<p style="text-align:justify">সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ভালো ফলনের কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। প্রতি কেজি সবজি মাত্র ১০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">কাজিপুরের রৌহাবাড়ি, স্থলবাড়ি, পারুলকান্দি, পাঁচগাছি, ছালাভরা, ভানুডাঙ্গা, হরিনাথপুর, পরানপুর, এবং রশিদকপুরে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতের সঙ্গে এসব গ্রাম থেকে সবজি বাজারে আসছে এবং ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবারের অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। কাজিপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, শিম, মূলা, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, গাজর, টমেটো, এবং নতুন আলুসহ সবজির দাম আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে।</p> <p style="text-align:justify">সবজি কিনতে আসা এনামুল হক মনি বলেন, “শীতকালে সবজির দাম প্রতিবছরই কমে। তবে এবার কিছুদিন আগেও দাম বেশি ছিল। গত এক সপ্তাহে দাম কমতে শুরু করেছে। এখন ১০০ টাকার বাজারেই ব্যাগ ভরে যাচ্ছে।”</p> <p style="text-align:justify">সবজি ব্যবসায়ীরাও জানালেন, এ বছর কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে সবজি কিনতে পারছেন। ফলে কম দামে বিক্রি করেও তারা লাভ করছেন।</p> <p style="text-align:justify">সবজিচাষী সোহেল মিয়া জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শসা, টমেটো, লাউ এবং শাক-সবজির আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে ফসল বিক্রি করে খরচ তুলেছেন এবং এখন যা বিক্রি করছেন, তা সবই লাভ। তার বার্ষিক আয় প্রায় ৩ লাখ টাকা, যেখানে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা।</p> <p style="text-align:justify">কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, দুই বিঘা জমিতে সবজি চাষ করে ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। তার মোট খরচ হয়েছে ৪০-৫০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন, মৌসুম শেষে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারবেন।</p> <p style="text-align:justify">কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হওয়ায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক হয়েছে।</p>