নরসিংদীর রায়পুরায় ‘সিক্স মার্ডার’ মামলার আসামির গুলিতে জুলহাস মিয়া (৭৫) নামের এক কৃষক আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
জুলহাস সায়দাবাদ এলাকার মৃত মারফত আলী ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক।
নরসিংদীর রায়পুরায় ‘সিক্স মার্ডার’ মামলার আসামির গুলিতে জুলহাস মিয়া (৭৫) নামের এক কৃষক আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
জুলহাস সায়দাবাদ এলাকার মৃত মারফত আলী ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক।
অভিযোগ উঠেছে, সায়দাবাদ এলাকার সুরত আলীর ছেলে ‘সিক্স মার্ডার’ মামলার আসামি হুমায়ুন মিয়া জামিনে বেরিয়ে এসে জুলহাসের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হুমকি দেন হুমায়ুন। মঙ্গলবার সকালে সরিষা তোলার সময় জুলহাসের ওপর গুলি চালান হুমায়ুন ও তার সহযোগীরা।
জুলহাসের ভাতিজা ইদন মিয়া বলেন, 'চাঁদা না পেয়ে আমার চাচাকে গুলি করে হুমায়ুন ও তার সহযোগীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ আগস্ট আধিপত্য বিস্তার ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে শ্রীনগরের সায়দাবাদ এলাকায় নারী ও শিশুসহ ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সেখানে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন হাসিম ও ফরিদ।
জানা যায়, হুমায়ুন ওই এলাকার নজরুল ইসলামের পক্ষের এবং সিক্স মার্ডার মামলার আসামি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জমিনে বেরিয়ে এসে প্রতিপক্ষ জুলহাস মিয়ার কাছে চাঁদা দাবি করেন তিনি। চাঁদার টাকা না পেয়ে সকালে জুলহাসকে সরিষা খেতে গুলি করে পালিয়ে যান হুমায়ুন ও তার সহযোগীরা।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খান নুরুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর জানান, ছররা গুলির আঘাতে আহত এক ব্যক্তিকে দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসিম ও ফরিদ পক্ষের লোকরা জানায়, নজরুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন এলাকায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করে। প্রকাশে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে তারা। প্রতিপক্ষের অত্যাচার ও ভয়ে আমাদের অনেক লোক এলাকায় থাকতে পারছে না।
নজরুল ইসলাম ও হুমায়ুন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক প্রবীর কুমার ঘোষ জানান, সরিষা তোলার সময় জুলহাসকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় তার শরীরে একাধিক ছররা গুলি লাগে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি।
সম্পর্কিত খবর
বাগেরহাটের শরণখোলায় উদ্ধার করা একটি অজগর অবমুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে সাপটি অবমুক্ত করেন বন সংরক্ষণকারীরা। এর আগে সন্ধ্যায় সোনাতলা গ্রাম থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, একটি ছাগল শিকার করছিল অজগরটি।
এই ঘটনায় বন সুরক্ষায় নিয়োজিত কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপকে (সিপিজি) সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে অজগরটি উদ্ধার করেন। তবে ছাগলটি মারা যায়।
সিপিজি টিম লিডার মো. খলিল জমাদ্দার জানান, মরিয়মের একটি ছাগল ধরে নিয়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিল অজগরটি।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. ফারুক আহমেদ জানান, বাগান সিপিজির সদস্যরা অজগরটি উদ্ধার করে স্টেশন অফিসে নিয়ে আসেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে একটি অবৈধ সিসা কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই অভিযানে কারখানা মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে এসব সিসা গলানোর কারাখানা।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারখানাটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে কারখানার মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কেরানীগঞ্জে কোনো ব্যক্তির অবৈধভাবে কোনো কারখানা চালানোর সুযোগ নেই। যেখানেই অবৈধ কারখানা গড়ে উঠবে সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা
খুলনা নগরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মশারি ও কয়েল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ সমাবেশ হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আ ফ ম মহসীন।
পরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মতবিনিময় সভায় যোগ দিয়ে খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ তুলে ধরেন তাদের মতামত।
কেসিসির প্রশাসক ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে মশা নিয়ন্ত্রণে সবার মতামত প্রত্যাশা করেন।
এসময় কথা বলেন, খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক অ্যাড. আফম মহসীন, সদস্য সচিবঅ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সুজনের জেলা সম্পাদক অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু তৈয়ব, দৈনিক সময়ের খবরের সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর-এর প্রতিনিধি মাকসুদ আলী, নিরালা আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আকতার হোসেন ফিরোজ, বেলার সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল, দৈনিক প্রবাহের চীফ রিপোর্টার মো. নূরুজ্জামান, সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মাসুম বিল্লাহ, দৈনিক প্রবাহের সিনিয়র রিপোর্টার খলিলুর রহমান সুমন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক আহম্মদ হামিদ রাহাত, নাগরিক নেতা ইকবাল হাসান তুহিন, সৈয়দ নওশাদুজ্জামান পিন্টু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোহিনুর জাহান, খুবি’র প্রফেসর রেজাউল ইসলাম, খুলনা ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসহ অন্যান্যরা বক্তৃতা করেন।
মতবিনিময় সভায় তুলে ধরা সমস্যাগুলা পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন কেসিসি’র প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। একইসাথে ঈদ পর্যন্ত কেসিসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করে তিনি বলেন, দৈনিক মজুরিভিত্তিক অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হবে। তবে নাগরিকদের ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখতে সহায়তা কামনা করেন তিনি।
আবারও চালু হচ্ছে আমতলী-ঢাকা নদীপথের লঞ্চ চলাচল। আগামী ২৬ মার্চ থেকে ঢাকা সদরঘাট টার্মিনাল থেকে একটি লঞ্চ আমতলীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। যাত্রী সেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এ উদ্যোগ নিয়েছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়া পর থেকেই ঢাকা-আমতলী পথে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমতে থাকে। যাত্রী সংকট চরম আকার ধারণ করায় আমতলী-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই লঞ্চ মালিকরা আমতলী-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের আমতলী, তালতলী, বরগুনা সদর, কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা নৌপথের যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েন।
তবে প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, পরিবার নিয়ে সড়কপথে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঈদে লঞ্চে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। তবে দীর্ঘদিন পর লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এমভি ইয়াদ-৩ লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ মো. রাহাত তালুকদার বলেন, কেবিন বুকিং শুরু হয়েছে, তবে যাত্রী সংখ্যা এখনো কম। তবে ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে ততই যাত্রী চাপ বাড়বে।
এমভি সুন্দরবন-৭ লঞ্চের সুপার ভাইজার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৪টি লঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ। এ রুটে এমভি সুন্দরবন-৭, এমভি ইয়াদ-৭, এমভি ইয়াদ-৩ ও এমভি শরীয়তপুর-৩ লঞ্চ পর্যায়ক্রমে চলাচল করবে।
এমভি ইয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন-অর-রশিদ লঞ্চে যাত্রী চলাচলের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঈদ উপলক্ষে যাত্রী সেবার কথা বিবেচনা করে আমতলী-ঢাকা রুটে ৪টি লঞ্চ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ এমভি ইয়াদ-৭ সদরঘাট থেকে আমতলীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। এ ছাড়া সারা বছর ২টি লঞ্চ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনের অনুরোধ জানিয়ে ভাড়া কমানোর আশ্বাস দেন, যাতে রুটটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়।
বরগুনা বিআইডবিউএ সহকারী পরিচালক নির্মল কুমার রায় বলেন, লঞ্চ চালুর বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হবে।