ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬
বিসিএস প্রিলিমিনারি

যেভাবে টানা ছয়-ছয়বার প্রিলিতে টিকেছি

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
যেভাবে টানা ছয়-ছয়বার প্রিলিতে টিকেছি

৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি হলো। বিসিএসের আসল লড়াই প্রিলিতে। কারণ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আবেদন পড়ে প্রিলিতে, আর বেশির ভাগ প্রার্থী এই ধাপেই ছিটকে পড়ে। নিজের ছয়-ছয়বার প্রিলি টপকানোর অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ ও প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন ৩৫তম বিসিএসে ক্যাডার (সাধারণ শিক্ষা) হওয়া গাজী মিজানুর রহমান

অনার্স পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই ৩৪তম বিসিএসের আবেদন করি।

জীবনের প্রথম বিসিএস; প্রিলি, রিটেন, ভাইভা—সব কটিতেই পাস করি। কিন্তু কোনো ক্যাডার পাইনি। দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হই, কিন্তু জয়েন করিনি। ওই সময় পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে চাকরি হয়ে যায়।
এরপর ৩৫তম বিসিএসে অংশ নিই। ওই বিসিএস থেকেই প্রিলিতে নতুন সিলেবাসে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়। রিটেনের প্যাটার্নেও পরিবর্তন আসে। এত কিছুর পরও জীবনের দ্বিতীয় এই বিসিএসে ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তব হয়।
বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাই। পরে ৩৬তম বিসিএসও দিই, টিকি; কিন্তু কোনো ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হইনি। ৩৭তম বিসিএস দিয়ে আবারও টিকি, কিন্তু নন-ক্যাডার। ৩৮তম বিসিএস প্রিলি দিয়ে পাস করি, ট্রেনিংয়ে থাকায় রিটেন দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ৪০তম বিসিএসের প্রিলিও টপকিয়েছি, সামনে রিটেন।
এভাবে ৩৪তম-৪০তম বিসিএস পর্যন্ত (৩৯তম স্পেশাল বিসিএস ছাড়া) টানা ছয়টি বিসিএস প্রিলিতে টিকেছি।

২০০৬ সালে যখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হই, ‘বিসিএস’ শব্দটা তখনই প্রথম শুনি। পরে প্রথম চান্সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে যাই। অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময় বিসিএস নিয়ে আশপাশের বন্ধু ও বড় ভাইদের দৌড়ঝাঁপ-প্রস্তুতি দেখে নিজেও আগ্রহী হই। এর পর থেকেই পরিচিত বা জানাশোনাদের মধ্যে কোনো ভাই বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন শুনলে পরামর্শের জন্য ছুটে গেছি। আমার বিসিএস প্রস্তুতির শুরুটা এভাবেই। ওনারা একটা কথাই বারবার বলেছেন—ক্যাডার হতে হলে অনেক পড়তে হবে। কিন্তু কী পড়ব? কিভাবে পড়া শুরু করব? বুঝতে পারছিলাম না। একদিন এক বড় ভাই বললেন, ‘আজকাল যে (প্রার্থী) ইংরেজি আর গণিতে ভালো, তার জন্য চাকরি রেডি! তোমার হাতে এখনো অনেক সময়, এক কাজ করো—শুধু গণিত আর ইংরেজি নিয়েই লেগে থাকো। আপাতত অন্য কিছু পড়তে যেয়ো না। বাকি বিষয়গুলো ছয় মাস পড়লে এমনিতেই পারবা। কিন্তু গণিত-ইংরেজি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতির বিষয়। তাই এখন থেকেই লেগে থাকো, সময়টা কাজে লাগাও।’

এসএসসি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়েছি। ইংরেজি-গণিতে শিক্ষকদের কাছ থেকে খুব বেশি ট্রিটমেন্ট পাইনি। এ দুই বিষয়ে নিজের দুর্বলতার কথা ভেবে চিন্তায় পড়ে যাই।

