মানসিক শান্তি বজায় রাখতে যে ৩ ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মানসিক শান্তি বজায় রাখতে যে ৩ ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত
সংগৃহীত ছবি

শরীরের যত্নের মতোই মনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই জীবনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও নেতিবাচক মানুষের প্রভাব এড়ানো উচিত। আপনার চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের চিন্তা-ভাবনা নেতিবাচক এবং তাদের সঙ্গ আপনার মনের অবস্থাও খারাপ করতে পারে।

তবে নেতিবাচক মানুষ চেনার কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা আপনাকে সতর্ক থাকতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত অভিযোগকারী
সমস্যা হলে অভিযোগ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু যদি কেউ প্রতিটি বিষয়েই অভিযোগ করে, তা হলে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব মানুষ সাধারণত সন্তুষ্ট হতে পারেন না এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা রাখেন না।

চিরকাল সমালোচক
যদি কেউ সব সময় আপনার কাজ নিয়ে সমালোচনা করেন, তাহলে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত।

কাজের সমালোচনা স্বাভাবিক, তবে যদি কেউ সব সময় ভুল খুঁজে বের করে এবং স্বার্থপর মনোভাব দেখায়, তখন তা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।

লক্ষ্যহীন মানুষ
যাদের জীবনে কোনো লক্ষ্য নেই তারাই উন্নতির পথে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। যদি আপনি নিজেকে এগিয়ে নিতে চান, তবে লক্ষ্যহীন মানুষের সঙ্গ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রক্তের গ্রুপের কারণে কি মশা বেশি কামড়ায়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তের গ্রুপের কারণে কি মশা বেশি কামড়ায়?

সবার সঙ্গে একসাথে আড্ডা দিলেও মশা কামড়ায় গুটি কয়েকজনকে। আর তারা মশা তাড়াতেই ব্যস্ত। মশা কি সত্যিই নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেশি কামড়ায়? নাকি পুরো ব্যাপারটাই মানসিক?

আমাদের চারপাশের অনেকেই এমন দাবি করেন যে বেছে বেছে কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। বিষয়টি কিছুটা সত্যি।

পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মশার অত্যধিক ‘ভালোবাসা’র শিকার। নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয় বলে দাবি রয়েছে। বিজ্ঞানও এই দাবিটি উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে এর সপক্ষে এখনো শক্ত কোনো প্রমাণ মেলেনি।

২০০৪ সালে জার্নাল অব মেডিক্যাল এনটোমলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়, যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের প্রতিই বেশি আকর্ষিত হয় মশা।

আরো পড়ুন
ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

 

ওই গবেষণাপত্রে জানানো হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের রক্তের গ্রুপ ও, তাদের ওপর মশা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বি, এ গ্রুপের মানুষজনের ওপরও মশা ছাড়া হয়। কিন্তু ও যারা, তাদেরই বেশি কামড়ায় মশা।

বিজ্ঞানীদের মতে, মশা রক্তে থাকা প্রোটিন শনাক্ত করতে পারে। রক্তের গ্রুপের নিরিখে এই প্রোটিন বা অ্যান্টিজেন আলাদা হয়। এক্ষেত্রে তাও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে শুধু রক্তের গ্রুপের নিরিখে নয়, ঘাম, গন্ধ, শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ, পোশাকের রঙের ওপর নির্ভর করেও মশা কামড়াতে পারে। এ ছাড়া আর কী কারণ আছে এবং কিভাবে মশার হাত থেকে বাঁচবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

কার্বন ডাই-অক্সাইড বেশি ছাড়লে

কার্বন ডাই–অক্সাইডের প্রতিও মশাদের একটা ভালো লাগা আছে। কাজেই আপনি যদি বেশি বেশি নিশ্বাস নেন, একটু ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী হন, তবে অন্যদের থেকে আপনাকে মশা বেশি কামড়াবে।

শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে

আপনার শরীরের তাপমাত্রা যদি বেশি হয়, তবে মশা অন্যদের তুলনায় আপনার শরীরে বেশি বসবে। কাজেই দৌড়ানোর সময় বা ব্যায়াম করে এসে বসার সময় খুব সাবধান।

ঘামে ভেজা শরীর

ঘাম সবার অপছন্দ হলেও মশার কাছে খুবই প্রিয়। বিশেষ করে ঘামে থাকা ল্যাকটিক এসিড, অ্যামোনিয়া মশাকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে। অতএব ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে কোথাও বসার আগে সাবধান।

আরো পড়ুন
ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর কৌশল

 

অন্তঃসত্ত্বা হলে

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০০ সালের দিকে করা এক গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মশা কামড়ানোর হার দ্বিগুণ!

