অক্সিজেন শুধু গরুর
ভারতের উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত জুলাই মাসের একটি জনসভায় গরু নিয়ে করেন বিস্ফোরক মন্তব্য৷ তিনি বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে গরুই একমাত্র প্রাণী যে একাধারে অক্সিজেন নিশ্বাসের সাথে বাতাস থেকে গ্রহণ করে ও শ্বাস ছাড়ার সাথে তা পরিত্যাগও করে৷ এই কারণেই গরুকে আমরা মায়ের সম্মান দিই৷’’ একই সভায় তিনি বলেন যে ভারতের গির অঞ্চলের গরুর দুধে নাকি রয়েছে সোনা!
ক্যান্সাররোধে গরু
ভোপাল কেন্দ্র থেকে লোকসভায় গেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ নির্বাচনের আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে গোমূত্র পান করে নাকি ক্যান্সারমুক্ত হয়েছেন তিনি৷ পরে যদিও ড. এস এস রাজপুত, যিনি প্রজ্ঞার একটি অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন, জানান যে প্রজ্ঞার ক্যান্সার রয়েছে এমন কোনো তথ্যউপাত্ত তাঁর মেডিকাল রিপোর্টে পাওয়া যায়নি৷
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও গরু
একই সাক্ষাৎকারে প্রজ্ঞা গরু নিয়ে একটি মন্তব্যেই থামেননি৷ গরুর গায়ের চামড়ায় হাত বোলালে নিয়ন্ত্রণ করা যায় রক্তচাপ, বলে তাঁর বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, ‘‘গরুর পিঠ থেকে ঘাড়ের দিকে হাত বোলালে যিনি হাত বোলাচ্ছেন, তার রক্তচাপ কমে আসবে৷ এই চিকিৎসা অমৃতের সমান৷’’
শ্রীকৃষ্ণ ও গরুর দুধ
সম্প্রতি আসামের শিলচরের বিধায়ক ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনীতিক দিলীপ পাল বলেন, ‘‘ঠিক ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ঢঙে একটি গরুর সামনে বাঁশি বাজালে গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা উন্নত হয়৷’’
গোমূত্রের যত সুফল
ভারতে বর্তমান রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গোমূত্রের বিশাল গুরুত্ব৷ বাবা রামদেবের ‘পতঞ্জলি’ সংস্থা গত কয়েক বছরে গোমূত্র ও গোমূত্রজনিত নানা পণ্য থেকে বিরাট ব্যবসা করেছে৷ রাজীব দিক্ষিত নামে এক ইউটিউব ব্যক্তিত্ব রামদেবের গোমূত্রপণ্যের ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি রাখতে গিয়ে বলেন যে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার, আলসার, দৃষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত মেদ, গ্লুকোমাসহ একাধিক শারীরিক অসুবিধার সমাধান নিয়মিত গোমূত্র পান৷
গরুর জন্য মন্ত্রণালয়
ভারতই বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে রয়েছে গরুর পৃথক মন্ত্রণালয়৷ ২০১৪ সালে সরকার গঠন করে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ ভারতের বৃহত্তম রাজ্য রাজস্থানেও ক্ষমতায় তারাই৷ সেই রাজ্যেই গঠিত হয় প্রথম ‘গরু সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়’৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ‘আয়ুষ’ (আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ও সিদ্ধ চিকিৎসা গবেষণার মন্ত্রণালয়) সম্প্রতি ৫৮০ কোটি রুপি ব্যয় করেছে গোশালা নির্মাণখাতে৷