ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

বাকযুদ্ধে নাসিরউদ্দিনের পাশে দাঁড়ালেন শশী থারুর

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
বাকযুদ্ধে নাসিরউদ্দিনের পাশে দাঁড়ালেন শশী থারুর

বুধবার বলিউডের দুই বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ এবং অনুপম খেরের বাকযুদ্ধে সগরগরম হয়ে উঠেছিল নেটদুনিয়া। প্রসঙ্গ সেই NRC, CAA। গেরুয়া সমর্থক অনুপম খেরকে কোনওরকম রেয়াত না করেই বাক্যবাণ ছুঁড়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ।

বলেছেন, “অনুপম ক্লাউন!” পালটা দিয়েছেন খেরও।

অনুপমের সমর্থনে মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বরাজ কৌশলও (প্রয়াত সুষমা স্বরাজের স্বামী) নাসিরুদ্দিনকে তোপ দেগেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলেছেন, “নাসিরুদ্দিন আপনি অকৃতজ্ঞ।” কটাক্ষ করেছেন নাসিরুদ্দিনের ধর্ম নিয়েও। এবার নাসিরুদ্দিনের পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
টুইটে একহাত নিলেনও স্বরাজ কৌশলকে।

অনুপমকে ‘ক্লাউন’ বলার পর, স্বরাজ কৌশল টুইটে লিখেছিলেন যে, “নাসিরুদ্দিন আপনি একজন অকৃতজ্ঞ মানুষ। এই দেশ আপনাকে নাম, যশ, অর্থ সব দিয়েছে। তবুও আপনি হতাশ।

আপনি আপনার ধর্মের বাইরে গিয়ে বিয়ে করেছেন। দেশ থেকে কেউ কখনও একটি কথাও বলেননি। আপনার ভাইও ভারতীয় সেনাবাহিনির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। আপনাকে কি সমান সুযোগের চেয়ে একটু বেশি দেওয়া হয়ে গিয়েছে?” এর প্রত্যুত্তরেই নাসিরুদ্দিনের হয়ে ময়দানে নামেন শশী থারুর।

কোনওরকম রাখঢাক না করে মেরুকরণের রাজনীতিকে কটাক্ষ করে শশী পালটা টুইটে লেখেন, “গভর্নর সাহেব, ধর্মের বাইরে বিয়ে করাও কি এখন দেশবিরোধী? নাকি অনুপম খেরের সমালোচনা করতেই।

একজন বন্ধুর পক্ষে কথা বলার জন্য, এসব পন্থা বেছে নেবেন না!”

‘আ ওয়েডনেসডে’ সিনেমার পর আবারও নাসিরুদ্দিন-অনুপমকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তে দেখা গেল সেই বুধবারেই। ‘রিল লাইফে’ নয়, বরং ‘রিয়েল লাইফে’ ঘটল। গেরুয়া সমর্থক অনুপমকে কটাক্ষ করে নাসিরুদ্দিন বলেন, “ক্ষমতাবানদের চামচাগিরি করা ওঁর রক্তে রয়েছে। অনুপম খেরের মতো কেউ কেউ আবার সোশ‌্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয়। কিন্তু আমার মনে হয় না, ওঁর কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অনুপম খের আসলে একটা ‘ক্লাউন’ (ভাঁড়)! ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা কিংবা NFTII-এ ওঁর ব‌্যাচের যে কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, সকলে জানে যে ও ক্ষমতাবানদের চামচাগিরি করতে ভালবাসে।”

এরপর অভিজ্ঞ অভিনেতাকে পালটা দিলেন অনুপমও। বললেন, “কখনও আপনার সম্পর্কে কটূক্তি করিনি, কিন্তু আজ জবাব দিতে বাধ‌্য হচ্ছি। আমি বলতে বাধ‌্য হচ্ছি, প্রচুর সাফল‌্য পাওয়া সত্ত্বেও আপনি আপনার গোটা জীবন চরম হতাশায় কাটিয়েছেন। আপনার মনের গহনে এমন কিছু মতাদর্শ ঢুকে গিয়েছে, যার জন‌্য আপনি কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, বিচার করতে ভুলে গিয়েছেন। যদি আমার নিন্দা করে আপনি প্রচার পেতে চান, তাহলে সেটা করেই খুশি থাকুন। আর আমার রক্তে কী আছে জানেন? ভারত আছে। সেটা বুঝতে শিখুন।’’

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘কৃষ ৪’ থেকে সরে দাঁড়ালেন পরিচালক-প্রযোজক