নির্দিষ্ট খাবারের ফলে

অনেক সময় আপনার খাবারও হতে পারে মশায় ধরার কারণ। যদিও এ বিষয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই, তারপরও মিষ্টি, ঝাল ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার মশার বেশি পছন্দ বলে মনে করা হয়। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক কলাকেও মশার আকর্ষণীয় খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং কলা খাওয়ার আগে সাবধান।

নির্দিষ্ট রঙের পোশাক

শুধু খাওয়াদাওয়া বা ব্যায়াম নয়, আপনার পোশাকও মশাকে আকর্ষণে ভূমিকা রাখে। গবেষণা বলছে, হালকা বা সাদা রঙের তুলনায় কালো আর সবুজ রঙের পোশাক পরা লোকজনকে মশা বেশি ধরে। পাশাপাশি, ঘন নীল, ঘন লাল, এমন গাঢ় রঙের পোশাক পরলেও মশার কামড় একটু বেশিই খেতে হয়।

আরো পড়ুন
গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

গরমে ফিট রাখবে যে ৫ সুপারফুড

 

বাঁচার উপায়

মশার কামড় শুধু যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকরই নয়, বরং মশা অনেক বিপজ্জনক রোগজীবাণুও বহন করে। কাজেই ওপরের কারণগুলোর মধ্যে যেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখা ভালো। রক্তের গ্রুপের মতো বিষয়গুলো যেহেতু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখা, পানি জমতে না দেওয়া, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা ও থাকা, মশা তাড়ানোর প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা, হাত ও পায়ের খোলা জায়গায় মশা না কামড়ায় সে জন্য সেসব জায়গায় মশারোধী লোশন ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র : ভেরি ওয়েল মাইন্ড ও এবিপি লাইভ

মন্তব্য

গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে ফিট থাকতে যে ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলবেন
সংগৃহীত ছবি

এখন বসন্ত ঋতু চললেও সূর্যের তাপে পুড়ছে শরীর। সেটি বোঝা যায় বাইরে বের হলেই। বসন্তের মৃদু বাতাসের বদলে গরম হাওয়ার আঁচ এসে লাগছে চোখে-মুখে। সেই সঙ্গে গরমে অস্বস্তি তো আছেই।

রমজানের এই সময়ে তাই অনেকে বাইরে বের হতে চান না। যারা বের হন তারাও কাজ সেরে তাড়াতাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। তৃষ্ণা মেটাতে অনেকে ইফতারে বিভিন্ন ধরনের পানীয় রাখেন। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে কী ধরনের পানীয় খাবেন, কী ধরনের পানীয় খাবেন না, তা অনেকেই জানেন না।

চলুন, জেনে নিই।

তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলেই বিপদ। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারের নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি পানের চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুন
ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

ইফতারে রাখুন তরমুজের জুস

 

শুধু গরমকাল বলে নয়, রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে হলে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে অন্য কোনো রোগের ঝুঁকি, পানিতেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার রসদ। তবে সারা বছরই প্রাপ্তবয়স্কদের তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি খাওয়ার কথা বলা হয়।

গরমে কি পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে

চিকিৎসকদের মতে, যে হারে গরম বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, তাতে পানি বেশি করে খেতেই হবে। শরীরে পানির পরিমাণ যদি কমে যায়, তাহলে নানা রোগবালাই এই সময় জাঁকিয়ে বসবে।

সেটা ডায়রিয়া থেকে সংক্রমণ, যেকোনো কিছুই। তা ছাড়া ডিহাইড্রেশনের ভয় তো আছেই। তাই কিছুতেই শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন থেকে সাড়ে তিন লিটারের বেশি পানি খাওয়ার দরকার নেই। এই পরিমাণ পানি খেলেই হবে। তবে ডায়াবেটিক, হার্টের রোগের ক্ষেত্রে পানি খাওয়ার নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে। সেই পরিমাণটা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুন
চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

চুল পড়া কমাবে নারকেলের পানি, কিভাবে ব্যবহার করবেন

 

অনেকেরই পানি খাওয়ার কথা মনে থাকে না। তাই পানির বিকল্প খোঁজেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, পানির বিকল্প পানিই। পানি খেলে যে উপকার পাওয়া যাবে, তা আর অন্য কোনো কিছুতেই মিলবে না। তবে কে, কতটা পানি খাবেন সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, উচ্চতা, ওজনের ওপর।

