<p>শীতকাল মানেই হাত পা ঠাণ্ডা হবেই। তবে অনেকের ক্ষেত্রে অল্প শীত পড়লেই হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। গরম করার চেষ্টা করলেও কিছুতেই হয় না। আপনারও যদি এমন হয় তবে সাবধান হতে হবে। এর পেছনে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি থাকতে পারে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে ফোলেট, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি এবং আয়রনের ঘাটতির কারণে এমনটা হতে পারে।</p> <p>এ ছাড়া লোহিত রক্তকণিকার অভাব হলে, থাইরয়েড বেশি হলে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ও শরীরের ওজন কমতে শুরু করলেও ঠাণ্ডার অনুভূতিটা অন্যদের থেকে তুলনামূলক বেশি হতে পারে।</p> <p>এ বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ মাহবুব বলেন, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য একাধিক গ্রন্থি, মস্তিষ্ক ও রক্ত একসঙ্গে কাজ করে, যাকে বলে থার্মোরেগুলেশন। শরীরে নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাব হলে শরীর শীতের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তাই শরীরে ভিটামিনের অভাব মিটিয়ে ফেলতে হবে।</p> <p><strong>ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি</strong></p> <p>শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি এবং ব্রেন ফাংশন ঠিকঠাক রাখার কাজে ভিটামিন বি১২-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই দেহে এই ভিটামিনের অভাব হলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। যে কারণে শরীরের সব জায়গায় রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। যে জন্য ঠাণ্ডার অনুভূতি বেশি হয়। হাত ও পায়ের তাপমাত্রা খুব কমে যায়। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি মেটানো খুবই জরুরি। সে ক্ষেত্রে মাছ, ডিম, মাংস ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খেতে হবে। তাতেই উপকার পাওয়া সম্ভব।</p> <p><strong>আয়রনের ঘাটতি</strong></p> <p>শরীরে আয়রন কম থাকলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই আয়রনসমৃদ্ধ ডাল, সবুজ শাক, ড্রাই ফ্রুট খেতে হবে। এতে দেহের আয়রনের ঘাটতি কমে যাবে। সমস্যার সমাধানও হবে সহজে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে শুষ্ক পায়ের ত্বক কোমল করুন ঘরোয়া উপায়ে" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733302565-0dd43ab953d09236984cec731f466142.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে শুষ্ক পায়ের ত্বক কোমল করুন ঘরোয়া উপায়ে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/04/1453760" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>হাইপোথাইরয়েড</strong></p> <p>হাইপোথাইরয়েড রোগীদেরও শীতের অনুভূতি বেশি। তাদের গরমেও শীত শীত অনুভব হয়। তাই এই অসুখ নিয়ে প্রথমেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বাড়বে।</p> <p><strong>লো ব্লাড প্রেশার</strong></p> <p>আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকমতো হলে উষ্ণতা বাড়ে। লো প্রেশার থাকা মানুষের শরীর সহজে গরম হয় না। তাই তাদের শীতের অনুভূতি বেশি। সাধারণ মানুষের তুলনায় এসব মানুষ শীতে বেশি কাবু হন। তাই আপনাকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খেতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে পাঁচ খাবার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/04/1733293946-2290a8cc0c59d1ce89499b824639f755.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে পাঁচ খাবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/04/1453727" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ডের সমস্যা</strong></p> <p>আমাদের রয়েছে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে তাপ উৎপাদনকারী হরমোন বের হয়। তবে এডিসনস ডিজিজ হলে এই হরমোন কম বের হয়ে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা লাগে খুব। তাই খুব ঠাণ্ডা লাগলে এ ধরনের মানুষকে সতর্ক হতে হবে।</p> <p>সূত্র : হাল ফ্যাশন</p>