মা হয়েছেন হলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা কেটি পেরি । আজ বৃহষ্পতিবার ২৭ আগস্ট পৃথিবীতে এসেছে তার প্রথম সন্তান। কন্যার নাম রাখা হয়েছে ডেইজি ডোভ ব্লুম।
শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর ইউনিসেফ তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ডেইজি ডোভ ব্লুমকে পৃথিবীতে স্বাগতম।
মা হয়েছেন হলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা কেটি পেরি । আজ বৃহষ্পতিবার ২৭ আগস্ট পৃথিবীতে এসেছে তার প্রথম সন্তান। কন্যার নাম রাখা হয়েছে ডেইজি ডোভ ব্লুম।
শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর ইউনিসেফ তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ডেইজি ডোভ ব্লুমকে পৃথিবীতে স্বাগতম।
তারা আরও জানিয়েছে, মা এবং মেয়ে দুজনেই বেশ সুস্থ আছেন। কেটি এবং ব্লুমের একসঙ্গে থাকা নিয়ে প্রথম গুঞ্জন আসে ২০১৬ সালে। একটি পার্টির পর তাদের একসঙ্গে থাকা নিয়ে গুঞ্জনটি আরও বাড়তে থাকে।
আর মা হওয়ার খবরটি কেটি পেরি নিজেই সবাইকে জানান চলতি বছরের এপ্রিলে।
সম্পর্কিত খবর
স্বপ্নের টানে কত মানুষই দূর দূরান্ত থেকে শহরে আসেন। কেউ কেউ সেটা পূরণ করতে পারেন আবার বেশিরভাগই সাফল্য থেকে থাকেন বহু দূরে।অনেকেই বলে থাকেন, স্বপ্ন বিকোয় বিনামূল্যে! স্বপ্নের শহরে টিকে থাকা আবার বেশ ব্যয়বহুল। আর তাই মুম্বাই শহর ছেড়েছেন হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ, অভিনেত্রী চারু আসোপা।
মুম্বাই ছেড়ে নিজের হোমটাউন রাজস্থানের বিকানেরে চলে গেছেন তিনি। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সালোয়ার কামিজ এবং শাড়ি বিক্রি করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
যে ভিডিও দেখে বহু নেটিজেনই বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, ‘সুস্মিতা সেনের এক্স-বৌদি অনলাইনে পোশাক বেচে সংসার চালাচ্ছেন!’।
হিন্দুস্তান টাইমসকে চারু বলেন, ‘মুম্বাই ছেড়ে আমি আমার হোমটাউন রাজস্থানের বিকানেরে চলে এসেছি।
মুম্বাই ছাড়া প্রসঙ্গে চারু বলেন, ‘মুম্বাইতে থাকা সহজ নয়, অনেক টাকা লাগে। আমার মাসিক খরচ ১-১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতো, ভাড়া এবং সবকিছু মিলিয়ে, যা মোটেও সহজ ছিল না। আর এছাড়াও, নাগাওঁ (মুম্বাই) তে শুটিং করার সময় জিয়ানাকে (সন্তান) একা ন্যানির সাথে রেখে যেতে হতো, যেটা আমি চাইনা। এটা অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘এমন নয় যে আমি কোনো বড় প্রজেক্টের শুটিং করছিলাম। কারণ, এই মুহূর্তে আমি দৈনিক ধারাবাহিক না করাই ভালো মনে করি কারণ আমি জিয়ানার উপর মনোযোগ দিতে চেয়েছিলাম। আমি এখান থেকে ডিজিটাল কন্টেন্ট শুট করতে পারি। যদি আমাকে শুটিংয়ের জন্য যেতেও হয়, তাহলেও আমি জিয়ানাকে ওর দাদু-দিদার কাছে রেখে যেতে পারব, ন্যানির চেয়ে সেটা ভালো।’
‘আমি বিকানেরে একটি বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছি। এদিকে, জিয়ানা এবং আমি আমার বাবা-মার সঙ্গে থাকছে। আগামীকাল, আমি আমার বাকি জিনিসপত্র আনতে মুম্বাই ফিরে যাচ্ছি।’-যোগ করেন চারু।
