ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ই-বর্জ্যে পরিণত হবে ৫৩০ কোটি ফোন

টেক প্রতিদিন ডেস্ক
টেক প্রতিদিন ডেস্ক
শেয়ার
ই-বর্জ্যে পরিণত হবে ৫৩০ কোটি ফোন

চলতি বছর সারা বিশ্বে ৫৩০ কোটি মোবাইল ফোন অকেজো হিসেবে ফেলে দেওয়া হবে। বৈশ্বিক বাণিজ্য সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এক গবেষণায় এই তথ্য জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইক্যুইপমেন্ট (ডাব্লিউইইই) ফোরাম।

গবেষণায় বলা হয়, অনেক ব্যবহারকারী অকেজো ফোন রিসাইকল না করিয়ে নিজের কাছে রাখেন। কয়েক কোটি পুরনো ফোন ব্যবহারকারীদের বাসার ড্রয়ারের মধ্যেই পড়ে আছে।

রিসাইক্লিং না করলে ই-বর্জ্য থেকে মূল্যবান খনিজ সংগ্রহ করা যায় না। যেমন—তারের মধ্যে থাকা তামা বা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে থাকা নিকেলজাতীয় ধাতু কোবাল্ট নেওয়া যায় না।

ই-বর্জ্য থেকে খনিজ সংগ্রহ করলে পৃথিবীর ওপর চাপ কম পড়ে। প্রতি ১০ লাখ ফোন থেকে দেড় হাজার কেজি কপার, ৩০০ কেজি রুপা ও ১৪ কেজি প্যালাডিয়াম পাওয়া যায়।

ফোন ছাড়াও ট্যাবলেট, জিপিএস ডিভাইস, ওয়াশিং মেশিন এবং টোস্টারের মতো সাত কোটি ৪০ লাখ টন পণ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ই-বর্জ্যে পরিণত হবে। অ্যাপল ও গুগল নিজেদের পুরনো ফোন ফেরত নিয়ে রিসাইক্লিংয়ে পাঠালেও অন্যান্য কম্পানির রিসাইক্লিংয়ের সুবিধা নেই।

 সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হবেন যে কারণে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহারে সাবধান হবেন যে কারণে

কিছু কিছু অ্যাপ প্লে স্টোর বা অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যায় না। সে জন্য দ্বারস্থ হতে হয় থার্ড পার্টি অ্যাপে। আপনিও যদি ফোনে থার্ড পার্টি অ্যাপ ইনস্টল করেন, তবে সাবধান হোন। অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের এই ভাষাতেই সতর্ক করল গুগল।

টেক জায়ান্ট সংস্থাটি জানিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে ম্যালাওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাওয়ার ভয়ও রয়েছে, এমনকি আর্থিক ক্ষতিও হতে পারে।

গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ব্লগে বলা হয়েছে, প্লে স্টোরের বাইরে থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপে ৫০ গুণ বেশি ম্যালাওয়্যারথাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ২০২৩ সালে গুগল প্রায় ২.৩ মিলিয়ন সন্দেহজনক অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেয়।

তবে গুগল যতই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করুক না কেন, মাঝে মধ্যেই কিছু বিপজ্জনক অ্যাপ প্লে স্টোরে চলে আসে। তবে সেগুলো শনাক্তও করা হয়। তারপর সরিয়ে দেওয়া হয় প্লে স্টোর থেকে।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

গুগল ইতোমধ্যেই ৩০০-এর বেশি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে।

অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা সিস্টেম এড়িয়ে যাচ্ছিল এই সব অ্যাপ। কিন্তু এসব অ্যাপ ৬০ মিলিয়ন বার ডাউনলোডও হয়েছে। ভুয়া বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার অভিযোগ রয়েছে এসব অ্যাপের বিরুদ্ধে।

প্লে স্টোরে যাতে ভুয়া অ্যাপ ঢুকতে না পারে সে জন্য গুগল এখন নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার জন্য প্লে প্রোটেক্ট লাইভ থ্রেট ডিটেকশনকে আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।

হ্যাকারদের জন্য প্লে স্টোরে ভুয়া অ্যাপ তৈরি করা এখন আরো কঠিন। তবে নিজের ফোন সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

ফোন সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

শুধু গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত : অজানা বা থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করলে ফোনে ম্যালাওয়্যারপ্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সবসময় গুগল প্লে স্টোর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত।

অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে রিভিউ ও রেটিং চেক : কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার আগে তার রিভিউ ও রেটিং দেখে নিতে হবে। ইউজাররা যদি কোনো সমস্যার কথা উল্লেখ করেন, তাহলে সেই অ্যাপ ইনস্টল না করাই ভালো।