একদিন নীলক্ষেত গিয়ে চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের Advanced Learners Functional English আর সাইফুরসের Student Vocabulary বই দুটি কিনে এনে পড়া শুরু করে দিই। প্রথম প্রথম যতই পড়ি, গ্রামারের নিয়মে হালকা দখল নিতে পারলেও ভোকাব্যুলারির কিছুই মনে রাখতে পারিনি। হলের বড় ভাইদের সঙ্গে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম। ওনারা বললেন, ‘প্রথম যখন ভোকাব্যুলারি পড়ো, ধরে নেবে এটা এমনিতেই পড়ছ (যেভাবে আমরা পত্রিকা পড়ি। পত্রিকা পড়ার সময় কিন্তু সাবলীলভাবেই পড়ি, সেটা তখন মুখস্থ করা উদ্দেশ্য থাকে না)। এভাবে প্রথমবার পড়লে হয়তো মনে থাকবে না। কিন্তু দ্বিতীয়বার পড়লে কিছু কিছু মনে থাকবে। তৃতীয়বার পড়লে আরো অনেক কিছু মনে থাকবে। এভাবে মনে রাখার মতো অবস্থা আস্তে আস্তে বাড়বে। আর পড়ার সময় অবশ্যই খাতায় শব্দগুলো লিখে রাখবে। পরে আবার দেখবে।’ এ পরামর্শটা বাস্তবে কাজ করতে শুরু করল। একটু একটু করে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে এতটুকুতেই সন্তুষ্ট ছিলাম না। ঠিক করলাম—ঘুম থেকে উঠে নাশতার আগ পর্যন্ত শুধু ভোকাব্যুলারি পড়ব। এভাবে টানা চার মাস চর্চা করে ভোকাব্যুলারি বইটা শেষ করেছি। দেখলাম—আগের চেয়ে অনেক বেশি ভোকাব্যুলারি পারি। তখন ভোকাব্যুলারির আরেকটি বড় বই কিনি, আগের প্রস্তুতির কারণে সেটা শেষ করতে বেগ পেতে হয়নি। এরপর পিসি দাশের Applied English Grammar & Composition বইটি নিয়ে বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টারগুলো শেষ করি।

এবার আসি ইংরেজি গ্রামারে। প্রথমে ভালো করে Parts of Speech শেষ করি। তারপর Tense, Subject Verb Agreement, Right Forms of Verb, Preposition। এগুলো শুধু বিসিএসই না, যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য একেবারে কমন। তারপর Group Verb এবং Phrase & Idioms শেষ করার পর মনে হলো, ‘প্রস্তুতি পাকাপোক্ত’।

ইংরেজি গ্রামারের জন্য চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন এবং পিসি দাশের বই দুটি বেশ কাজে এসেছে। পাশাপাশি English For Competitive Exam বইটিও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি। ইংরেজি পত্রপত্রিকার সম্পাদকীয় নিয়মিত পড়েছি।

গণিত প্রস্তুতির জন্য প্রথমে গণিতের সূত্রের চার্ট কিনে বেসিক সূত্রগুলো মুখস্থ করে ফেলি। দিনে দু-তিনটি করে দেখেছি। একসঙ্গে বেশি সূত্র পড়লে অনেক সময় মনে থাকে না। আর গণিতের ক্ষেত্রে সূত্রেই যদি ভুল হয়, তাহলে গোটা অঙ্কটাই ভুল হবে; সমাধান পর্যন্ত যাওয়া যাবে না। দেখলাম, মাস দুয়েকের মধ্যে সব সূত্র শেখা শেষ। পাশাপাশি রুটিন করে করে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির গণিত বইয়ের অঙ্কগুলো করেছি। এগুলো শুধু বিসিএস প্রিলি না, পরে রিটেন ও ব্যাংকের পরীক্ষাগুলোয়ও আমাকে দারুণভাবে হেল্প করেছে। এরপর বিসিএস প্রিলিতে আসা আগের বছরগুলোর গণিত প্রশ্নগুলোর সমাধান করেছি। যখন কোথাও খটকা লেগেছে, তখনই ক্লিয়ার হয়েছি।

বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা গণিত প্রশ্নের বই বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলোও দেখেছি।

আমার মতে, গণিতের সূত্র মুখস্থ করার পর ব্যাপকভাবে চর্চা করলে দুর্বল প্রার্থীও গণিতের ‘মাস্টার’ হয়ে উঠবে!  আর এর জন্য শর্টকাট চিন্তা না করে বিস্তরভাবে আগাগোড়া চর্চা করতে হবে। তখন নিজেই শর্টকাট মেথড বের করতে পারবেন; কিন্তু শেখা বা চর্চার সময়ই যদি শর্টকাট অ্যাপ্লাই করেন, তাহলে গোড়ায়ই গড়বড় থেকে যাবে। তবে হ্যাঁ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্টকাটে মনে রাখা যায়, তবে সব কিছুতে নয়।

