কোলেস্টেরল কমাতে করতে পারেন যে পাঁচ ব্যায়াম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কোলেস্টেরল কমাতে করতে পারেন যে পাঁচ ব্যায়াম
প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটার মতো দৌঁড়ানোও একটি উপকারী ব্যায়াম। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে। ছবি : সংগৃহীত

কোলেস্টেরলের হাত ধরেই মানবদেহে হানা দেয় হৃদ্‌রোগ। এ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কঠিন। শুধু খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলেই এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না, মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে শুধু চাপা রাখা যায় মাত্র। কোলেস্টেরল থেকে যত দূরে থাকা যায়, ততই ভাল।

এর হাত থেকে বাঁচতে হলে প্রাত্যহিক অভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতে পারলে সবচেয়ে ভাল। কী কী ব্যায়াম করলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, জেনে নিন।

হাঁটাহাঁটি করা

জিমে আলসেমি লাগলে প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটুন।

গরমে বা বৃষ্টিতে বাইরে না গিয়ে বাড়ির ভিতরেই হাঁটুন। কর্মক্ষেত্রে গেলে সেখানেও হাঁটুন। কেনাকাটা করতে গেলে বসে না পড়ে হাঁটাহাঁটি করুন। ভোর বেলায় বাড়ির ছাদে হাঁটতে পারেন।
বাড়ির সামনের রাস্তায়ও হাঁটতে পারেন। এতেও আপনার উপকার হবে।

দৌঁড়ানোর অভ্যাস

চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটার মতো দৌঁড়ানোও একটি উপকারী ব্যায়াম। তাহলে পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়ে যায়। শুরুতেই গতি বাড়িয়ে না দৌঁড়ে ধীরে ধীরে শুরু করুন।

তারপর আস্তে আস্তে গতি বাড়ান। দৌঁড়ানোর সময় শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার বিষয়টিও খুব জরুরি। পা ফেলার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন।

সাইকেল চালানো

সাইকেল চালানো খুব ভাল ব্যায়াম। সাইকেল চালালে শুধু শরীর নয়, মনও ভাল থাকে। এত পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কাও কমে যায়। রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। যদি মানসিক সমস্যা থাকে, অতিরিক্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাইকেল চালানো শুরু করুন। অল্প দিনেই উপকার মিলবে।

যোগাসন

নিয়ম করে যোগাসন করলে শুধু কোলেস্টেরল নয়, অন্যান্য রোগ থেকেও রেহাই পাবেন। কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম হল সর্বাঙ্গাসন। চিত হয়ে শুয়ে দুই পা একসাথ করে উপরে তুলুন। এ বার দুই হাতের তালুতে কোমরের ভার দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে তুলুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত সোজা থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে। ৩০ সেকেন্ড এ ভাবে থেকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তিন বার অভ্যাস করুন এই ব্যায়াম।

সাঁতার কাটা

সাঁতারে শরীরের একাধিক পেশি একসঙ্গে কাজ করে। যে কোনও ব্যথা, যন্ত্রণায় আরাম দিতে পারে সাঁতার। রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাড়িতে উঠলেই বমি, শব্দই হতে পারে সমাধান!

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গাড়িতে উঠলেই বমি, শব্দই হতে পারে সমাধান!
সংগৃহীত ছবি

ভরপেট খেয়ে গাড়িতে উঠলেন। গাড়ি চলতে না চলতেই গা-পাক দিয়ে উঠল। এমন সমস্যা হয় অনেকেরই। বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কারে চড়লেই গা বমি ভাব, শরীরে প্রবল অস্বস্তি, তার পর বমি।

গাড়িতে এসি থাকলেও এ সমস্যাটি দেখা দেয়। চিকিৎসকরা একে ‘মোশন সিকেনস’ বা গতিজনিত অসুস্থতা বলে থাকেন।

ওষুধ খেয়েও এ সমস্যা সব সময় বন্ধ হয় না। পাহাড়ি পাকদণ্ডীতে গাড়িতে উঠলে, উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে গেলে, আবার কারো কারো এসি কারেও মারাত্মক সমস্যা হয়।

তবে অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে অন্য ভাবে। এ বিষয়ে জানাচ্ছেন গবেষকরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

জাপানের নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা বলছেন, মাত্র ১ মিনিটের বিশেষ শব্দতরঙ্গ কর্ণকুহরে প্রবেশ করলেই দূর হবে শারীরিক অস্বস্তি।

কিন্তু কিভাবে? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই জানা দরকার, গতির কারণে অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস কেন হয়। 

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

মোশন সিকনেস কেন হয়

চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ, অন্তঃকর্ণ ও ত্বক—মানুষের শরীরের তিনটি অংশ গতির ভারসাম্য নির্ণয় করে। এই তিনটি অংশকেই ‘সেনসরি রিসেপ্টর’ বলা হয়। এরাই এই গতির অনুভূতিকে পাঠিয়ে দেয় মস্তিষ্কে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, চোখ, কান ও মস্তিষ্কের সমন্বয় চলাফেরার ও কাজকর্মের জন্য জরুরি।