ফোনে সিকিউরিটি আপডেট ইনস্টল : ফোনের সিকিউরিটি আপডেট নিয়মিত ইনস্টল করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটাই ফোনকে সুরক্ষা যোগায় এবং নতুন ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

অজানা লিংকে ভুলেও ক্লিক নয় : পরিচিত না হলে কোনো অজানা লিংকে ক্লিক না করা সবচেয়ে ভালো। এসব লিংক থেকেই ম্যালাওয়্যারবা ফিশিং আক্রমণ হতে পারে।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

স্টারলিংকের সেবা পেতে খরচ কত পড়বে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্টারলিংকের সেবা পেতে খরচ কত পড়বে?
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন কেবলনির্ভর। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে তারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ এনে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি) মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে। স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা দেয় স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে। যা পুরো বিশ্বকেই উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে।

বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক এর সেবা। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা এই সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করে সম্মেলনের কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। গেল ২৯ মার্চ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্টারলিংকের বিনিয়োগ নিবন্ধন দেয়।

এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারে। অবশ্য সেই সময়ের আগেই চালু হলো স্টারলিংক।

আরো পড়ুন
সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

সালমান আর নাসির ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ আমি দেখতে পাইনি

 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে স্টারলিংক প্রসঙ্গে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। এতে স্টারলিংকের পরিসেবা চালুর কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়।

এরপর গত মাসেও ঢাকায় বেশ কয়েকবার পরীক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে তাদের পরীক্ষামূলক যাত্রার মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা হলো। কারণ স্পেসএক্স এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক এরই মধ্যে বিশ্বের বহু দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সে অনুযায়ী এটি চালু হলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে এবং কমবে শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য।

আরো পড়ুন
নিবন্ধন পেল নতুন রাজনৈতিক দল, প্রতীক রকেট

নিবন্ধন পেল নতুন রাজনৈতিক দল, প্রতীক রকেট

 

স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বলা আছে, বাসাবাড়িতে তাদের সেবা নিতে কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে।

সেখানে থাকে একটি রিসিভার বা অ্যানটেনা, কিকস্ট্যান্ড, রাউটার, তার ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা বা পাওয়ার সাপ্লাই। এটাকে স্টারলিংক কিট বলা হয়, যার মূল্য ৩৪৯ থেকে ৫৯৯ ডলার পর্যন্ত (৪৩ থেকে ৭৪ হাজার টাকা)।

আবাসিক গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংকের মাসিক সর্বনিম্ন ফি ১২০ ডলার (প্রায় ১৫ হাজার টাকা)। তবে করপোরেট গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংক কিটের দাম ও মাসিক ফি দ্বিগুণের বেশি। তবে দেশ ভেদে দামে ভিন্নতা রয়েছে।

মন্তব্য

দেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

দেশে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা শুরু করল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাক্সের স্পেস এক্সের সহযোগী স্যাটালাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। 

আজ বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের ভেন্যু ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক এই ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত সব অংশগ্রহণকারী সেটি ব্যবহার করতে পারছেন।

এ ছাড়া সেখান থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করেই সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সম্মেলনের কার্যক্রম।

গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, স্টারলিংক বিডার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।

গত ২৯ মার্চ বিডা থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ নিবন্ধন পায়। তবে দেশব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে হলে প্রতিষ্ঠানটিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) নীতিমালার আওতায় লাইসেন্স নিতে হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আদালতে এআই উকিল, ধরে ফেললেন বিচারক, অতঃপর...

ইউএনবি
ইউএনবি
শেয়ার
আদালতে এআই উকিল, ধরে ফেললেন বিচারক, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

আদালতে উপস্থিত হয়ে বিচারকরা এক ব্যক্তির আপিলের শুনানি শুরু করলেন। বাদীপক্ষের উকিল হাজির হলেন ভিডিওতে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই উকিলের কোনো পেশাগত ডিগ্রি নেই। এর চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় হলো বাস্তবেই তার কোনো অস্তিত্ব নেই, তিনি কোনো মানুষই নয়!