আবার কে, কোন পরিবেশে থাকছেন, তার ওপরেও পানি খাওয়ার পরিমাণ নির্ভর করে। যিনি বাইরের রোদে ঘুরে কাজ করেন, স্বাভাবিক ভাবেই তার শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়। ফলে তাকে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতেই হবে। অন্যদিকে দিনভর এসিতে থাকলেও যে পানি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, তা একেবারেই নয়।

যে পানীয় থেকে দূরে থাকবেন

গরমে সাময়িক স্বস্তি পেতে অনেকেই আখের রস, কোল্ড ড্রিংকসে গলা ভেজাচ্ছেন। তাৎক্ষণিক তৃপ্তি দিলেও এই ধরনের পানীয় শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তারা জানিয়েছেন, কোল্ড ড্রিংক উল্টো শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে। রাস্তায় ভ্যানে করে যে আখের রস বিক্রি করা হয় তা কতটা স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে আখ কিনে এনে চিবিয়ে খেতে পারলে ভালো।

আরো পড়ুন
যে ডাল খেলে কমবে ইউরিক এসিড

যে ডাল খেলে কমবে ইউরিক এসিড

 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

খেজুরের বিচির এত গুণ!

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খেজুরের বিচির এত গুণ!
সংগৃহীত ছবি

রোজায় দীর্ঘসময় খাবার বিরতির কারণে শরীর পুষ্টির অভাবে অনেকটাই ক্লান্ত থাকে। কাজের চাপে অফিসে কিংবা বাসায় ইফতার করেন অনেকেই। আর এ ইফতারে প্রায় সবারই প্রথম পছন্দ খেজুর। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খেজুর খেয়ে ফেলে দেন এর বিচি।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই বিচিতেই রয়েছে অনেক গুণাগুণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জোগান দিতে সাহায্য করে। এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।

তবে খেজুরের মতো এর বীজেও লুকিয়ে রয়েছে জাদুকরী নানা গুণ! আসুন এক নজরে জেনে নিই খেজুরের বিচির কিছু উপকারিতার কথা-
 
১। খেজুরের বিচি ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর তা হালকা বাদামি করে সরিষা তেলে ভেজে নিন। এখন ভাজা বিচিগুলো গুড়া করুন।
তৈরি গুড়া মিষ্টি, স্মুদি, দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। বিচিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধানে দারুণ কাজ করে।

২। খেজুরের বিচি থেকে তৈরি করা যায় তেলও। এ তেল ত্বক ও চুলের যত্নে ভালো কাজ করে।


 
৩। খেজুরের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
 
৪। পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেজুর বিচির গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন।
 
৫। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে খেজুরের বিচি।
 
৬। রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে খেজুরের বিচি।
 
৭। খেজুরের বিচির গুড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন এতে।
 
৮। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের বিচি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
 
৯। এর গুড়া কফি বা চায়ের মতো করে খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্যাফেইন মুক্ত কফি হিসেবে কার্যকরী।
 
১০। শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করতে পারে খেজুরের বিচির গুড়া। শুধু তাই নয়, পেটের অনেক রোগ নিরাময়ে উপকারী এটি।

মন্তব্য

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়
সংগৃহীত ছবি

কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে। যদি আপনার কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করে তখন রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করলে উপকার পেতে পারেন, যা কিডনি ডায়েট নামে পরিচিত। ডায়েট চার্টটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বানানো হয়ে থাকে।

চলুন জেনে নেই কিডনি ভালো রাখতে কি কি খাবার খেতে পারেন।

ফুলকপি
ফুলকপিতে ভিটামিন কে, ফোলেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকে। এটি কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক। এক কাপ ফুলকপিতে সোডিয়াম থাকে ৯.৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের মাত্রা কম, যা কিডনির জন্য ভালো। ২টি ডিমের সাদা অংশে সোডিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৭ গ্রাম থাকে।

রসুন
রসুনে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-৬, এবং সালফার যৌগ থাকে। ৩ কোয়া রসুনে ৩৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ৭০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১১৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

মুরগির মাংস
৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে সোডিয়াম ৬৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৯৬ মিলিগ্রাম, এবং প্রোটিন ২৭ গ্রাম থাকে। তবে কিডনির অসুখ থাকলে প্রতিদিন ২-৩ আউন্সের বেশি মুরগির মাংস খাওয়া উচিত নয়।

ফল
জাম, স্ট্রবেরি, আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, এবং লাল আঙুরের মতো ফল কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আদা
আদা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনির ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ব্রকলি ও ক্যাপসিকাম
এই দুইটি সবজিতে ভিটামিন কে, সি, বি-৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সূত্র: হেলথলাইন

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