কিছুদিন আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয় সে সময়। বেশকিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। কাজ থেকে বিরতিও নিয়েছেন।
কিছুদিন আগেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয় সে সময়। বেশকিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। কাজ থেকে বিরতিও নিয়েছেন।
কেমন আছেন?
সবার দোয়ায় এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। আজ (শনিবার) বিশ্রামে আছি, বাসায়। চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে কাজ করছি। শুক্রবার শুটিং করেছি তৌফিকুল ইসলামের ‘বাজি’ নাটকের।
সামনে ভালোবাসা দিবস, রোজার ঈদ। প্রতিবছর এই সময়ে তো প্রচুর কাজ করেন। এবার তাহলে সেটা হচ্ছে না?
না। ওই যে বললাম, শিক্ষা নিয়েছি। এক মাস আগেও পরিকল্পনা করেছিলাম, টানা শুটিং করব। আসলে সারা বছরে তো আমাদের সিজন দুই ঈদই। ভালোবাসা দিবস, পহেলা বৈশাখ—এগুলো তো এক দিনের উৎসব। তবে হাসপাতাল থেকে ফিরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগে জীবন তারপর উদযাপন। প্রতিটি নাটকের পর একটা বিরতি নেব। সেভাবেই শিডিউল দিচ্ছি। অনেক লেবেল কম্পানি মন খারাপ করছে। তাদের বোঝাচ্ছি, আমি না থাকলে ব্যবসা করবেন কিভাবে! আমাকে বাঁচিয়ে রেখে ব্যবসা করুন।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলেন। আসলে কী হয়েছিল আপনার, সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। বলবেন কি?
অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তবে লুকানোটাই উচিত মনে হয়েছে। তার পরও আপনাকে কিছুটা আঁচ দিতে চাই। তিন-চার মাস আগে আমার একটা সমস্যা হয়েছিল। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিলাম। কথা ছিল, প্রতি মাসে চেকআপ করাতে হবে। তবে শুটিংয়ের ব্যস্ততায় সেই চেকআপ করাতে পারিনি। ভেতরে ভেতরে ইনফেকশনটা এমন দাঁড়ায় যে শুটিং স্পটেই অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরের খবর তো জানেনই। আমার ভক্তদের উদ্দেশে বলব, জীবন একটাই। এটাকে হেলাফেলা করবেন না। যদি চিকিৎসকের পরামর্শ মানতাম তাহলে এই দুঃসময় হয়তো আমার জীবনে আসত না।
ইউটিউবে নাটকের ভিউ আশঙ্কাজনক হারে কমে গিয়েছিল। আপনার নতুন নাটক ‘মনের মাঝে তুমি’ ভালো ভিউ পাচ্ছে। এখন কি ধীরে ধীরে ভিউয়ের শঙ্কা কাটছে?
আমার মনে হয় কাটছে। তবে সবাইকে একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, ভালো কাজের বিকল্প নেই। এই যে দর্শক আবার নাটকে ফিরছে, সেটা ভালো কাজের জন্যই। মাত্র দুই দিনে ১৮ লাখের বেশি মানুষ দেখেছে ‘মনের মাঝে তুমি’। পরিচালক রুবেল আনুষের মুনশিয়ানা যেমন আছে তেমনই গল্প, আমার আর ফারিণ খানের রসায়নও দর্শক পছন্দ করেছে।
অভিযোগ আছে, আপনি নিজেই লেবেল কম্পানিকে নির্মাতা, গল্প এমনকি সহশিল্পী পর্যন্ত ঠিক করে দেন। এটা কি সত্য?
আজকের মুশফিক আর ফারহান হতে আমাকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। মনে রাখতে হবে, কোনো রিয়ালিটি শো থেকে আমার জন্ম হয়নি। কোনো নির্মাতা বা প্রযোজকের আশীর্বাদপুষ্টও নই আমি। ধীরে ধীরে দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছি। এটা তো আবেগ বা সেন্টিমেন্ট দিয়ে নষ্ট করতে পারি না! কেউ এসে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে যা-তা একটা গল্প আর সহশিল্পী ধরিয়ে দেবেন আর আমি দাঁড়িয়ে যাব ক্যামেরার সামনে? না। সবার আগে আমি নিজে একজন ভালো দর্শক। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে গল্প বা নির্মাতার কাজ ভালো না লাগলে কোনো দিনও অনুরোধে ঢেঁকি গিলব না।
শুটিংয়ে আবার দেশের বাইরে যাচ্ছেন কবে?
৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া যাব। সেখানে চারটি নাটকের শুটিং করব। সহশিল্পী ও নির্মাতাদের নাম পরে জানাব। প্রজেক্টগুলো ঈদের।
২০২৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেকের কথা বলেছিলেন। সেটা নিশ্চয়ই হচ্ছে?
অবশ্যই হবে। শিগগিরই খোলামেলা জানাব। বলতে পারেন, অভিষেকের দ্বারপ্রান্তে আছি। এখন শুধু পর্দা উন্মোচনের পালা।
সম্পর্কিত খবর
ঈদ এলেই উৎসবের রং ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। তারকারাও ব্যতিক্রম নন। সাধারণ মানুষের মতো পর্দার মানুষগুলোও এই দিনটিকে ঘিরে সাজিয়ে রাখেন বিশেষ পরিকল্পনা। শুটিংয়ের ব্যস্ততা শেষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো—সব মিলিয়ে ঈদ মানেই বাড়তি আনন্দ।
অভিনেত্রী সাফা কবির। বছরজুড়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি ঈদের অভিনেত্রীর ব্যস্ততা কম নয়। এই ঈদেও আসছে সাফার বেশ কয়েকটি নাটক।
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তমা মির্জার ‘দাগি’। সিনেমাটি ঘিরে দর্শক প্রত্যাশাও অনেক। তবে পর্দায় হাজির হওয়ার পাশাপাশি ঈদ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তমা মির্জা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সাথেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব। তারপর ‘দাগি’ টিমের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব। এরপর আবার নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখব। তখন দর্শকদের ‘র’ রিয়েকশনটা দেখতে পারি। এ রকমটা আগেও করেছি। ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময়ে আম্মু আর আমি টিকিট কেটে গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছিলাম। এবারও তাই করব।”
ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অন্যান্য সবার মতো আমাদের বাসায়ও গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাও রান্না করা হয়। তবে ঈদের দিন সাদা ভাত আর আম্মুর হাতের গরুর মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। সবার জন্য পোলাও রান্না করলেও আমার জন্য আম্মু সাদা ভাত রান্না করেন। এরপর সেমাই তো অবশ্যই। লাচ্ছি সেমাই আমার খুব প্রিয়, সেটাও আম্মুর হাতের।’
এবার ঈদে নুসরাত ফারিয়ার ‘জ্বিন ৩’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমার প্রচারের সঙ্গে ঈদ নিয়েও ব্যস্ত অভিনেত্রী। ঈদ নিজের মতো করে পালন করছেন নুসরাত ফারিয়া। ছোটবেলার ঈদ, আর এখনকার ঈদ কতটা বদলেছে? প্রশ্নের জবাবে নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘ছোটবেলার ঈদ অনেক ঝামেলাবিহীন, সহজ-সরল ছিল। এখন আর সেটা নেই। তবু ঈদ মানেই তো আনন্দ। এই আনন্দটা কতটা তা হয়তো ঠিক ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সারা মাস রোজা রাখার পর একটা দিন এভাবে সেলিব্রেট করার আনন্দই আলাদা। বাড়িতে সবার সঙ্গে কাটানো, এটা আসলে একাত্মতার দিন, সবাই এক হয়ে যাওয়ার দিন। ছোটবেলার ঈদের থেকে বড়বেলার ঈদ অনেকটাই বদলেছে, সেটা তো ঠিকই, তবু এই উৎসব আমার কাছে আজও আগের মতোই স্পেশাল।’
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আইশা খান। অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। এবার ঈদে বেশ কিছু নাটকে দেখা মিলবে তার। সেই ঈদের পরিকল্পনা হিসেবে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়া এবং সিনেমা দেখার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান আইশা। কালের কণ্ঠকে এই অভিনেত্রী বলেন, পরিকল্পনা হিসেবে বলা যায় একটু ঘোরাঘুরি আর সিনেমা দেখা। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমার লাইনআপটা খুবই ভালো। ইতিমধ্যে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটি দেখে ফেলেছি প্রিমিয়ার শোতে। এ ছাড়া বাকি যে সিনেমা রয়েছে সেগুলোর টিকিট পাব কি না জানি না। তবে যেটার টিকিট পাব সে সিনেমাটিই দেখতে যাব।’
এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিণ। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত তিনি। ফারিণ অভিনীত বেশ কটি নাটক ঈদুল ফিতরে প্রচার হবে। ঈদে পর্দার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনেও ফারিণ থাকবেন আনন্দ-উদ্দীপনায়। সারা বছর ডায়েট করে চললেও ঈদে খাওয়াদাওয়া করেন চুটিয়ে। এ প্রসঙ্গে ফারিণ বলেন, ‘ঈদের সময়ে ডায়েট ভুলে যাই আরকি! যদিও ডায়েট আমি কমই করি। আমি জেনেটিক্যালি একটু শুকনা। সারা বছর যতটুকু ডায়েট করি, ঈদের সময়ে ততটুকুও করি না।’
ঝাল, টক, মিষ্টি— কোনটা খেতে বেশি পছন্দ করেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ফারিণ খান বলেন, “ঝাল, আমি ঝাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি।”
দেশের শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত নায়ক জায়েদ খান। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। তবে বিদেশে থাকলেও দেশের ঈদ মিস করছেন অভিনেতা। কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, ‘বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মতো বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার। সেই সঙ্গে সব আপন মানুষরা তো রয়েছেনই।’
ছোট হোক কিংবা বড় পর্দা, মাধ্যম যা-ই হোক ঈদ উপলক্ষে শিল্পীদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। দর্শকদের ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে তারা কোনো কমতি রাখেন না। এবারের ঈদ বিশেষ আয়োজনে কালের কণ্ঠকে ঈদের পরিকল্পনা নিয়ে জানিয়েছেন সাফা কবির। শুনেছেন ইমরুল নূর।
ঈদের কাজের ব্যস্ততা কেমন ছিল? কাজগুলো নিয়ে প্রত্যাশা কী রকম?
ভালোই ছিল। আসলে ঈদের সময় ব্যস্ত থাকতে তো সবারই ভালো লাগে। এবার আমার কিছু সুন্দর গল্পের কাজ আসছে, যেগুলো নিয়ে আমি আসলে খুবই এক্সাইটেড। আমি কয়েকটার নাম মেনশন করতে চাই, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মন জানালা’, ‘প্রেম অথবা মায়া’ দুটোই পরিচালনা করেছেন সেরনিয়াবাত শাওন।
এই মুহূর্তে আমাদের দেশের আশপাশে এত চাপ, এত নেগেটিভিটি চলছে তার মধ্যে আমি যদি আমার দর্শকদের একটু ভালো লাগা দিতে পারি তাহলে মনে হবে এটাতেই আমি সার্থক। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি ফিল গুড কনটেন্ট করার।
এবার ঈদ আপনার জন্য বরাবরের মতো একই রকম নাকি কোনো পরিবর্তন আছে?
ঈদ একই রকম আছে। ছোটবেলার ঈদ এক রকম হয়, বড় হওয়ার পর সেটা আবার ডিফরেন্ট। এখনকার ঈদটা আমার কাছে মনে হয় সমান্তরাল, এই যে প্রত্যেকবার ঈদ হচ্ছে, করছি। কিন্তু ঈদের অবশ্যই একটা আনন্দ আছে। ঈদ বলেই তো আমাদের এত সব আয়োজন, এত কাজ করা, কষ্ট করা, দর্শকদের রেসপন্সের জন্য ওয়েট করা। সো এই জায়গা থেকে ঈদ নিয়ে ডেফিনিটলি আমি এক্সাইটেড। এখন আমার এক্সাইটমেন্টের আরেকটা কারণ হচ্ছে ঈদে আমার কাজ রিলিজ হয়। ওই কাজগুলো দর্শক দেখবে বা পরিবারের সদস্যদের দেখাব। প্রত্যেকবার যেমন পরিবারের সদস্যরা কিংবা আত্মীয়-স্বজনরা জিজ্ঞেস করতে থাকে ‘এবার ঈদে তোমার কয়টা নাটক আসছে, কী আসছে?’ তখন আমি এক্সাইটেড হয়ে তাদের বলি আমার এটা আসছে, ওটা আসছে। সো এটা আমার কাছে মনে হয় ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দ যে মানুষকে বলতে পারা ঈদে আমার কাজ রিলিজ যাচ্ছে, আপনারা আমার এই নাটকগুলো দেখতে পারবেন। এটা আমার কাছে সবচেয়ে খুশির ব্যাপার।
এবার ঈদে পরিকল্পনা কী? কী করা হবে?
এবার ঈদে আমি অনেক দাওয়াত খাব। প্রত্যেকবার আমাকে নিয়ে মানুষের একটা অভিযোগ থাকে যে আমি বাসা থেকে বের হই না, কোথাও যাই না। তাই এবার চিন্তা করেছি সব জায়গায় দাওয়াত খেতে যাব, সবার সঙ্গে গল্প করব ও ছবি তুলব। তাই এবার এটাই আমার প্রথম এজেন্ডা।
ঈদ নিয়ে শৈশবের কোনো মধুর স্মৃতি মনে পড়ে?
