণে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নগরজুড়ে গরম কাপড় বেচাকেনা বাড়ছে ফুটপাতসহ হাটবাজারে।</p> <p>আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, উত্তরবঙ্গের লোকজন তীব্র শীতে কাবু হচ্ছে। সকাল থেকে কুয়াশা পড়ছে এ অঞ্চলে। দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পঞ্চিমাঞ্চলে শীতের দাপট বাড়ছে। জানুয়ারি মাসে ১০-১২ তারিখের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।</p> <p>জানা যায়, ঘন কুয়াশা আর হিম বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে রংপুরের জনজীবন। তিস্তা-ঘাঘট, করতোয়া-যমুনেশ্বরী বিধৌত রংপুর জেলার প্রকৃতি মুড়ে আছে ঘন কুয়াশার চাদরে। হিমেল হাওয়া মাখা কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।</p> <p>এদিকে শীতজনিত নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা, জন্ডিস, সর্দি-জ্বরে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ কারণে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তরাঞ্চলের বহু মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বই উৎসবের ব্যানারে হাসিনার ছবি, যা বললেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/02/1735795151-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বই উৎসবের ব্যানারে হাসিনার ছবি, যা বললেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2025/01/02/1464041" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান জানান, আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন। গত এক মাসে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ ছাড়া শীতের সময়টাতে এমন রোগব্যাধি বাড়বে। আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।</p> <p>রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, রংপুর জেলার ৮ উপজেলায় শীতে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৮১টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া ২৭ লাখ টাকার কম্বল কেনা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। আরো কম্বল চাওয়া হয়েছে।</p>