<p style="text-align:justify">ক্ষুধা পেলেও অনেক সময় আমরা না খেয়ে এড়িয়ে যাই বা দেরি করে খাই। সকাল ও দুপুরের খাবারের মাঝখানে বা দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে অনেকেই এমনটা করেন। অনেকে তো সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হওয়ার সময় সকালের খাবার খেতেই ভুলে যান। কিংবা অল্প কিছু মুখে দিয়ে বেরিয়ে পড়েন। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস একেবারেই ভালো নয়। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে সকালের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। সকালের খাবার এড়িয়ে গেলে দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা।</p> <p style="text-align:justify">চিকিৎসকদের মতে, ক্ষুধা লাগলে কেউ যদি না খেয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়। অ্যাসিডিটি বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক কমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রোজ চকোলেট খেলে হতে পারে যেসব সমস্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/27/1722089012-aace5df3b6d4fc6983151dbe52e0a800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রোজ চকোলেট খেলে হতে পারে যেসব সমস্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/07/27/1409279" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সকালে কিছু না খেলে বাড়তে পারে ওজন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম শর্ত হলো সকালে ভারী কোনো খাবার খাওয়া। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে শরীর উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার চায়। খিদে মেটাতে তখন ফ্যাট ও চিনি জাতীয় খাবার বেছে নিতে হয়। আর তাতেই ওজন বেড়ে যায়। এ ছাড়া সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সকালে না খাওয়ার অভ্যাস টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।</p> <p style="text-align:justify">সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীকালে বাড়াতে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। স্মৃতিশক্তি লোপ, ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ডিমেনশিয়া’ বলে। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে ঠিক সময়ে সকালের খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া ক্ষুধা লাগার সময় না খেয়ে পরে অনেক বেশি ক্ষুধা নিয়ে খেতে গেলে কোনো খাবারের স্বাদ ভালোভাবে বোঝা যায় না। তাই খাবারেও পরিতৃপ্তি আসে না। অল্প খাবারে পেট ভরানো যায় না, ক্ষেতে হয় অতিরিক্ত খাবার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে পারেন যে উপায়ে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/27/1722076176-a621f29f349f3e202aebc9777272212d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঘুম ঘুম ভাব কাটাতে পারেন যে উপায়ে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/07/27/1409241" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">চিকিৎসকদের মতে, ক্ষুধা লাগার আগেই খাবার খাওয়া ভালো। এতে ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভালো থাকে। একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে হজমে সমস্যা হয়। তাই খাবার যদি ধীরে ধীরে ও বারবার খেলে হজম ভালো হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ওবেসিটি হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। এ ছাড়া সুগার লেভেল স্বাভাবিক থাকে। পাওয়া যায় যথেষ্ট শক্তিও। খাবারে পরিতৃপ্তি থাকায় প্রতিটি খাবারের স্বাদ ও পুষ্টি ভালোভাবে পাওয়া যায়।</p>