ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০৩ শাওয়াল ১৪৪৬

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়াকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১ মার্চ) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি মৌখিক এই নির্দেশ দেন।

আইন-শৃঙ্খলা সভায় উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক জানান, চকরিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্না। মুন্না বলেন, সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে আটক করে চকরিয়া থানায় রেখে নির্যাতন করা হয় এবং মিথ্যা মামলা রুজু করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

 

ওই সাংবাদিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশকে ফোনকলের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

ডিআইজিকে এই নির্দেশনা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সত্য সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শুক্রবার আপনারা একটি সংবাদ দেখেছেন, যেখানে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির সময় এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়নি। তারপরও কিছু মিডিয়া সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এতে ওই নারী সমাজে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে আপনাদের কিছু সংবাদে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। আপনাদের অনুরোধ করছি, সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন। আমি নিজেও এক সময় সাংবাদিকতা করেছি। মর্নিং নিউজে ছিলাম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জুলাই অভ্যুত্থান

শহীদ ফয়সালের কবরের সন্ধান চায় পরিবার

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
শহীদ ফয়সালের কবরের সন্ধান চায় পরিবার
সংগৃহীত ছবি

গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর আবদুল্লাহপুরের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন ফয়সাল সরকার। এরপর রাত ঘনিয়ে এলেও খোঁজ মেলেনি তার। মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে ফয়সালের স্বজনরা।

ওই দিন বাহিরে তখনো চলছিল গোলাগুলি।

এই হাসপাতালে ওই হাসপাতাল খোঁজাখুঁজি করে হদিস না পেয়ে ২৮ জুলাই দক্ষিণখান থানায় জিডি করেন ফয়সালের ছোট ভাই ফাহাদ। এরপর ১ আগস্ট বিকেলে একজন গণমাধ্যমকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে অনেক বেওয়ারিশ মরদেহ দাফন করা হয়েছে, সেখানে খোঁজ নিলে ফয়সালের মরদেহের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। 

আরো পড়ুন
ঈদ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৩৮

ঈদ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৩৮

 

এরপর ফয়সালের স্বজনরা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, ১৫-২০টি মরদেহ একসাথে গণকবর দেওয়া হয়েছে, কাকে কোথায় দাফন করা হয়েছে তারা জানে না। এরপর আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের পক্ষ থেকে গণকবর দেওয়া মরদেগুলোর ছবি দেখালে মাথায় ধবধবে সাদা একটি ব্যান্ডেজের ওপর লেখা, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ এমন একটি ছবি দেখে ফয়সাল সরকারের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্বজনরা।

মরদেহ শনাক্ত করা গেলেও তাকে কোথায় কিভাবে দাফন করা হয়েছে তা জানতে পারেনি। 

বুধবার (২ এপ্রিল) বিকালে ফয়সাল সরকারের গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে ছেলের ছবি নিয়ে আহাজারি করছেন তার বৃদ্ধা মা হাজেরা বেগম। তিনি বারবার সন্তানের কবরের সন্ধান চাচ্ছিলেন। 

ফয়সালের মা হাজেরা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুত ছাড়া এবারের ঈদ গেল, প্রতি ঈদ চান্দের আগে আমার পুতে বাইত আইয়া আনন্দ-ফুর্তি করত, ঘরের ঈদ বাজার করত।

বোনদের বাড়িতে কাপড়চোপড় পাঠাইত এবার তো আমার নিমাই চান আইল না। রাস্তাঘাটে কত মানুষ দেখি আমার নিমাই চানরে দেখি না। আমার সোনার চান কই শুইয়া আছে তা-ও জানি না। কবরের কাছে দাঁড়াইয়া যে একটু কানমু তা-ও পারি না, আমি আমার পুতের কবরের সন্ধান চাই।’

তিনি সন্তান হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, ‘হাসিনার নির্দেশে পুলিশ আমর পুতের ওপর গুলি করছে।

আমার পুতের অপরাধ নাই তারে কেন গুলি করা হলো? এমনভাবে গুলি করছে মাথার মগজও খুইল্লা পড়ে গ্যাছে।’

এদিকে বুধবার বিকেলে জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া শহীদদের জীবনী নিয়ে লেখা ‘শহীদ স্মৃতি স্মরণিকা’ তুলে দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদসহ জামায়াতের স্থানীয় নেতারা।

শহীদ ফয়সালের বাবা সফিকুল ইসলাম সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার ছেলের কবরটা একটু দেখতে চাই। সংসারের সব খরচ চালাই তো ছেলে। সরকার যদি আমার ছোট ছেলেরে একটা চাকরি দিত তাহলে সংসারটা কোনো রকম চলত।’

