তিন ছেলের মৃত্যুতে খান পরিবারে ঈদ আনন্দ ম্লান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তিন ছেলের মৃত্যুতে খান পরিবারে ঈদ আনন্দ ম্লান
জেলার মানচিত্র

ঈদ উদযাপনের সব আয়োজন শেষ করেছিলেন নাসির খান। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে ঢাকা থেকে ফিরেছেন বড় ছেলে শুভ। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা সব আনন্দ শেষ করে দিয়েছে। পিরোজপুরর মঠবাড়িয়া উপজেলার এ হতভাগ্য বাবার ঈদ আনন্দ ভেসে গেল শোকের বন্যায়।

সড়ক দুর্ঘটনায় তার তিন ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এখন তিনি দিশেহারা। 

মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা গ্রামের নাসির খানের তিন ছেলে নাঈমুজ্জামান শুভ (২২), মো. শান্ত (১৪) ও মো. নাদিম (৮) শনিবার সকালে বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন
দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে বাঁচান : দুলু

দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে বাঁচান : দুলু

 

নিহতদের বাবা নাসির খান জানান, তার বড় ছেলে নাঈমুজ্জামান শুভ শুক্রবার ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। শুভর মামাতো ভাই তার বাড়ির (বরগুনা) জন্য কিছু কেনাকাটা করে শুভ’র কাছে দেয় সেগুলো বাড়িতে পৌঁছে দিতে।

শুভ শনিবার সকালে তার অন্য দু’ভাইকে সাথে নিয়ে একটি মোটরবাইকে মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটায় যাচ্ছিল। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাথরঘাটা থেকে রাজিব পরিবহন নামের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। মঠবাড়িয়া থেকে মোটরবাইকে করে তিনজন বরগুনার দিকে যাচ্ছিল।

পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সোনারবাংলা এলাকায় বাইকটিকে চাপায় দেয় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিন ভাইয়ের মৃত্যু হয়। ঘাতক বাসটি আটক করা সম্ভব হলেও চালক এবং হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে উপচে পড়া ভিড়

শ‌ফিক আদনান, কি‌শোরগঞ্জ
শ‌ফিক আদনান, কি‌শোরগঞ্জ
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে দর্শনার্থীদের ভিড়

ছু‌টিতে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পছন্দের অন্যতম জায়গা কিশোরগঞ্জের হাওর। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে থৈ থৈ জলরাশি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে যান হাওরে। শুক‌নো মৌসু‌মে একরকম, বর্ষায় অন্যরকম। এবার ঈদটা হ‌লো শুক‌নো মৌসু‌মে।

গরমও বে‌শি। তবুও থে‌মে নেই পর্যটক‌দের আনা‌গোনা। হাজারো পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় হাওরে

মাইলের পর মাইল ফসলি জমি, ধান আর ভুট্টার ক্ষেত বাতা‌সে দুল‌ছে। শহর থে‌কে যাওয়া পর্যকটক‌দের দাপাদাপি, ছ‌বি তোলা, সেল‌ফি‌তে নি‌জে‌কে ধারণ করা সবই চল‌ছে সকাল থে‌কে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সাবমার‌সিবল ও দৃ‌ষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক রয়েছে পর্যক‌দের আকর্ষ‌ণের কেন্দ্রবিন্দু‌তে। ইটনা ও মিঠামইনের পাশ দি‌য়ে ব‌য়ে যাওয়া ধনু ও মেঘনা নদী‌তে এখন পা‌নি কম। নদীতে ছোট ছোট নৌকায় ভাস‌ছে লোকজন। 

স‌রেজ‌মিন ঘু‌রে দেখা গে‌ছে, জেলার নিকলী, বালিখলা, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্ট ও সেতুগু‌লো‌তে ভ্রমণপিপাসুদের কলরব।

তাদের বাধভাঙা ঢল আর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হাওর যেন পরিণত হয়েছে পর্যটনের এক স্বর্গপুরীতে। হাও‌রে পানি না থাকলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের টানে এবারের ঈদে হাওরে ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। ঈদের দিন থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ হাওরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসছেন।

জেলা শহর থেকে খুব কাছের হাওরটি করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা এলাকায়। ঘাট থেকে নৌকা বা স্পিডবোট ভাড়া নিয়ে অনেকেই ছুটছেন হাওর ভ্রমণে।