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
‘কৃষ ৪’ থেকে সরে দাঁড়ালেন পরিচালক-প্রযোজক
সংগৃহীত ছবি

হৃতিক রোশনের ‘কৃষ ৪’ নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। দর্শকরাও মুখিয়ে আছেন সিনেমাটির জন্য। তবে মনে হচ্ছে, দর্শকদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে এই সিনেমার জন্য।

সূত্রের খবর, ‘কৃষ ৪’-এর ক্ষেত্রে বাজেট এখন অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

খবর অনুযায়ী, সিনেমটির বাজেট এত বেশি যে ছবিটি নির্মাণ করতে রাজি নয় কোনও প্রযোজক।

বলিউড হাঙ্গামার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘কৃষ ৪’-এর জন্য অত্যাধিক বাজেটের প্রয়োজন এবং কোনো স্টুডিও ৭০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করার ঝুঁকি নিতে চাইছে না। প্রথমে হৃতিক রোশন তার বন্ধু সিদ্ধার্থ আনন্দকে ছবিটির জন্য প্রযোজনা সংস্থা খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সিদ্ধার্থ আনন্দের এই ছবিটি প্রযোজনা করার কথা ছিল।

কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে যে সিদ্ধার্থও এই প্রকল্প থেকে সরে গেছেন। 

সূত্রের খবর, শুধু সিদ্ধার্থ নন, ছবির পরিচালক করণ মালহোত্রাও ‘কৃষ ৪’ থেকে সরে গেছেন। খবর অনুযায়ী, ‘মার্ভেল’ ছবির যুগে কোনো স্টুডিও এত বড় বাজেট নিয়ে এগোতে চাইছেন না, তাই কৃষ ৪ তৈরি এখন অনিশ্চয়তায়! 

মুভি টকিজের একটি প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, ‘কৃষ ৪’-এর জন্য ৭০০ কোটি বাজেটের প্রয়োজন নেই। তবে সিদ্ধার্থ এবং করণ যে ছবি থেকে সরে গেছেন সেকথা সঠিক বলেই নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, রাকেশ রোশন আগের একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে তিনি পরিচালনার কাজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিয়েছেন এবং আর কোনো ছবি পরিচালনা করবেন না। তবে তিনি ভক্তদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে ‘কৃষ ৪’-এর কাজ চলছে এবং শীঘ্রই এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। কিন্তু পরিচালক বা প্রযোজক যদি সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা চিন্তা থেকে যায় বৈকি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘লোকটা আমাকে খারাপ কিছু দেখাচ্ছে’, চিৎকার অভিনেত্রীর

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
‘লোকটা আমাকে খারাপ কিছু দেখাচ্ছে’, চিৎকার অভিনেত্রীর
সংগৃহীত ছবি

মুম্বাই শহরের আনাচে কানাচে ‘শি’ ওয়েব সিরিজের শুটিং করেছিলেন অদিতি পোহানকার। এতে তুলে ধরা হয়েছিল রাতের মুম্বাই শহরের চিত্রও। সিরিজটির কারণে সাড়াও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। মুম্বাই শহরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দু’টি ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন অদিতি। তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে দুটি ঘটনা ঘটেছে। আমার মা শিক্ষিকা ছিলেন। আমাদের আবাসন থেকে একটা বাস পেতাম।

সেই বাসেই স্কুলে যেতাম। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির পরেই বলা হয়, রাস্তা থেকে বাসে উঠে স্বাধীনভাবে আসতে।’

একদিন বাসে উঠেই ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। সঙ্গে ছিল তার মায়েরই এক ছাত্র।

অদিতি তাকে দাদা বলে ডাকতেন। সেই ছেলেটি বাসে উঠে বসার পরে নিজের কোল থেকে ব্যাগ সরিয়ে গোপনাঙ্গ দেখতে বলেছিল অদিতিকে। তবে অভিনেত্রী চুপ থাকেননি।

অদিতি বলেছেন, ‘প্রথমে আমি হাসি। কিন্তু ওর চোখের দিকে তাকাতেই বুঝি, উদ্দেশ্য ভালো না।

সঙ্গে সঙ্গে ওঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলি, এই লোকটা আমাকে খারাপ কিছু দেখাচ্ছে। ও চমকে গিয়েছিল। প্যান্টের চেন আটকাতেও ভুলে গিয়েছিল। ওর প্যান্ট তখন প্রায় খুলে যাওয়ার অবস্থা। সেই অবস্থাতেই চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়েছিল।’ অদিতির প্রতিবাদের কথা শুনে তার মা পিঠ চাপড়েছিলেন।