এই সমন্বয়ের কাজটি করে ভেস্টিবিউলার সিস্টেম। কানের ভেতরে থাকে ‘ভেস্টিবিউলার অ্যাপারেটস’। কোনো কারণে এই সমন্বয় বিঘ্নিত হলে ‘মোশন সিকনেস’ হতে পারে। অস্বস্তি হয়। কারো আবার বমি হয়ে যায়।

গতিজনিত অস্বস্তি বা সমস্যা কিভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে তাকুমি কাগওয়া ও মাশাই কোটের নেতৃত্বে নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ মেডিসিনে একটি সমীক্ষা ও গবেষণা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ১০০ হার্ডজের শব্দতরঙ্গ অন্তঃকর্ণে গেলে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মাত্র ১ মিনিটের ‘সাউন্ড স্পাইস’ (বিশেষ ধরনের শব্দকে এই নামেই চিহ্নিত করা হয়েছে) এ ক্ষেত্রে বমি ভাব, শারীরিক অস্বস্তি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

আরো পড়ুন
নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

 

তাকুমি কাগওয়া বলছেন, ‘আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, স্বল্প সময়ে কিভাবে বিশেষ শব্দের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণের বিশেষ অংশকে উদ্দীপিত করে গতিজনিত অসুস্থতা কমানো যায়, তা দেখা।’ তার দাবি, যে বিশেষ শব্দ শোনানো হচ্ছে, তা কান ও শরীরের জন্য একেবারেই নিরাপদ।

কিভাবে কাজ করছে শব্দ

বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে তা কানে প্রবেশ করানো হচ্ছে। সেই শব্দ উদ্দীপিত করছে অন্তঃকর্ণের ওটোলিথিককে। এটি গতির সঙ্গে শরীর, মস্তিষ্কের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। আসলে বিশেষ শব্দতরঙ্গ অন্তঃকর্ণের ‘ভেস্টিবিউলার সিস্টেম’-এর ওপর প্রভাব ফেলছে। এই সিস্টেম বিগড়ে গেলেই সমস্যা দেখা দেয়। শব্দ সেই সমন্বয়টাই বজায় রাখতে সাহায্য করছে।

আরো পড়ুন
বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

 

ফলাফলে পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েক জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। দোলনায় দুলছেন, গাড়িতে যাচ্ছেন, এমন লোকজনকে বিশেষ শব্দটি শোনানো হয়। ১০০ হার্ডজের শব্দতরঙ্গ তাদের কানে প্রবেশের পর গতিজনিত অসুস্থতা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে ইসিজি করেও দেখা হয়। তাতেই দেখা যায়, বমি ভাব, মাথা ব্যথা সংক্রান্ত শারীরিক অস্বস্তি কমে গেছে।

গবেষকরা বলছেন, আসলে বিশেষ শব্দটি সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলছে। তার ফলেই সেই ব্যক্তি উপকার পাচ্ছেন। এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে তার যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব মিলবে বলে আশা গবেষকদের। এ নিয়ে আরো গবেষণা চলছে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

রাতের খাবারের পর লবঙ্গ মুখে দিলে মিলবে যে উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রাতের খাবারের পর লবঙ্গ মুখে দিলে মিলবে যে উপকার
সংগৃহীত ছবি

যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। এই লবঙ্গের গুণ অনেক। নিত্যদিনের রান্নাতেও চলে লবঙ্গের ব্যবহার। লবঙ্গ রান্নায় যেমন সুগন্ধি ছড়ায়, তেমনি রান্নাকে করে তোলে সুস্বাদু।

আবার রান্নার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও লবঙ্গ উপকারী। রাতে খাবারের পর এক টুকরা লবঙ্গ মাউথ ফ্রেশনারের থেকেও বেশি কার্যকরী। এ ছাড়া লবঙ্গে রয়েছে আরো অনেক গুণ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আপনার শরীরে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন-সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।

অম্বল ও বুকজ্বালা কমায় : রাতে খাবার পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা হজম ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে। বদহজম, পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা ও গ্যাসের প্রবণতা কমায়।

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

দাঁতের ব্যথা দূর করে : লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দাঁতের ব্যথা দূর করে। এমনকি মাড়ির ক্ষয়ও রোধ করে। যে কারণে অনেক টুথপেস্টে উপকরণ হিসেবে লবঙ্গ থাকে। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, পেশির ব্যথা, হাঁটু, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা ও ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে।

সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা : লবঙ্গ চিবিয়ে খান বা মুখে রেখে দিন।

সর্দি-কাশি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবে। মাথা ব্যথা কমাতেও লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে, যা সাধারণত মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এটি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে, ফলে শ্বাস থাকে সতেজ।

আরো পড়ুন
সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

 

রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে : লবঙ্গে থাকা ইউজেনল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে, যা সুস্থ থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রেসের ঝুঁকিও কমায়।

এ ছাড়া অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে লবঙ্গ তেল ব্রণ, ফুসকুড়ি ও দাগ ছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

গরমে দীর্ঘক্ষণ দুধ ভালো রাখার উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে দীর্ঘক্ষণ দুধ ভালো রাখার উপায়
সংগৃহীত ছবি

