ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

মানসিক শান্তি বজায় রাখতে যে ৩ ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মানসিক শান্তি বজায় রাখতে যে ৩ ধরনের মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা উচিত
সংগৃহীত ছবি

শরীরের যত্নের মতোই মনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই জীবনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও নেতিবাচক মানুষের প্রভাব এড়ানো উচিত। আপনার চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের চিন্তা-ভাবনা নেতিবাচক এবং তাদের সঙ্গ আপনার মনের অবস্থাও খারাপ করতে পারে।

তবে নেতিবাচক মানুষ চেনার কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা আপনাকে সতর্ক থাকতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত অভিযোগকারী
সমস্যা হলে অভিযোগ হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু যদি কেউ প্রতিটি বিষয়েই অভিযোগ করে, তা হলে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলাই ভালো। এসব মানুষ সাধারণত সন্তুষ্ট হতে পারেন না এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা রাখেন না।

চিরকাল সমালোচক
যদি কেউ সব সময় আপনার কাজ নিয়ে সমালোচনা করেন, তাহলে তাকে এড়িয়ে চলা উচিত।

কাজের সমালোচনা স্বাভাবিক, তবে যদি কেউ সব সময় ভুল খুঁজে বের করে এবং স্বার্থপর মনোভাব দেখায়, তখন তা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ।

লক্ষ্যহীন মানুষ
যাদের জীবনে কোনো লক্ষ্য নেই তারাই উন্নতির পথে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন। যদি আপনি নিজেকে এগিয়ে নিতে চান, তবে লক্ষ্যহীন মানুষের সঙ্গ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়
সংগৃহীত ছবি

কিডনি সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে। যদি আপনার কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করে তখন রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমা হতে থাকে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একটি বিশেষ ডায়েট অনুসরণ করলে উপকার পেতে পারেন, যা কিডনি ডায়েট নামে পরিচিত। ডায়েট চার্টটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো বানানো হয়ে থাকে।

চলুন জেনে নেই কিডনি ভালো রাখতে কি কি খাবার খেতে পারেন।

ফুলকপি
ফুলকপিতে ভিটামিন কে, ফোলেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও প্রদাহবিরোধী উপাদান থাকে। এটি কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক। এক কাপ ফুলকপিতে সোডিয়াম থাকে ৯.৩ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৮৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম।

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের মাত্রা কম, যা কিডনির জন্য ভালো। ২টি ডিমের সাদা অংশে সোডিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১০ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৭ গ্রাম থাকে।

রসুন
রসুনে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-৬, এবং সালফার যৌগ থাকে। ৩ কোয়া রসুনে ৩৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ৭০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১১৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন থাকে।

মুরগির মাংস
৮৫ গ্রাম মুরগির মাংসে সোডিয়াম ৬৪ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২২০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৯৬ মিলিগ্রাম, এবং প্রোটিন ২৭ গ্রাম থাকে। তবে কিডনির অসুখ থাকলে প্রতিদিন ২-৩ আউন্সের বেশি মুরগির মাংস খাওয়া উচিত নয়।

ফল
জাম, স্ট্রবেরি, আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, এবং লাল আঙুরের মতো ফল কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আদা
আদা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনির ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ব্রকলি ও ক্যাপসিকাম
এই দুইটি সবজিতে ভিটামিন কে, সি, বি-৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সূত্র: হেলথলাইন

মন্তব্য

তেলতেলে চুল? ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
তেলতেলে চুল? ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন
সংগৃহীত ছবি

তৈলাক্ত ত্বক এবং চুলের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চুলের তেলতেলে ভাব দূর করতে অনেকেই নিয়মিত শ্যাম্পু করেন। নিয়মিত শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বক আর্দ্রতা হারায়।

মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়ে আপনি এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন।

    

আমলকি
চুলের জন্য আমলকি অত্যন্ত কার্যকরী। আমলকি পাউডারের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

অ্যাপল সিডার ভিনিগার
এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে দিন। কিছু সময় অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

লেবু 
তৈলাক্ত চুলের জন্য লেবু খুবই উপকারী। লেবুর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

সূত্র: এই সময় 

মন্তব্য

লিভার সুস্থ রাখতে যা খেতে পারেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
লিভার সুস্থ রাখতে যা খেতে পারেন
সংগৃহীত ছবি

ঘড়ি ধরে বা ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে সব সময় খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না। মাঝে মাঝে বাড়ির খাবারের ক্ষেত্রেও অনিয়ম হয়ে যায়। বিরিয়ানি, মোমো, তেলে ভাজা খাবার বাঙালির প্রিয় হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। এগুলো বেশি খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

তবে কিছু খাবার বা পানীয় রয়েছে যা লিভার ডিটক্সিফিকেশন বা পরিস্কার করতে সাহায্য করে।

লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সকালে খালি পেটে ডিটক্স ওয়াটার খেলে একদিনেই লিভার টক্সিন মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার কমাতে হবে। মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। অ্যালকোহল লিভারের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

ফ্যাটি লিভার, হাই কোলেস্টেরল ও অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যাগুলি প্রধানত অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণে ঘটে।

তাই লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সুষম আহারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে শাকসবজি, ফল, ডাল, চিয়া সিড, মুরগি, ডিম রাখতে পারেন। লিভার ডিটক্সিফিকেশনে ওটস, কিনোয়া খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি। যা লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ ও আদা লিভারের জন্য উপকারী।

সূত্র: এই সময় 

মন্তব্য

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ফ্ল্যাক্স সিড

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ফ্ল্যাক্স সিড
সংগৃহীত ছবি

রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের রোগীরা সবচেয়ে বেশি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। সুস্থ থাকতে শুধু ওষুধ নয়, জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চা, অতিরিক্ত চিন্তা না করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এসবের পাশাপাশি খাদ্যাভাসেও বিশেষ নজর দিতে হয়। শাকসবজি, ফল, শস্যদানা, বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন ফ্ল্যাক্স সিড (তিসির বীজ) খেতে পারেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ফ্ল্যাক্স সিড অত্যন্ত উপকারী। হার্টের সমস্যা এড়াতে এই বীজ খুব কার্যকর। ফ্ল্যাক্স সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আলফা-লিনোলেলিক অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ফ্ল্যাক্স সিডের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়। এতে থাকা ফাইবার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত ফ্ল্যাক্স সিড খেলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে।

ফ্ল্যাক্স সিডে থাকা লিগনাস নামক যৌগটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

লিগনাস হার্টে ব্লকেজ তৈরি হওয়া রোধ করে। যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

যেভাবে খাবেন:
ফ্ল্যাক্স সিডস ভেজে নিয়ে টক দই বা সালাদে মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া ব্রেকফাস্টে কনফ্লেক্সের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেতে পারেন। 

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