প্রিয় মানুষটাকে খুশী করার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। কেননা প্রিয়জনকে হাসিখুশি এবং প্রশস্তিতে রাখতে পারলে জীবন হয়ে ওঠে আনন্দের। কারো প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই হতে হবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী, একই সাথে হৃদয়বান। তবে বিশেষ কিছু বিষয় রয়েছে যা আপনার প্রিয়জনের কাছে আপনাকে করে তুলতে পারে আদর্শ সঙ্গী।
প্রিয়জনের মন জয় করার পাঁচ কৌশল
জীবনযাপন ডেস্ক

১. সঙ্গীর খেয়াল রাখুন
সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে সঙ্গীর সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
২. উপহার দিন
উপহার কে না ভালবাসে।
৩. নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন
সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার বিকল্প নেই।
৪. সঙ্গীর পরিবারকে গুরুত্ব দিন
একটি মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানে নতুন একটি পরিবারের সাথে আত্মীয়তা হওয়া। আপনার সঙ্গীর সব চাইতে কাছের মানুষ তো তারাই। তাই আপনার জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে তার পরিবারের সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখুন। তাদের বিপদে আপদে সব সময় তাদেরকে সাহায্য করুন। তাহলে আপয়ার জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন সহজেই। এবং একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানেই তার জীবনের সমস্ত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া নয়। আপনার জীবন সঙ্গীকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাধীনতা দিন। তাকে তার নিজস্ব জগতটাকে উপভোগ করতে দিন। সারাক্ষণ তার পিছে পিছে না থেকে তাকে তার মত করে জীবনটাকে উপভোগ করতে দিন মাঝে মাঝে। তাহলে আপনার সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন আপনি।
৫. হয়ে উঠুন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন
সম্পর্ক মানেই নিজেকে উজার করে দেওয়া নয়। সঙ্গীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে উজার করে দিলে একটা সময়ের পর সঙ্গী একঘেয়ে বোধ করে। তাই সঙ্গীর সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হবেন না। আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মনির্ভরশীলতা আপনার সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে।
সম্পর্কিত খবর

গ্যাস্ট্রিকের ঘরোয়া সমাধান রান্নাতেই
জীবনযাপন ডেস্ক

সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকলে, চাইলেও অনেক সময় ফাস্টফুড খেতে হয়, আর তার ফলেই দেখা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। নানা রকম ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও এই সমস্যা বারবার ফিরে আসে। একমাত্র উপায়, বাইরের খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর হতে পারে রসুন, জোয়ান ও গোলমরিচ। তাই প্রতিদিনের রান্নায় এই উপাদানগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে খাবারের স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি শরীরও ভালো থাকবে।
রসুন ও গোলমরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, আর জোয়ান হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এই তিনটি উপাদান একসাথে রান্নায় যোগ করলে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

রাশিফল
আজ ১৬ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?
অনলাইন ডেস্ক

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ১৬ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে দায়িত্ব বাড়বে। ঘনিষ্ঠ কারো সহযোগিতা পাবেন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কাজে উন্নতির যোগ প্রবল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। কর্মপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ আসতে পারে।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): সামাজিক কাজে সম্মান বাড়বে। বিনোদনের জন্য ভালো দিন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ প্রচেষ্টার জন্য দিনটি শুভ। বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তনের সুযোগ আসবে। সমস্যা সমাধানে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। পরিবারের মানুষের কাছে আপনার সততার পরিচয় দিতে পারবেন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। কল্যাণমূলক কাজে অগ্রগতি হবে। দিনটিকে ভালো করতে আপনি আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আপনার কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। বিরূপ পরিস্থিতিকেও অনুকূলে নিয়ে আসতে পারবেন। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হবে। আটকে থাকা ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডে অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বিশেষ প্রচেষ্টায় সাফল্যের যোগ রয়েছে। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। পুরনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। সাফল্য লাভের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসারে অগ্রসর হতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অগ্রগতি হবে। সামাজিক কাজে অন্যদের সমর্থন পাবেন। আপনার চারপাশে কী ঘটছে, তার প্রতি নজর রাখুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকুন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি) : কাজে উন্নতির যোগ আছে। ব্যবসায়ীদের অর্থভাগ্যের কিছুটা পরিবর্তন হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হবে। তাড়াহুড়া করে কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। সব কাজ বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। শুভ সময়ের সদ্ব্যবহার করুন। আনন্দে থাকুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কর্মক্ষেত্রে কিছুটা চাপ থাকলেও কিছু ইতিবাচক সংবাদ পাবেন। কোনো প্রচেষ্টায় অযথা বিলম্ব হবে। গুরুদায়িত্ব গ্রহণে অনীহা আসতে পারে। কারো সহায়তায় সাময়িক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com

