‘জিয়া পরিবারের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ’ মন্তব্য করে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালে বারবার জিয়াউর রহমান জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।’
আজ শনিবার (২৯ মার্চ) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দেশের সমৃদ্ধি, মঙ্গল কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাসুদ খান্দকার বলেন, ‘১৯৭০ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে পাকিস্তানের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালান। ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়েই তিনি স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হন।
এমন অবস্থায় জাতি যখন দিশাহারা, ঠিক তখনই চট্টগ্রামে মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করেন এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দেন।’
আরো পড়ুন
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রবিবার ঈদ
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জিয়াকে বন্দি করা হলে সিপাহি-জনতার বিপ্লবে তিনি মুক্ত হয়ে দেশের ক্রান্তিকালে আবার জনগণের পাশে এসে দাঁড়িছেলেন। বাকশালী একদলীয় শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে বাংলাদেশে জিয়াই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন।
এর ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমান বিদেশে থেকেও দেশের ক্রান্তিকালে নেতৃত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন আগামীর বাংলাদেশ তাদের হাতেই নিরাপদ।’
অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দিয়ে সাত বছর জেলে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। নির্দোষ তারেক রহমানকে নির্যাতন করে দেশান্তরী করে। ফ্যাসিবাদিরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের নাম-নিশানা মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্র করেছিল তা সফল হয়নি।
মহান আল্লাহ পাকের কৃপায় জাতীয়তাবাদী শক্তি তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে আবার জেগে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ সেই অপেক্ষায় রয়েছেন।’
উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে এই মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুর মুজাহিদ স্বপন। সদস্যসচিব প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোকের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম বরাত, আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা, আলতাব হোসেন খান, পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বুরুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব হোসেন, কৃষক দলের সভাপতি আখিরুজ্জামান মাসুম, যুবদলের আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হুমায়ুন আহমেদ মুন ও সদস্যসচিব লিখন সরকার।