তিনি মূলত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায় তৈরি করা এক অ্যাভাটার (মানুষের প্রতিকৃতি)।

এমনই চমকপ্রদ একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। স্থানীয় সময় গেল ২৬ মার্চ জেরোমি ডিওয়াল্ড নামে এক ব্যক্তির চাকরিসংক্রান্ত একটি আপিল শুনানিকালে এ কাণ্ড ঘটেছে।

নিজের পক্ষে কোনো উকিল না থাকায় তিনি এআইয়ের সহায়তায় একটি অ্যাভাটার বানিয়ে তাকেই আদালতের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তার চালাকি ধরে ফেলেন বিচারকরা।

আপিলের শুনানির সময় নিজের পক্ষে কথা বলার জন্য একটি ভিডিও উপস্থাপন করার অনুমতি চেয়েছিলেন ডিওয়াল্ড। শুনানির দিন বিচারক স্যালি মানজানেট ডানিয়েল বলেন, ‘আপিলকারী তার বক্তব্য উপস্থাপনের একটি ভিডিও দিয়েছেন, ভিডিও এখন চালু করা হবে।’

ভিডিওটি চালু হলে স্ক্রিনে (পর্দায়) বেশ গোছালো ও পরিপাটি পোশাক পরিহিত এক সুদর্শন যুবককে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘আদালতের সদয় বিবেচনার জন্য জানাচ্ছি, আমি বিচারকদের সামনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাদীর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরতে উপস্থিত হয়েছি।

সঙ্গেই সঙ্গেই তাকে থামিয়ে দিয়ে বিচারক জানতে চান, ‘এই ব্যক্তি মামলার কোনো আইনজীবী কি না? বাদী ডিওয়াল্ড জানান, ‘ভিডিওর ব্যক্তি আসলে মানুষ নন, এআইয়ের সহায়তায় একে তিনি তৈরি করেছেন আাদলতে তার পক্ষে কথা বলার জন্য।’

এ কথা শুনে রেগে আগুন হয়ে বিচারক বললেন, ‘আমি প্রতারিত হতে পছন্দ করি না।’ ডিওয়াল্ডকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি যখন আবেদন করেছেন, এই বিষয়ে তখনই আদালতকে অবগত করা প্রয়োজন ছিল।’

এরপর বিচারকদের কাছে ক্ষমা চান মামলার বাদী ডিওয়াল্ড। তিনি জানান, কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেননি।

তার আইনি বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য কোনো আইনজীবী পাননি। এ কারণে তার আইনি বক্তব্য তুলে ধরতে এই অ্যাভাটার বানিয়েছেন তিনি।

ডিওয়াল্ড সাধারণত কথা বলার সময় তোতলান, তার উচ্চারণে অস্পষ্টতা রয়েছে। তিনি আশা করেছিলেন এ ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আদালতে কথা বলতে পারবে ওই অ্যাভাটার। তবে তার আশার গুঁড়ে বালি পড়তে লেগেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। বিচারক ধরে ফেলেন ভিডিওর ব্যক্তি আসল নন।

সান ফ্রান্সিসকোর এক টেক কম্পানি থেকে একটি এআই টুল কিনে ওই অ্যাভাটার তৈরি করেছিলেন ডিওয়াল্ড। তিনি তার চেহারার অনুরূপ করেই ওই অ্যাভাটার বানাতে চেয়েছিলেন। তবে শুনানির আগে তা সম্ভব হয়নি।

যেহেতু তিনি কোনো উকিল পাননি, তাই তার নিজেকেই এই বক্তব্য উপস্থাপন করতে হতো। এ কারণেই ঠিকঠাকভাবে কথা বলার জন্য তিনি এআইয়ের দিয়ে ওই ভিডিও তৈরি করে আদালতে পাঠান। তবে যে উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেছিলেন সেক্ষেত্রে সফল তো হননি, বরং আদালতে রীতিমতো বিচারকের ঝাড়ি খেয়েছেন ওই ব্যক্তি।

তবে বিচারিক কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কিন্তু প্রথম নয়, খোদ আইনজীবীরাই এর ব্যবহার করে সমস্যায় পড়েছেন।

এর আগে ২০২৩ সালের জুনে একটি মামলায় এআইয়ের ব্যবহার করে ৫ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছিল নিউইয়র্কের দুই আইনজীবীকে। তারা এআইয়েরর সহায়তা নিয়ে কয়েকটি মামলার উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছিলেন, তবে বাস্তবে ওই ধরনের কোনো মামলার অস্তিত্বই ছিল না।

জরিমানা দেওয়া ওই দুই আইনজীবী জানান, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যে কৃত্তিম মামলার বিবরণ তৈরি করবে এটি তারা বুঝতেই পারেননি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনও একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন। ভুল মামলার তথ্য দিয়েছিল এআই।

তবে ডিওয়াল্ড ভুলে এই অ্যাভাটার ব্যবহার করলেও অ্যারিজনার সুপ্রিমকোর্ট কিন্তু বিভিন্ন আদালতের বিধিনিষেধগুলো সাধারণ জনগণকে জানানোর জন্য অনেকটা একই রকম এভাটার ব্যবহার করে থাকে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা যে কত দ্রুত এগিয়ে চলছে তারই জ্বলন্ত প্রমাণ এসব ঘটনা।

ডিওয়াল্ডের মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