গরমকালে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজ ছাড়া রাখলে যেকোনো খাবারই নষ্ট হয়ে যায়। দুধও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তারা সকালে দুধ রাখার পর বাড়ি ফেরার পর সেই দুধ আর ভালো থাকে না। তাই এমন কিছু টোটকা জেনে রাখা দরকার, যাতে দুধ অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে।

 

ফুটিয়ে নিন : দুধ গরম করার সময় একটু বেশি আঁচে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। যখন দেখবেন ঘন হয়ে আসছে, তখন আঁচ কমিয়ে আরো কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এতে দুধের ভেতরের জীবাণু মরে যায় এবং দুধ সহজে নষ্ট হয় না। ফোটানো দুধ ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন।

বরফ ব্যবহার করুন : একটা বড় পাত্রে ঠাণ্ডা পানি বা বরফ নিন। তার মধ্যে দুধের পাত্রটা বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন বরফ যেন দুধের পাত্রের চারপাশ ঘিরে থাকে। এটি দুধকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে না।

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

এলাচ দিন : দুধ ফোটানোর সময় একটি বা দুটি এলাচ ফেলে দিন। এলাচের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দুধকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কাঁচা আদা : অল্প একটু কাঁচা আদা থেঁতো করে দুধের মধ্যে মিশিয়ে দিন। আদার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দুধকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

 

তুলসী পাতা : কয়েকটি তুলসী পাতা দুধে ফেলে দিন।

তুলসী পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ দুধকে সুরক্ষা দেয়।

সঠিক পাত্র : দুধ রাখার জন্য সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো পাত্র ব্যবহার করুন। ভেজা বা অপরিষ্কার পাত্রে দুধ রাখলে তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

সূত্র : আজকাল

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যে ৫ অভ্যাসে ওজন বাড়ে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যে ৫ অভ্যাসে ওজন বাড়ে
সংগৃহীত ছবি

ওজন বাড়ার পেছনে দায়ী হচ্ছে আমাদের লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস। এই কারণে বেশির ভাগ মানুষ ওজন কমাতে বাইরের খাবার বন্ধ করে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন। কিন্তু অনেক সময় ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার পরেও ওজন কমে না, বরং বেড়ে যায়। এর জন্য অনেক কারণই দায়ী হতে পারে।

অনেক সময় ছোট ছোট ভুল ওজন কমানোর চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলো, যা আপনার ওজন কমানোর পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া

ঘরে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে মানুষ প্রায়ই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে।

এতে ক্যালরি ট্র্যাক করাও কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তাহলে একটি চার্ট তৈরি করুন এবং তাতে আপনার প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে লিখুন। এতে আপনাকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন
কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন লক্ষণে

কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন লক্ষণে

 

খাবারের মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকা

যদি আপনি ঘরে তৈরি খাবার খান এবং মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকেন, তাহলে আপনার ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে।

বারবার খাওয়ার ফলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ে, যা শরীরে ফ্যাট বাড়ায়। চেষ্টা করুন বিস্কুট, চিপস, নোনতা, নুডলস ও সিঙ্গারা না খেতে।

ক্যালরি ডেফিসিট

ওজন কমানোর জন্য সঠিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা জরুরি। প্রত্যেকের শরীরের জন্য আলাদা আলাদা ক্যালরির প্রয়োজন হয়। ভিডিও দেখে বা কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের পরামর্শে নিজের ডায়েট চার্ট তৈরি করবেন না।

কোনো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। 

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

বিঞ্জ ইটিং

বিঞ্জ ইটিং-এ আপনি বাদাম বা ডার্ক চকোলেট খান। এই জিনিসগুলো সপ্তাহে একবার খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু নিয়মিতভাবে বিঞ্জ ইটিং করলে ওজন বাড়তে পারে। অনেক সময় শরীরের এই জিনিসগুলোর প্রয়োজন হয়, কিন্তু বারবার বিঞ্জ ইটিং করার কারণে আপনি ওজন কমানোর পথে থাকতে পারেন না। যার ফলে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা প্রভাবিত হতে পারে।

তেলের বেশি ব্যবহার

যদি আপনি ঘরে খাবার বানানোর সময় বেশি তেল অর্থাৎ তেল ও ঘি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ওজন কখনো কমবে না। নিয়মিতভাবে বেশি তেলে ভাজা পরোটা ও সবজি খেলে ওজন বাড়তে পারে। ঘরের খাবার প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার ও শুদ্ধ হয়, কিন্তু তাতে বেশি তেল দিলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন
সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

 

পুষ্টির অভাব

আপনি ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু শরীর কি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে? অনেক সময় ওজন কমানোর চক্করে আমরা কম খাবার খাই, যার ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব হয়। এতে শুধু ওজনই বাড়ে না, শরীরে পুষ্টিকর উপাদানেরও অভাব হয়। তাই কম ক্যালরিযুক্ত সঠিক খাবার গ্রহণ করুন।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ওজন কমাতে হবে। আর ওজন কমাতে হলে মেনে চলতে হবে ডায়েট চার্ট। তাই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে। সেভাবে চললে ওজন কমবে ঠিকভাবে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