ছোটবেলার একটা ইনোসেন্ট ফিলিংস জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। যেমন- ঈদের নতুন জামা কিনে সেটা লুকিয়ে রাখা। এখন আর এটা হয় না। আগে যে রকম বলত ‘এই ঈদে কী কিনেছো’, এখন আর কেউ ঈদের জামা দেখতেও চায় না। মনে হয় আমরা অনেক বড় হয়ে গেছি। ছোটবেলার ওই ব্যাপারটা খুব মিস করি যে, একটা নতুন কাপড় কিনে লুকিয়ে রেখে এবং প্ল্যান করা ঈদের প্রথম দিন, দ্বিতীয় দিন, তৃতীয় দিন সকালে কী পরব, রাতে কী পরব। এখন আর এটা একদমই কাজ করে না। এই জিনিসটাই খুব মিস করি।
ঈদের কেনা কাটায় কী পছন্দ?
আমার বাবা, মা এবং কাজিনস আছে। তাদের জন্য অল্প স্বল্পই কেনাকাটা হয়েছে। কয়েক বছর ধরে নিজের জন্য আসলে কোনো কিছুই কিনি না। এর জন্য মা আবার খুব রাগ হন। বাবা-মা আমাকে যে কাপড়টাই কিনে দেন আমি ওটাই পরি।
ঈদ সালামি প্রসঙ্গে জানতে চাই...
এখন তো বড় হয়েছি ঈদ সালামি দিতেই হয় ছোটদের। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এখন অনেক ছোট ছোট মানুষ হয়েছে যাদের সালামি দিতে হয়। আমি নিজেও পাই বড়দের থেকে। সালামি পাওয়া এবং দেওয়া দুটোই তো ঈদের মজা। তবে লাস্ট কয়েক বছর থেকে খেয়াল করছি সালামি আসে আর যায়। আমি সালামি পাই ঠিকই কিন্তু ওটা আর ব্যাগে ঢোকে না, পাস হয়ে যায়। কারণ ছোটদের দিতে হয়।
ঈদের দিন পোশাক কী ধরনের পরতে পছন্দ করেন?
ঈদের সকালে খুবই আরামদায়ক একটা সফট কালারের কাপড় পরতে পছন্দ করি। এবার সকালে আইস ব্লু কালারের একটা জামা পরা হবে।
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে শুভেচ্ছা জানান তিনি। বিষয়টি জানিয়েছেন শেহবাজ শরিফ নিজেই। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশের বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকেও পাকিস্তানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাকিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে একটি মনোরম কথোপকথন হয়েছে জানিয়ে ওই পোস্টে শেহবাজ শরিফ বলেন, আমরা ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।
২২ এপ্রিল একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডক্টর ইউনূসকে তার সুবিধামত পাকিস্তান সফরের জন্য আমার আন্তরিক আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং কিংবদন্তি মিসেস রুনা লায়লাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ।
ভারতে মহাকুম্ভের স্নানে মোনালিসা ভোঁসলের রূপে মুগ্ধ হয়েছিল সবাই। একজন সাদামাটা তরুনীর নীল চোখে মুগ্ধ হয়েছিল ইন্টারনেট। তুমুল ভাইরাল সেই মোনালিসাকে বলিউডে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন পরিচালক সনোজ মিশ্র। মোনালিসাকে সিনেমার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন সনোজ। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে এক তরুণীকে অভিনয়ের টোপ দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।
অভিযোগকারী তরুণীর দাবি, ২০২০ সালে টিকটকে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় সনোজের। সেই সময়ে তিনি ঝাঁসিতে থাকতেন। ২০২১ সালে ১৭ জুন এই পরিচালক তাঁকে ফোন করেন এবং ঝাঁসি স্টেশনে আসতে বলেন। তরুণী দাবি করেছেন, তিনি প্রথমে রাজি হননি।
মোনালিসাকে নিয়ে ‘দ্য ডায়েরি অফ মণিপুর’ নামের একটি সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা করছিলেন সনোজ। কিন্তু এখন পরিচালকের গ্রেপ্তারিতে কোন দিকে মোড় নেবে ছবির ভবিষ্যৎ তা নিয়েই দ্বিধায় অনুরাগীরা। এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি সেই ভাইরাল কন্যা মোনালিসা।