From Desi to Diva: Aditi Pohankar's Fashion Journey

আরেকটি ঘটনা মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে। স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। স্কুল পোশাক পরা এক ছেলে মহিলা কামরায় ওঠে অদিতির পাশে দাঁড়ায়। 

তার কথায়, ‘স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছিল।’ এর পর পরের স্টেশনেই নেমে যান অদিতি।

পুলিশকে ঘটনা জানাতেই তারা প্রমাণ চান। সেই ছেলেটি বয়সে অদিতির চেয়ে ২-৩ বছরের ছোট ছিল। পুলিশ ছেলেটিকে প্রশ্ন করতেই সে অস্বীকার করে। তখন অদিতি নিজেই মারতে যান। বেগতিক দেখে ছেলেটি ক্ষমা চেয়ে পুরো ঘটনা স্বীকার করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদ আনন্দমেলা উপস্থাপনা করবেন নাবিলা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদ আনন্দমেলা উপস্থাপনা করবেন নাবিলা
সংগৃহীত ছবি

বরাবরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ঈদ অনুষ্ঠান আনন্দমেলা। এবারের ঈদ আনন্দমেলা উপস্থাপনা করবেন মাসুমা রহমান নাবিলা, তার সঙ্গে থাকবেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমন।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠানের স্টুডিও পর্বের দৃশ্যধারণ হবে বলে জানা গেছে। উপস্থাপনায় বৈচিত্র্য আনতে এবার নাবিলা ও ইমনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে—এমনটাই জানিয়েছেন আনন্দমেলা সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ২০১৮ সালে প্রথমবার আনন্দমেলা উপস্থাপনা করেছিলেন নাবিলা। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন সজল। প্রায় সাত বছর পর আবারও দেখা যাবে নাবিলাকে। 

No photo description available.

নাবিলা বললেন, ‘বিটিভির কয়েকটি সিগনেচার অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি আনন্দমেলা।

দীর্ঘ সময় ধরে তারা অনুষ্ঠানটি ধরে রেখেছেন। এই অনুষ্ঠানের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের এখনো অনেক বেশি আগ্রহ আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য মানুষের আগ্রহ দেখা যায়। তাই ভালো লাগছে।
ঈদ ভাইবটা অনুভব করছি।’

প্রসঙ্গত, ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন মাসুমা রহমান নাবিলা। গেল বছর মুক্তি পাওয়া ছবিটি তাকে আলোচনায় আনলেও এরপর অবশ্য আর নতুন কোনো ছবিতে দেখা যায়নি। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার ‘বনলতা সেন’ সিনেমাটি।

মন্তব্য

থানায় শারীরিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিলেন অভিনেত্রী রান্যা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
থানায় শারীরিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিলেন অভিনেত্রী রান্যা
সংগৃহীত ছবি

সোনা পাচারের অভিযোগে সপ্তাহদুয়েক আগে দুবাই থেকে ফেরার সময় ভারতের বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। তল্লাশিতে তার পোশাক এবং বেল্টের ভেতর থেকে বেরিয়েছিল অন্তত ১৪ কেজি সোনা।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, গ্রেপ্তার করে তাকে হেফাজতে নেওয়ার পর অকথ্য অত্যাচার করার অভিযোগ করেছেন তিনি। রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (ডিআরআই) বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ এনেছেন রান্যা রাও।

এ বিষয়ে ডিআরআইয়ের এডিজির কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন।

রান্যার অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাকে। হেফাজতে থাকাকালীন তার ওপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। রান্যার কথায়, ‘গ্রেপ্তারের মুহূর্ত থেকে আদালতে হাজির করানো পর্যন্ত একাধিকবার আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে।

জেরার নামে ১০-১৫ বার চড় মেরেছেন তদন্তকারীরা। এর পরেও আমি তাদের লিখিত বিবৃতিতে সই করতে রাজি হইনি। কিন্তু তাতে উল্টো শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। শেষমেশ আমাকে ৫০-৬০টি টাইপ করা পৃষ্ঠা এবং প্রায় ৪০টি সাদা পাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন ডিআরআই কর্মকর্তারা।
 

আরো পড়ুন
ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঢাকা ছেড়েছেন গুতেরেস

ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঢাকা ছেড়েছেন গুতেরেস

 

এ ছাড়াও রান্যা জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর টানা ২৪ ঘণ্টা তাকে কোনো খাবার কিংবা পানি দেওয়া হয়নি। ঘুমাতেও দেওয়া হয়নি। একটানা চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