<p>বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি সড়কটি ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কের অংশ। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এই মহাসড়কের একটি বাইলেন (পার্শ্ব সড়ক) দখল করে শিশুপার্ক নির্মাণ করেছিল। সড়কের এই অংশ সড়ক ও জনপথের (সওজ) আওতায় থাকলেও সংস্থাটির বাধা উপেক্ষা করে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশে শিশুপার্ক নির্মাণ করেন। অবশেষে সেই পার্ক উচ্ছেদের জন্য সওজ দরপত্র আহ্বান করেছে।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সেই দরপত্র জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সওজ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমূল ইসলাম। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন স্পিন কোচ নিয়োগ দিল পাকিস্তান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/16/1737007583-44554bf7b890bc8a6748beae4bd4988e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন স্পিন কোচ নিয়োগ দিল পাকিস্তান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2025/01/16/1469266" target="_blank"> </a></div> </div> <p>নাজমূল ইসলাম বলেন, ‘সওজের আওতাধীন ঢাকা-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়কটির প্রায় ১১ কিলোমিটার অংশ বরিশাল নগরের মধ্য দিয়ে গেছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত দুই লেনের জাতীয় এই মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর এই অংশও রয়েছে। কিন্তু সেই ব্যস্থতম মহাসড়কের অর্ধেকটা দখল করে পার্ক নির্মিত হয়েছিল। সেটি অপসারণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের পর দ্রুত পার্কটি অপসারণের মাধ্যমে রাস্তা সচল করা হবে।’</p> <p>জানা গেছে, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার পড়েছে বরিশাল নগরে। এর মধ্যে মূল শহরের অংশটি ‘সিঅ্যান্ডবি রোড’ নামে পরিচিত। ২০২২ সালে এই সড়কের একটি বাইলেন দখল করে পার্ক নির্মাণ করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) তৎকালীন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার প্রয়াত মায়ের নামানুসারে পার্কটির নামকরণ করেন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম পার্ক’।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিকল্প নাই : শফিকুর রহমান" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/16/1737007319-6fd33470dea458ab90e18c964caa6eb9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিকল্প নাই : শফিকুর রহমান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2025/01/16/1469265" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিসিসির তথ্য অনুযায়ী, পার্কের নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ১৪ কোটি টাকা। সাবেক মেয়র সাদিকের অনুসারী ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না পার্ক নির্মাণের তদারকিতে ছিলেন। পার্কের পশ্চিমপাশে মান্নার শ্বশুরবাড়ি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমি নিয়ে তাদের বিরোধ রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পার্ক নির্মাণের মূল পরামর্শক ছিলেন মান্না। প্রতিপক্ষদের ২৫টি দোকানঘর উচ্ছেদের পর জমি দখল করে পার্কসংলগ্ন সড়কের সঙ্গে একীভূত করা হয়। কমপক্ষে ৫০টি পরিবারের যাতায়াতের সহজ পথরুদ্ধ করে নির্মিত পার্কে যাতায়াতে শিশুরাও ঝুঁকিতে ছিলেন। পার্কটি নির্মিত হওয়ায় মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে পরে।</p> <p>ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশে পার্ক নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে সেই সময় অনেক সমালোচনা হয়। কিন্তু সাদিকের ভয়ে কেউ এটি সরানোর কথা বলতে পারেননি। সাবেক মেয়র সাদিকের চাচা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র নির্বাচিত হয়ে পার্ক উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন। পার্কটি উচ্ছেদ করা নিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং বিসিসির ঠেলাঠেলি শুরু হয়। কিন্তু বাস্তবে তা আর কার্যকর হয়নি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="টিউলিপকে দুর্নীতিবাজ বললেন ইলন মাস্ক" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2025/01/16/1737007000-4886b78f293cf87542037a5fdcc3b6de.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>টিউলিপকে দুর্নীতিবাজ বললেন ইলন মাস্ক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2025/01/16/1469263" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৫ আগস্টের দিন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পার্কের মালামাল লুট করেন। তখন থেকেই পার্কটি কঙ্কালসার অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আবার দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি শুরু হয়। সওজ বলছে, যারা নির্মাণ করেছে তারাই উচ্ছেদ করবে। অন্যদিকে বিসিসি বলছে, উচ্ছেদ করতে হবে জমির মালিকদের। অবশেষে চার লেনের রাস্তা নির্মাণের তাগিদ থেকেই সড়ক থেকে পার্ক উচ্ছেদের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দরপত্র আহ্বান করেছে সওজ বিভাগ।</p>