জামালপুরের মেলান্দহে সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবীর সহকারী আনিছ (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নলেরচর তালতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন।
নিহতের বাড়ি উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে।
জামালপুরের মেলান্দহে সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবীর সহকারী আনিছ (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নলেরচর তালতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন।
নিহতের বাড়ি উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদালতের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন আনিছ। মেলান্দহ থেকে অটোরিকশায় জামালপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে নলেরচর তালতলা বাজারে চলন্ত অটোরিকশার সামনে দিয়ে একটি শিশু দৌড়ে পার হওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
মেলান্দহ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়ি থেকে আদালতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।’
সম্পর্কিত খবর
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ডেভিল হান্টের অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামি যুবলীগের দুই নেতা আব্দুল মুক্তাদির ও ফরিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছারের নেতৃত্বে এসআই সাদেক মিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স পৌরসভার বিহালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে সোমবার রাতে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আপছারের নেতৃত্বে এসআই সুজন তালুকদারসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা ফরিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মুক্তাদির কুলাউড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিহালা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতা ফরিদ আহমদ উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের চুনঘর গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার মঙ্গলবার রাতে মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় ডেভিল হান্টের অভিযানে যুবলীগ নেতা মুক্তাদির ও ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ফরিদকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে যুবলীগ নেতা মুক্তাদিরকে আগামীকাল কারাগারে পাঠানো হবে।
ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জ অংশের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়ক সচল করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে যানবাহন চলাচলে তেমন বেগ পেতে হবে না চালকদের। তবে মহাসড়কে অনুমোদন বিহীন যানবাহন চলাচল এবং পার্শ্ব রাস্তার যানবাহন মহাসড়ক অতিক্রম করার সময় ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাতের বেলায় ডাকাত আতঙ্কে ভুগছেন যাত্রী ও চালকরা।
জানা গেছে, যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এসব যানবাহন সেতু অতিক্রম করার পর হাটিকুমরুল গোলচত্বরে গিয়ে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তবে পাবনা ও রাজশাহী মহাসড়কে যানবাহনের চাপ তুলনামূলক কম থাকলেও অধিকাংশ চাপ থাকে বগুড়ামুখী মহাসড়কে।
রান্নার স্বাদ-ঘ্রাণ দুটিই বাড়াবে এই পাতা
বাসচালক মানিক মিয়া বলেন, এবার মহাসড়ক অনেক ভালো আছে। তবে তিন চাকার যানবাহনসহ অবৈধ যানবাহনগুলোর চলাচল বন্ধ করতে হবে। এদের কারণেই মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে এবং দ্রুতগামী বাসের গতি কমে যায়। এ ছাড়া পার্শ্ব রাস্তা থেকে আসা যানবাহনগুলো মহাসড়ক অতিক্রম করার সময় যানজট লেগে যায়।
৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা
বাসচালক মুক্তার হোসেন বলেন, রাতের বেলায় মহাসড়কে যানবাহনে ঢিল দিয়ে গাড়ি থামিয়ে ও রাস্তায় তাঁরকাটা ফেলে চাকা প্যাংচার করে ডাকাতি করা হয়ে থাকে। যা ঈদযাত্রায় আরো বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।
যমুনা সেতুর পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের নিরাপত্তায় সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে নলকা পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলাকায় থানার ৬০ জন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৮০-৮৫ জন সদস্য দিনে ও রাতে দায়িত্ব পালন করবে। দুই কিলোমিটার পরপর পুলিশের কড়া অবস্থান থাকবে। এ ছাড়া মটরসাইকেলের টিম মহাসড়কে টহল দেবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২৬ মার্চ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে দ্রুত পুলিশের সহায়তা নেওয়ার জন্য চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্জন স্থান, ফাঁকা ও অন্ধকার জায়গা টার্গেট করে ডাকাতরা অপরাধ করে থাকে। এক্ষেত্রে বডিতে ঢিলের শব্দ শুনলেই রাস্তায় গাড়ি থামানো যাবে না।
মহাখালীতে সাংবাদিকের ওপর শ্রমিকদের হামলা
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, নলকা থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এলাকায় ১৬টি স্থানকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব স্থানে হাইওয়ে পুলিশের টিম ২৪ ঘণ্টা স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেলের টহল অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া যানজট এড়াতে হাটিকুমরুল গোলচত্বরে বগুড়ামুখী রাস্তায় বাঁশ দিয়ে চারটি লেন আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কের নিরাপত্তায় থানা পুলিশের পাশাপাশি ৫০ জন এপিপিএন সদস্য ও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা যুক্ত হবেন।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'মহাসড়কের চান্দাইকোনা থেকে সিরাজগঞ্জের সীমান্তবর্তী বগুড়ার শেরপুর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকায় দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মহাসড়কে অবস্থান করবে। এ জন্য থানার ৩০ জনের পাশাপাশি পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত আরো অন্তত ৩০ জন পুলিশ সদস্য যুক্ত হবেন। আমরা আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তি মুক্ত হবে।'
২০২৭ সাল পর্যন্ত সিমন্সই বাংলাদেশের কোচ