তার আর্থিক অবস্থা নিয়ে, তাকে এবং তার ব্যবসাকে নিয়ে লোকজনের নানান প্রশ্ন ও সমালোচনা প্রসঙ্গে ট্রলকারীদের উদ্দেশ্যে চারু বলেন, ‘যখন আপনি নতুন কিছু শুরু করেন, তখন এমনই করেন। আমার ক্ষেত্রে নতুন কী আলাদা? আমি সবকিছু নিজেই করছি, অর্ডার নেওয়া থেকে শুরু করে প্যাকেজ পাঠানো এবং স্টক সংগ্রহ পর্যন্ত। যখন আমি অভিনয়ের জন্য মুম্বাই এসেছিলাম তখনও তা সহজ ছিল না। আমি নিজের নাম প্রতিষ্ঠার জন্যও অনেক লড়াই করেছি এবং সফলও হয়েছি। এখন, আমি এই ব্যবসা শুরু করেছি যাতে আমি আমার সন্তানের উপর বেশি মনোযোগ দিতে পারি এবং আমার মনে হয় এটা ভুল নয়।’
প্রসঙ্গত, এর আগে চারু এবং তার প্রাক্তন স্বামী রাজীব সেন তাদের ডিভোর্সের খবরের কারণে চর্চায় ছিলেন। তাদের ৩ বছরের মেয়ে রয়েছে, নাম জিয়ানা।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া ঈদুল ফিতরে ইউটিউবে বেশ সাড়া ফেলেছে তানিম রহমান অংশু পরিচালিত এক ঘণ্টার ফিকশন ‘খালিদ’। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। আর এই ফিকশনের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং এতে ব্যবহৃত ‘আসো না’ গানের সুর ও সংগীত করেছেন ই কে মজুমদার ইস্তি।
‘খালিদ’ নিয়ে নেটিজেনদের আলোচনার পাশাপাশি এতে ইস্তির করা বিজিএম এবং একমাত্র গানটিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা ‘আসো না’ গানটির দুটি ভার্সন তৈরি করেছেন ইস্তি। যার একটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন শাফাত শামস। যেটি ইউটিউবে প্রমোশনাল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।
‘খালিদ’ এর কাজ প্রসঙ্গে ই কে মজুমদার ইস্তি বলেন, ‘এই কাজটি আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণটা হলো গল্প। যারা এটি দেখেছেন তারা জানেন এই গল্পটা কতটা টান টান উত্তেজনার মধ্যে এগিয়েছে।
এটি ছাড়াও ঈদের তিনটি নাটকে শোনা গেছে ইস্তির বিজিএম। এগুলো হলো- এ কে পরাগ পরিচালিত মুশফিক আর ফারহান-সাদিয়া আয়মান অভিনীত ‘লাইজু’, একই নির্মাতার পরিচালনায় মুশফিক আর ফারহান-সাফা কবির অভিনীত ‘হাউকাউ’ এবং ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল পরিচালিত জিয়াউল হক পলাশ-পারসা ইভানা অভিনীত ‘হোসেন এর গল্প’।
এদিকে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল ‘বঙ্গ’তে আসছে ইস্তির বিজিএম করা ‘ননসেন্স’। রাকেশ বসুর পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার, আইশা খান, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ। এই কাজটি নিয়ে বেশ আশাবাদী তরুণ এই সংগীত পরিচালক।
টেইলর সুইফটের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের বন্ধুত্ব এড শিরানের। সম্প্রতি ‘কল হার ড্যাডি’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক কিছু শেয়ার করেছেন গ্র্যামিজয়ী এই গায়ক-গীতিকার। সেই সঙ্গে ২০১৩ সালের রেড ট্যুরে একসঙ্গে সময় কাটানো এবং দুজনের ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা ঘনিষ্ঠ থাকতে পেরেছিলেন সে সম্পর্কেও স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
টেইলর সুইফট বর্তমানে ট্র্যাভিস কেলসের সাথে ডেটিং করছেন।
কল হার ড্যাডি পডকাস্টে উপস্থিত হয়ে সুইফটের সঙ্গে ঘনিষ্টতা প্রসঙ্গে এড শিরান বলেন, ২০১৩ সালের রেড ট্যুরের সময় আমাদের একসঙ্গে কাটানো সেই অভিজ্ঞতাগুলো মনে পড়ে।
তিনি জানান যে, বছরের পর বছর তারা ব্যস্ত সময়সূচী এবং কঠোর ক্যারিয়ারের মধ্যেও তাদের বন্ধন বজায় রাখতে পেরেছেন।
বন্ধুত্বের প্রথম দিনগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে, এড শিরান টেইলর সুইফটের সঙ্গে ভ্রমণে তারা কতটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন তা তুলে ধরেন।
