<p>ত্রয়োবিংশতম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠেছে। টানা ৪বারের মতো মর্যাদাপূর্ণ এই আসরের উপস্থাপনা করেন এ সময়ের ব্যস্ততম উপস্থাপক সাদিয়া রশ্নি সূচনা। বিংশতিতম আসর দিয়ে শুরু হয় এই ফেস্টিভালের সাথে সূচনার যাত্রা।</p> <p>এই আসরেই পর্যায়ক্রমে সূচনা মঞ্চ ভাগাভাগি করেন বিশ্বখ্যাত ইরানি নির্মাতা মাজিদ মাজিদি, ওপার বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, শর্মিলা ঠাকুর, মমতা শংকর, শ্রীলেখা মিত্র, স্বস্তিকা মুখার্জি প্রমুখের মতো গুণী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। </p> <p>সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে সাবলীল হয়েছেন সূচনা। আর তার সঙ্গে সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় বেশির ভাগ ব্র্যান্ডের সঙ্গে। সভা, সেমিনার, কনসার্ট বা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা আয়োজনে তাই সূচনার সরব উপস্থিতি। টেলিভিশনে ও মঞ্চে সমান ব্যস্ত এই উপস্থাপক উপস্থাপনার পাশাপাশি জাতিসংঘের সঙ্গে কর্মরত আছেন জাতীয় পরামর্শক হিসেবেও।</p> <p>সেখানে জনসচেতনতামূলক কন্টেন্ট নির্মাণে এবং ‘ওয়াক দ্য টক’ পডকাস্টেও তার ব্যক্তিত্ব ও উপস্থিতি সমানভাবে হয়েছে প্রশংসিত। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, আপন আহসানদের মতো গুণী নির্মাতাদের ডিরেকশনে কাজের সুযোগও মিলেছে সেখানে। শীঘ্রই আসছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ডিরেকশনে নতুন একটি বিজ্ঞাপন।</p> <p>স্নাতকজীবনে ২০২০ সালে একটি টিভি অনুষ্ঠানে ‘চায়না বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাম্প’-এর অনুভূতির কথা অতিথি হয়ে জানাতে এসে সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থাপক হওয়ার প্রস্তাব পান সূচনা। সে সময় গ্র্যাজুয়েশন শেষ না হওয়ায় কিছুদিন সময় নেন। অতঃপর ২০২১-এর মার্চে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে যুক্ত হন। গেস্ট থেকে হোস্ট হওয়া সূচনা পরবর্তীতে উপস্থাপক হিসেবে নিজের পরিচয় গড়তে খুব বেশি সময় নেননি। স্পষ্ট উচ্চারণ, নান্দনিক পরিবেশনা, বিচক্ষণতা ও পরিশ্রম দিয়ে সদর্পে এগিয়ে গেছেন।</p> <p>বরাবরের মতো এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেকশনে বাংলাদেশসহ ৭৫টি দেশের পূর্ণ ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ২০৩টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। এসব চলচ্চিত্রের ভেতর বাংলাদেশের মোট ৪৪টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা, অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের মিলনমেলায় জমজমাট এই আয়োজন চলবে ৯ দিনব্যাপী। </p> <p>১৯৯২ সাল থেকে ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানকে সামনে রেখে, নিয়মিত চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি। এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৭ সালে।</p>