গরমের ভরসা যে চার ফল
জীবনযাপন ডেস্ক

বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম এসে গেছে। গরম যেন সব কিছু ঝলসে দেয়। এ সময়ে আমাদের পরিবেশে এমন কিছু ফল জন্মায়, যা স্বাদে ও স্বাস্থ্যে অতুলনীয়। আম, লিচু তো রয়েছেই, এর বাইরেও রয়েছে আরো কয়েকটি ফল।
তরমুজ
গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা ও হাইড্রেটেড রাখার জন্য তরমুজ খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে এবং এটি ইলেক্ট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কামরাঙা
এই ফলটি তারার মতো আকৃতির। গ্রামেগঞ্জে একসময় প্রচুর পরিমাণে এই ফল খাওয়া হতো।
আঁশফল
আঁশফলও এমন একটি ফল, যা গরমকালে পাওয়া যায়। মিষ্টি স্বাদের জন্য এককালে এই ফলটিও বেশ জনপ্রিয় ছিল। এর ভেতরের সাদা শাঁসটি খুব নরম এবং দানাদার হয়। আঁশফলে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ ও পটাসিয়াম থাকে। এই ফল ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, পাশাপাশি শরীরে শক্তি যোগাতেও সাহায্য করে।
বেল
গরম কালে বেলপানা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। শক্ত বেলের খোলসও। কিন্তু সেই কাঠিন্যের ভেতরে মিষ্টি ও হালকা টক স্বাদের শাঁস থাকে। বেল হজমের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার থাকে। বেলের শরবত গরমকালে শরীরকে সতেজ রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
সূত্র : আজকাল

লাল শাক থেকে দূরে থাকবেন যারা
জীবনযাপন ডেস্ক

এই মৌসুমে বাজারে অনেক ধরনের শাক পাওয়া যায়। তবে সেটা শীতকালের তুলনায় কিছুটা কম। বর্ষা ছাড়া প্রায় সময়েই বাজারে এই শাকের দেখা পাওয়া যায়। জনপ্রিয় এই লাল শাক প্রায় সবার বাড়িতেই নানা পদে রান্না করা হয়।
ভাতে এই শাক মাখলেই টুকটুকে লাল হয়ে যায় রং। সুস্বাদু এই শাক অত্যন্ত উপকারী। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
একাধিক ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর লালশাক হজমে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী লালশাক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী কফ ও পিত্ত দোষ দূর করে এই শাক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর লালশাক হাড়ের স্বাস্থ্য অটুট রাখে। হাড়ের একাধিক রোগের আশঙ্কা দূর করে।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে লাল শাকের গুণ। নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগের আশঙ্কা। রক্তাল্পতা অসুখেও উপকারী এই শাক।
তবে এত উপকারী লাল শাকেরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। এটি ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া আছে তারা এটা খাবেন না।
লাল শাকে প্রচুর ভিটামিন কে আছে। তাই যারা অ্যান্টি কোয়াগুল্যান্টস নিচ্ছেন তারা এই শাক খাবেন না। এর ফলে ড্রাগ মেটাবলিজমে সমস্যা হতে পারে।
যারা অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে স্তন্যপান করান, তারা লাল শাক খাবেন না। কারণ এর অতিরিক্ত ফাইবার থেকে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে জ্বরও হতে পারে। অতিরিক্ত লাল শাক খেলে উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে আয়রন শোষণে সমস্যা হতে পারে।
লালশাক কেনার সময় দেখে নিতে হবে সেটা খাঁটি লাল শাক কি না। আসল লাল শাক হলে ভাত মাখার সময় তার রং হবে লাল টুকটুকে৷ অনেক সময় লাল শাক কৃত্রিম ভাবে রং করাও হয়। সেটাও দেখে নিন সতর্ক হয়ে।
সূত্র : নিউজ ১৮