<p style="text-align:justify">পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ও প্রোভিসি নিয়োগে স্থানীয় পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে পাঠানো এক স্মারকলিপিতে তারা এই দাবি জানান।</p> <p style="text-align:justify">স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ১৮ আগস্ট ভিসি সেলিনা আখতারকে পদত্যাগে বাধ্য করার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভিসিহীন অবস্থায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার ফলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ঘ খন্ডের ১৮ নং ধারা অনুযায়ী পার্বত্য অঞ্চলের সকল নিয়োগে উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়ার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার ও অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগেও স্থানীয় পাহাড়ী জনগণের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা উচিত।</p> <p style="text-align:justify">তারা তাদের স্মারকলিপিতে তিন দফা দাবি পেশ করেছেন- পার্বত্য চুক্তির ধারায় স্থানীয়দের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর ও প্রভোস্ট নিয়োগ করতে হবে; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকল নিয়োগে স্থানীয় পাহাড়ীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার পাশ মার্ক শিথিল করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিজিনাস স্টুডেন্টস ফ্যামিলির সভাপতি হৃদয় চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী এই অঞ্চলটি একটি উপজাতীয় অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে স্বীকৃত। এখানকার ভাষা, সংস্কৃতি, সামাজিক রীতিনীতি, অর্থনীতি ও ধর্মীয় জীবনধারা বাঙালি জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা। চুক্তির ধারা অনুযায়ী, এই অঞ্চলের সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সকল স্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারী পদে উপজাতীয়দের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।</p> <p style="text-align:justify">তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসন ব্যবস্থা, স্বাতন্ত্র্যতা ও জাতিবৈচিত্র্যতার প্রেক্ষাপটে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্বত্য চুক্তির ধারা অনুসরণ বাস্তবসম্মত ও যুক্তিসিদ্ধ।</p>