‘আমি আক্ষরিক অর্থেই প্রায় ছয় মাস তার সঙ্গে প্রায় প্রতিটি দিন কাটিয়েছি,’ বলেন তিনি। ‘আমি এবং সে ন্যাশভিলে থাকতাম এবং আমরা একসঙ্গে গিগগুলোতে যাতায়াত করতাম।’
সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার সময় তাদের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন ছিল, উল্লেখ করেন এড শিরান।
রেড ট্যুর উভয় সঙ্গীতশিল্পীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল এবং তারা যে অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করেছিলেন তা এখনও শিরানের জন্য অর্থ বহন করে।
আমি মনে করি সেই সময়টাতে, আমি জানি, আমি যখন তাকে দেখি তখন তাকেই দেখি, বললেন এড। তার সঙ্গে আমার বছরে চারবার দেখা হয়। প্রতিবার আমরা যা বলি ঠিক তাই করি, যেমন দুজনের একসঙ্গে বসা, ৬ ঘণ্টার ক্যাচ-আপ ইত্যাদি।
শিরান প্রায়শই তাদের সম্পর্ক কতটা সহজ এবং অকৃত্রিম তা তুলে ধরেন। যদিও তারা এখন ভিন্ন শহরে বাস করে এবং তাদের দুজনেরই ব্যস্ততা রয়েছে, তবুও তারা সাক্ষাতের জন্য সময় বের করে নেয়, প্রায়শই যখনই তারা পুনরায় মিলিত হয় তখন ঘন্টার পর ঘন্টা কথোপকথনে সময় পার করেন।
এই আলোচনাগুলোকে থেরাপিউটিক হিসাবে বর্ণনা করে শিরান বলেছেন যে, টেইলর হলেন সেই কয়েকজনের মধ্যে একজন যারা সত্যিই তাদের সাফল্যের সঙ্গে আসা চাপ এবং বিচ্ছিন্নতা বোঝেন।
তাদের বন্ধুত্ব কেবল আড্ডা দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। টেইলর-শিরান ‘এভরিথিং হ্যাজ চেঞ্জড’, ‘এন্ড গেম’ এবং ‘দ্য জোকার অ্যান্ড দ্য কুইন’ এর মতো বেশ কয়েকটি গানে একসঙ্গে কাজ করেছেন। এই প্রজেক্টগুলো তাদের সৃজনশীল রসায়ন এবং একে অপরের শৈল্পিকতার প্রতি আস্থা প্রতিফলিত করে।
এর বাইরে শিরান সুইফটের কাজের নীতির প্রশংসাও করেছেন, তাকে তার পরিচিত সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের একজন বলেও অভিহিত করেছেন।
প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসেবে বিশ্বমানের ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালা-য় ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছেন শাহরুখ খান। তার ম্যানেজার পূজা দাদলানির এক ইঙ্গিতেই জল্পনার সূত্রপাত। শাহরুখ এই মুহূর্তে তার পরবর্তী সিনেমা ‘কিং’ নিয়ে ব্যস্ত। উপরন্তু আইপিএল-এর মৌসুমে শাহরুখের আলাদা ব্যস্ততা থাকে।
জল্পনার সূত্রপাত, ‘ডায়েট সব্য’র অ্যাকাউন্টের একটি পোস্ট থেকে। যেখানে লেখা- “অসম্ভব ঘটনা ঘটতে চলেছে। ভারতীয় বিনোদুনিয়ার দুই মহীরুহ এবার নিজেদের শৈল্পিক দক্ষতার মেলবন্ধন ঘটাতে চলেছে।
ক্যাপশনে উল্লেখ- ‘এবারের মেট গালা উত্তেজনাপূর্ণ হতে চলেছে।
গতবার সব্যসাচীর পোশাকে রেড কার্পেটে মাতিয়েছিলেন আলিয়া ভাট। এবার কি তবে শাহরুখ খানের পালা? অনুরাগীদের কৌতূহল তুঙ্গে। যদিও এমন জল্পনায় এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শাহরুখ।
ভারতীয় সুন্দরীরা বেশ অনেক বছর আগে থেকেই ‘মেট গালা’র রেড কার্পেটে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ আর্ট কস্টিউম ইনস্টিটিউটে প্রতি বছর ঐতিহ্যবাহী এই ফ্যাশন ইভেন্ট হয়। বিশ্বের নামী ফ্যাশন ব্র্যান্ড, ডিজাইনার ও মডেলদের দেখা যায় এখানে। ২০২৫ সালের ‘মেট গালা’ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৫ মে।