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, ২৬ মার্চ থেকে ৬০০ পুলিশ সদস্য পোশাক এবং সাদা পোশাকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টা মহাসড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থায়ীভাবে অবস্থান নেবে। মোবাইল টিমের পাশাপাশি থাকবে মোটরসাইকেলের টহল। বেশ কিছু স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, অনুমোদনবিহীন যানবাহনগুলোকে কোনোক্রমে মহাসড়কে চলতে দেওয়া হবে না। ফিডার রোডগুলোর (পার্শ্ব রাস্তা) নিয়ন্ত্রণে প্রবেশপথে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আশা করছি, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের পাশাপাশি মহাসড়কের চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধ করা সম্ভব হবে।
হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের তিনটি মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের প্রায় ৫০০ পুলিশ সদস্য পোশাক এবং সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। থাকবে মোবাইল ও মোটরসাইকেলের টহল টিম। অত্যাধুনিক ড্রোন ক্যামেরায় দিনে ও রাতে মহাসড়কের সবকিছু মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে মহাসড়কের ১৮টি পয়েন্টে গোপন সার্ভিলেন্স সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হাটিকুমরুল গোলচত্বরে স্থাপিত ওয়াচ টাওয়ার থেকে সব কিছু মনিটরিং করা হবে।
টমেটো ভর্তা আর ভাত দিয়েই ইফতার-সেহেরি, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বিধবা সালেহা
তিনি আরো বলেন, মহাসড়কে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি রেকার এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। আমরা আশা করছি, এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও ঝুঁকি মুক্ত হবে।
যমুনা সেতুর প্রস্তুতি সর্ম্পকে সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, সাধারণত প্রতিদিন যমুনা সেতু দিয়ে গড়ে ২০-২১ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদযাত্রায় তা বেড়ে দ্বিগুণ বা তারও বেশি হয়ে থাকে। সেতু দিয়ে সার্বক্ষণিক টোল চালু রাখার চেষ্টা করা হবে। এবার সেতুর দুই প্রান্তে ৯টি করে বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য দুটি করে আলাদা বুথ থাকবে।
শ্রমিক দল নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা, গ্রেপ্তার ৬
গাজীপুরের কালীগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নেয়ামুল ইসলাম (২২) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪ জন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া-দালান বাজার আঞ্চলিক সড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নেয়ামুল উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের বাঙ্গালগাঁও এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন, নেয়ামুলের বোন নাদিয়া (১৮) ও মামাতো ভাই মাশফিক (১২)। এ ছাড়া অপর মোটরসাইকেলে থাকা কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজের ছাত্র উপজেলার বাহাদুরসাদী এলাকার হাবিউল্লাহর ছেলে রিয়াদ (১৯) এবং পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজের ছাত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আল আমিন (১৯) গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেয়ামুলের ছোট বোন ও মামাতো ভাইকে নিয়ে বিকেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে নোয়াপাড়া সড়ক দিয়ে দালান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে সিএনজিচালিত আটরিকশায় থেকে চাঁদা না পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদেরকে মারধর এবং থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে দুটি মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন- বিএনপি কর্মী উপজেলার বাখর নগরপাড় গ্রামের মৃত রুশন আলীর ছেলে কালাম (৪৮), রহিমপুর গ্রামের মাহাবুব হোসেনের ছেলে মো. হোসেন (২২), নবীপুর গ্রামের মৃত জানু মিয়ার ছেলে মো. ওয়াহাব আলী (৫৫), মুরাদনগর উত্তর পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে আবুল হাসান জুয়েল (৪২), পরমতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মহসিন সরকার (৩৮) ও রহিমপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন (৫৮)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী বলেন, গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) ইফতারের আগে তিনিসহ তিনজন একটি অটোরিকশায় আকবপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, সোমবার উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। পরে রাত ৮টায় হামলায় শিকার নেতাকর্মীরা মুরাদনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে যুবদল নেতা মাসুদ রানা ওরফে গুছা মাসুদের নেতৃত্বে ৭০/৮০ জনের একটি দল পূনরায় থানার ভেতরেই আরেক দফা হামলা করে। এ সময় থানা কম্পাউনডারের দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙ্গাসহ ও হাজত খানার কেচি গেইট ভেঙে আটক এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
হামলাকারীদের বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বাঙ্গরা বাজার থানা এলকার আকুবপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে প্রবাসী আবুল ফয়সাল (৩৫) বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৩০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগে মামলা করেন। একইভাবে সরকারি কাজে বাধা ও থানায় হামলা করার অভিযোগে বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মহি উদ্দীন অঞ্জনসহ ৩১জন বিএনপি নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামি করে এসআই আক্কাস আলী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দীন অঞ্জন বলেন, থানার ভেতরের ঘটনার সময় আমি তখন সেনাবাহিনীর সাথেই উপস্থিত ছিলাম। তখন আমাদেরকে বলা হয়েছিল মামলা হবে না, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর জানতে পারলাম এ ঘটনায় পুলিশ আমাকেই অভিযুক্ত করে মামলা করেছে। আমিও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, চাঁদা দাবির অভিযোগে এক যুবককে আটকের পর বিএনপি নেতারা তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি প্রতিবাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মামলা করতে চাইলে তাতেও তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা থানায়ও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে এ ঘটনায় মামলা করা হলে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।