জানা যায়, শহীদ ফয়সাল সরকার ঢাকার দক্ষিণখান এসএম মোজাম্মেল হক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৪.৩৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের অভাব ঘোচাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। বাবা-মা, ভাইসহ পরিবার নিয়ে থাকতেন আবদুল্লাহপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
ছবি : কালের কণ্ঠ

ফরিদপুর সদর উপজেলায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে বুধবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঈদ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে উপজেলার চাঁদপুর বাজার সংলগ্ন মাঠে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করে স্থানীয়রা।

খেলায় চাঁদপুর গ্রামবাসী দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশ নেয়। খেলা চলাকালীন সময়ে নজরুল বেপারীর ছেলে বাদশার সঙ্গে আকিদুল শেখের ছেলে নাজমুলের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয়রা দুইজনকে শান্ত করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।

এরই জের ধরে বিকেলে বাদশা ও নাজমুলের পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কোন পক্ষই এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখানো কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

ঈদ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৩৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা, ৩ নারীসহ গ্রেপ্তার ৩৮
সংগৃহীত ছবি

জামালপুরের ইসলামপুরে অশ্লীল নাচ-গান ও জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগে নারীসহ ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ বুধবার পৃথক তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হাড়গিলা বাঁধ এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন থেকে হাড়গিলা বাঁধসংলগ্ন খোলা মাঠে শামিয়ানা টাঙিয়ে স্থানীয় একটি চক্র ‘ঈদমেলা’ নামে জুয়া খেলাসহ অশ্লীল নাচ-গান পরিচালনা করছিল।

খবর পেয়ে গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও ইসলামপুর থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় তিন নারীসহ ৩৮ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়।

আরো পড়ুন
‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’

‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে জুয়া নিরোধ আইনে ২৪ জনের নামে এবং যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মারমুখী আচরণ করায় ১৪ বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়েছেন।

 

এ ছাড়া সন্দেহমূলক ধারায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আটক ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ঈদমেলার নাম ভাঙিয়ে জুয়া খেলাসহ অশ্লীল নাচ-গানে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৮ জনকে আটক করা হয়। পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কুড়িগ্রামের এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের

উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
শেয়ার
কুড়িগ্রামের এসপিকে প্রত্যাহারের দাবি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের
সংগৃহীত ছবি

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আচরণের অভিযোগ এনে তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় অটোরিকশা আটকে দম্পতিকে হয়রানির অভিযোগে হওয়া মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেৃতত্বদানকারী এক ছাত্র প্রতিনিধিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি। 

গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার যুগ্ম দপ্তর সচিব ও দপ্তর সেলের সম্পাদক লোকমান হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।

আরো পড়ুন
‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’

‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’

 

মঙ্গলবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজিবপুর উপজেলা ছাত্রপ্রতিনিধি মেহেদী হাসানসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।

মেহেদী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে ও জামাইসহ কয়েকজনকে অপহরণ ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। পরে ছাত্রপ্রতিনিধি মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রাজিবপুরের বাসিন্দা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সংগঠক রবিউল ইসলাম রবিন নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ঈদের রাতে অটোরিকশায় কয়েকজন যুবক ও দুজন মেয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টিতে সন্দেহ হওয়ায় অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় ও গন্তব্য জানতে চেয়েছিলেন ছাত্রপ্রতিনিধি।

শুধুমাত্র মেয়েদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এমনটা করেছিল। সেখানে বিবাহিত দম্পতি থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। কিন্তু এ ঘটনায় ছাত্রপ্রতিনিধির সাথে অটোরিকশায় থাকা জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিই্ও) শামসুল আলমের ছেলে শিহাবের বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে প্রভাব খাটিয়ে মামলা ও গ্রেপ্তারে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন এসপি ও ডিইও।

আরো পড়ুন
বাবার মৃত্যুর দিনে সন্তানের আগমন

বাবার মৃত্যুর দিনে সন্তানের আগমন

 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিপ্লবের পক্ষের শক্তিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসপি কোন অপশক্তির ইশারায় এমন ফ্যাসিস্ট আচরণ করছেন তা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে কোনও ধরণের তদন্ত ছাড়াই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অথচ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র জান্নাতুল তহুরা তন্নীর ওপর হামলা করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো এসপি মাহফুজুর রহমান হামলাকারীদের সাথে আপসের পরামর্শ দেন।

এ বিষয় নিয়ে জানতে এসপি মাহফুজুর রহমানকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। এছাড়া এসপির হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ম্যাসেজ দিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