বালিখলা থেকে নৌকা ও ফেরি পার হয়ে সাবমার‌সিবল সড়ক ধরে বিভিন্ন যানবাহন চড়ে যেতে পারছেন মিঠামইন জিরো পয়েন্টে। সেখানে ফটোসেশন, আড্ডা আর ঘুরেফিরে সময় কাটাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

ঢাকা থেকে বড় বোনের বাসায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে এসেছেন সানজিদা সামান্তা। অনেকদিন ধরেই তার ইচ্ছে হাওর দেখবে-তবে যখন চারিদিকে পানির সমারোহ থাকবে। কিন্তু যখন এসে শুনলেন হাওরে বর্ষার আগে পানির দেখা মিলবে না, তখন তার মনটাই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে ঘুরতে এসে এখন তিনি মুগ্ধ। তিনি জানালেন, পানির সময় একবার এসেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম হয়তো এখন ভালো লাগবে না। অথচ এসে দেখি চিত্র পুরোটাই উল্টো। এখানে হাজার হাজার মানুষের ভীড় শুধুমাত্র অলওয়েদার সড়ককে কেন্দ্র করে। তাছাড়া সবাই অনেক মজা করছে। এখন আমার মন অনেক ভালো।

রাজধানীর মোহাম্মপুর থে‌কে স্ত্রী ও ছে‌লে‌মে‌য়ে নি‌য়ে হাও‌রে বেড়া‌তে এসে‌ছেন আরিফ হাসান। দু’বছর আগে বর্ষার সময় আরেকবার এসে‌ছি‌লেন। এবার ঈদের ছু‌টি‌তে শুক‌নো মৌসু‌মে এলেন। তি‌নি ব‌লেন, বর্ষায় হাওর‌কে সাগ‌রের ম‌তো লা‌গে। আর এই জলরা‌শির মধ্যে ভে‌সে থাকা সড়‌ক‌টি দেখার ম‌তো এক‌টি বিষয় থা‌কে। আর শুক‌নো সম‌য়ের রূপও ম‌নোমুগ্ধকর। যেন সু‌বজের গা‌লিচায় ঢাকা। তি‌নি ব‌লেন খুব ভা‌লো লাগ‌ছে। সু‌যোগ পে‌লে আবার আস‌ব। ত‌বে তি‌নি আক্ষেপ ক‌রে ব‌লেন,  হাও‌রে পর্যকট‌দের জন্য সু‌যোগ সু‌বিধা কম। রাতযাপনের সু‌বিধা নেই।

বুধবার‌ (২ এপ্রিল) বি‌কেল ইটনা-‌মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলও‌য়েদার সড়ক (বর্ষায় ভে‌সে থাকা সড়ক) গি‌য়ে দেখা যায়, পু‌রো ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কজুড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। কেউ ঘোড়ার পিঠে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে বাইকে। আবার কেউবা দলবেঁধে পিকআপে চড়ে গানের তালে তালে নেচে বেড়াচ্ছেন। টিকটক ও স্যোসাল মিডিয়ায় নিজেদের তুলে ধরতে অনেকেই বিভিন্ন সাজে ও অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক ফটোগ্রাফারও ছবি তুলে আয় করছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন সাজে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছেন।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু মানুষ দলবেঁধে ছুটে আসছেন হাওরে। ঈদের পর থেকে একটু আনন্দের খোঁজে দর্শনার্থীরা বেছে নিয়েছেন মিঠামইন অলওয়েদার সড়কের জিরোপয়েন্টকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা এমনকি রাত পর্যন্ত সব বয়সীদের উপচে পড়া ভিড় সেখানে লেগেই রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণত হাওরে বর্ষা থাকে বছরের প্রায় ছয় মাস। পানি আসতে শুরু করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ থেকে। শেষ হয় আশ্বিন-কার্তিকে। তখন পুরো সময়জুড়েই হাওরে পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে এবার শুকনো মৌসুমেও উৎসবে মাতোয়ারা বিনোদনপ্রেমীরা।

মিঠামইন সদ‌রের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ব‌লেন, নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা যারা এই সময়টাকে এখানে ব্যবসা করি বা অন্যরাও এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখি। তবে উঠতি বয়সীদের বেপ‌রোয়া বাইক চালা‌নো আমাদের কিছুটা দুঃশ্চিন্তা রা‌খে। এ দিকটায় প্রশাস‌নের একটু নজর দেওয়া উচিত।
 

