শরীরের যত্নের মতোই মনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই জীবনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও নেতিবাচক মানুষের প্রভাব এড়ানো উচিত। আপনার চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের চিন্তা-ভাবনা নেতিবাচক এবং তাদের সঙ্গ আপনার মনের অবস্থাও খারাপ করতে পারে।
মানসিক শান্তি বজায় রাখতে যে ৩ ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত
জীবনযাপন ডেস্ক

অতিরিক্ত অভিযোগকারী
সমস্যা হলে অভিযোগ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু যদি কেউ প্রতিটি বিষয়েই অভিযোগ করে, তা হলে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব মানুষ সাধারণত সন্তুষ্ট হতে পারেন না এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা রাখেন না।
চিরকাল সমালোচক
যদি কেউ সব সময় আপনার কাজ নিয়ে সমালোচনা করেন, তাহলে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত।
লক্ষ্যহীন মানুষ
যাদের জীবনে কোনো লক্ষ্য নেই তারাই উন্নতির পথে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। যদি আপনি নিজেকে এগিয়ে নিতে চান, তবে লক্ষ্যহীন মানুষের সঙ্গ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
সূত্র : এই সময়
সম্পর্কিত খবর

খেজুরের বিচির এত গুণ!
জীবনযাপন ডেস্ক

রোজায় দীর্ঘসময় খাবার বিরতির কারণে শরীর পুষ্টির অভাবে অনেকটাই ক্লান্ত থাকে। কাজের চাপে অফিসে কিংবা বাসায় ইফতার করেন অনেকেই। আর এ ইফতারে প্রায় সবারই প্রথম পছন্দ খেজুর। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই খেজুর খেয়ে ফেলে দেন এর বিচি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জোগান দিতে সাহায্য করে। এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।
১। খেজুরের বিচি ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এরপর তা হালকা বাদামি করে সরিষা তেলে ভেজে নিন। এখন ভাজা বিচিগুলো গুড়া করুন।
২। খেজুরের বিচি থেকে তৈরি করা যায় তেলও। এ তেল ত্বক ও চুলের যত্নে ভালো কাজ করে।
৩। খেজুরের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
৪। পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চাইলে খেজুর বিচির গুড়া নিয়মিত খেতে পারেন।
৫। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে খেজুরের বিচি।
৬। রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে খেজুরের বিচি।
৭। খেজুরের বিচির গুড়া দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন এতে।
৮। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুরের বিচি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
৯। এর গুড়া কফি বা চায়ের মতো করে খাওয়া যেতে পারে। এটি ক্যাফেইন মুক্ত কফি হিসেবে কার্যকরী।
১০। শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে দূষণমুক্ত করতে পারে খেজুরের বিচির গুড়া। শুধু তাই নয়, পেটের অনেক রোগ নিরাময়ে উপকারী এটি।

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়
জীবনযাপন ডেস্ক

কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে। যদি আপনার কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করে তখন রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করলে উপকার পেতে পারেন, যা কিডনি ডায়েট নামে পরিচিত। ডায়েট চার্টটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বানানো হয়ে থাকে।
চলুন জেনে নেই কিডনি ভালো রাখতে কি কি খাবার খেতে পারেন।
ফুলকপি
ফুলকপিতে ভিটামিন কে, ফোলেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকে। এটি কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক। এক কাপ ফুলকপিতে সোডিয়াম থাকে ৯.৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।
ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের মাত্রা কম, যা কিডনির জন্য ভালো। ২টি ডিমের সাদা অংশে সোডিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৭ গ্রাম থাকে।
রসুন
রসুনে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-৬, এবং সালফার যৌগ থাকে। ৩ কোয়া রসুনে ৩৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ৭০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১১৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
মুরগির মাংস
৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে সোডিয়াম ৬৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৯৬ মিলিগ্রাম, এবং প্রোটিন ২৭ গ্রাম থাকে। তবে কিডনির অসুখ থাকলে প্রতিদিন ২-৩ আউন্সের বেশি মুরগির মাংস খাওয়া উচিত নয়।
ফল
জাম, স্ট্রবেরি, আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, এবং লাল আঙুরের মতো ফল কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আদা
আদা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনির ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ব্রকলি ও ক্যাপসিকাম
এই দুইটি সবজিতে ভিটামিন কে, সি, বি-৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
সূত্র: হেলথলাইন

তেলতেলে চুল? ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন
জীবনযাপন ডেস্ক

তৈলাক্ত ত্বক এবং চুলের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চুলের তেলতেলে ভাব দূর করতে অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু করেন। নিয়মিত শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বক আর্দ্রতা হারায়।
মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়ে আপনি এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
আমলকি
চুলের জন্য আমলকি অত্যন্ত কার্যকরী। আমলকি পাউডারের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার
এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
লেবু
তৈলাক্ত চুলের জন্য লেবু খুবই উপকারী। লেবুর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
সূত্র: এই সময়

লিভার সুস্থ রাখতে যা খেতে পারেন
জীবনযাপন ডেস্ক

ঘড়ি ধরে বা ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে সব সময় খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। মাঝে মাঝে বাড়ির খাবারের ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়ে যায়। বিরিয়ানি, মোমো, তেলে ভাজা খাবার বাঙালির প্রিয় হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। এগুলো বেশি খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সকালে খালি পেটে ডিটক্স ওয়াটার খেলে একদিনেই লিভার টক্সিন মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
ফ্যাটি লিভার, হাই কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যাগুলি প্রধানত অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে ঘটে।
আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে শাকসবজি, ফল, ডাল, চিয়া সিড, মুরগি, ডিম রাখতে পারেন। লিভার ডিটক্সিফিকেশনে ওটস, কিনোয়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি। যা লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র: এই সময়