মন্তব্য

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’
ছবি: কালের কণ্ঠ

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শহীদ আবু সাইদ, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আনাসের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছি। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা তাদের বিচার করবো।

দিল্লি থেকে কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।'

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

 

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসব শহীদের রক্তের ওপর দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের দেশ ছাড়ার সিগন্যাল দিয়েছিলেন।

দেশে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন সবাই পালিয়ে গেছেন।’

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তিনি বলেন,‘দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতই ষড়যন্ত্র করুক ফ্যাসিবাদী খুনিদের বিচার আমরা করবোই। দিল্লিতে বসে করা কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের মানুষকে সেই বিচার থেকে পেছনে ফেরাতে পারবে না।

জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মেহাম্মদ নসরুল্লাহ। দিনব্যাপী পুনর্মিলনী আয়োজনে কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মদ্যপানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ২ জনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শেয়ার
মদ্যপানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ ২ জনের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মদ পান করে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাসহ দুইজন মারা গেছেন। বুধবার (২ এপ্রিল) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময় অসুস্থ হয়েছেন ৯ জন। 

নিহতরা হলেন শাহানগর গ্রামের জাফর খাঁর ছেলে কাদাকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মাদুর ব্যবসায়ী জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও তেঁতুলিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মাদুর ব্যবসায়ি নাজমুল হোসেন (৩৫)।

আরো পড়ুন
সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

পাইকহাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনরা হলেন মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের আবু হাসানের ছেলে বিএনপি কর্মী হৃদয় হোসেন, ব্রাহ্মণ তেঁতুলিয়া গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে মারুফ হোসেন, আবু সাঈদের ছেলে ফারুক হোসেন, তেঁতুলিয়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন ও মোকামখালি গ্রামের কুদ্দুস গাজীর ছেলে কাদাকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদরের সদস্যসচিব ইমরান হোসেন। অন্য পাঁচজনের পরিচয় জানা যায়নি।

শাহানগর গ্রামের জাফর খাঁর ছেলে টুটুল হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর তার ভাই টিটু, ইমরান, নাজমুলসহ ১১ জন বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক ঈদের আনন্দ করতে সোমবার সন্ধ্যায় মোকামখালি স্লুইজ গেটের পাশে শ্মশান এলাকায় যেয়ে মদ জাতীয় কোমল পানীয় পান করেন। কিছুক্ষণ পর তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে বা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরো পড়ুন
ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

তিনি আরো জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশাশুনির মানিকখালি ব্রীজের পাশে মারা যায় টিটু। একইভাবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নাজমুলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন বুধবার ভোর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন টুকু জানান, তার ভাই টিটু ও নাজমুল স্পীড জাতীয় বিষাক্ত পানীয় পান করে মারা গেছেন।

আরো পড়ুন
ঈদ করতে এসে ধরা পলাতক আ. লীগ নেতা

ঈদ করতে এসে ধরা পলাতক আ. লীগ নেতা

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নোমান হোসেন জানান, বিষাক্ত মদ পানে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয়।

মন্তব্য

‘সব কিছু রেডি রাখবি নইলে কোপ দিমু’

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
শেয়ার
‘সব কিছু রেডি রাখবি নইলে কোপ দিমু’
সংগৃহীত ছবি

‘আমরা ১৫-০৪-২০২৫ তারিখে আসব, সব কিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু’—এই বাক্য লিখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর গ্রামের সাবেক কমিশনার হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে অজ্ঞাত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ এই হুমকিসংবলিত চিঠি প্রথম পাঠানো হয়। এরপর আবারও মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা একই ধরনের হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে লিখে বাড়ির দেয়ালে টানিয়ে রাখে।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

 

এই ঘটনা দেখে সাবেক কমিশনার হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়া বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানান।

পরবর্তীতে তারা সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমানকে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “গত ২৫ মার্চ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আমার বাড়ি ও দলিল লেখক আব্দুর রউফের বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে চিঠি ফেলে যায়। এরপর আবারও মঙ্গলবার গভীর রাতে আমাদের বাড়ির দেয়ালে লিখে রাখে—‘আমরা আসব, সব কিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু, তোদের কাছের মানুষ।’ এই ঘটনায় আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি।

আমাদের কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই, তবে জায়গা-জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি মামলা চলমান।”

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, চিঠির মাধ্যমে ডাকাতির হুমকিসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