মন্তব্য

‘বাংলা মাস মনে রাখে শুধু কৃষক’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘বাংলা মাস মনে রাখে শুধু কৃষক’
সংগৃহীত ছবি

নববর্ষের প্রথম সপ্তাহ হয়তো মনে রাখে বাঙালি। বাংলার বাকি মাস, দিন থাকে ভুলে। তবে একেবারে আলাদা বাঙালি কৃষক। বৈশাখের সকাল থেকে চৈত্রের সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলা সন হিসেবে রাখে কৃষক তার সব কাজকর্মে।

 

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর হওয়ায় এ উৎসবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষকের। তাই কৃষক সমাজের সঙ্গে বাংলা সাল এবং নববর্ষের একটি গভীর আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে ঐতিহাসিকভাবে। কেননা বাংলা সনের উৎপত্তি হয় কৃষিকে উপলক্ষ করেই।

১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনাও হয় আকবরের সময়। বাংলা বর্ষপঞ্জিটি প্রথমে তারিখ-ই-এলাহি বা ফসলি সাল নামে পরিচিত ছিল। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অথবা ১১ মার্চ এটি বঙ্গাব্দ নামে প্রচলিত হয়।

আকবরের রাজত্বের উনিশতম বর্ষ, অর্থাৎ ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সাল প্রবর্তিত হলেও তা গণনা করা হয় ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। কারণ এদিন আকবর দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।

আকবরের বিজয়কে মহিমান্বিত করে রাখার লক্ষ্যে সিংহাসনে আরোহণের দিন থেকে বাংলা সাল গণনা শুরু হলেও কৃষি কাজের সুবিধার্থে এবং কৃষকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত উপায়ে অধিকতর সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যেই মূলত সম্রাট আকবর বাংলা সাল প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সাল প্রবর্তিত হয়।

বাংলা সাল প্রবর্তনের আগে মুগল সম্রাটগণ রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে হিজরি বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করতেন।

কৃষকদের জন্যে হিজরি বর্ষপঞ্জির ব্যবহার ছিল খুবই ঝামেলাপূর্ণ। কারণ, চান্দ্র ও সৌরবর্ষের মধ্যে ১১-১২ দিনের ব্যবধান থাকায় ৩০ সৌরবর্ষে হতো ৩১ চান্দ্র বর্ষ। সে সময় রাজস্ব আদায় হতো চান্দ্রবর্ষ অনুযায়ী, কিন্তু ফসল সংগ্রহ হতো সৌরবর্ষ অনুযায়ী। তাই আকবর তার রাজত্বের শুরু থেকেই দিন-তারিখ গণনার একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, কর্মোপযোগী ও গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি চালুর জন্য বর্ষপঞ্জি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

এ উদ্দেশে তিনি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিবাজীকে প্রচলিত বর্ষপঞ্জিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের দায়িত্ব প্রদান করেন। তার প্রচেষ্টায় ৯৬৩ হিজরির মহররম মাসের শুরু থেকে বাংলা বর্ষের ৯৬৩ অব্দের সূত্রপাত হয়। যেহেতু ৯৬৩ হিজরির মহররম মাস বাংলা বৈশাখ মাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, সেহেতু চৈত্র মাসের পরিবর্তে বৈশাখ মাসকেই বাংলা বর্ষের প্রথম মাস করা হয়। চৈত্র ছিল বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস, যা সে সময় ব্যবহৃত হতো।

বাংলা সন প্রচলিত হওয়ার পর হতে মুগলরা জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত পহেলা বৈশাখ পালন করতেন। কৃষকরাও নববর্ষ পালন করতেন যথেষ্ট আড়ম্বরে। সে সময়ে বাংলার কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদারদের খাজনা পরিশোধ করতেন। তারা পরদিন খাজনা পরিশোধকারীদের মিষ্টিমুখ করাতেন বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে। এ উপলক্ষে সে সময় মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ক্রমান্বয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশে আনন্দময় ও উৎসবমুখী হয়ে ওঠে পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পালিত হতে থাকে শুভদিন হিসেবে।

বাংলা সালের জন্মলগ্ন থেকে নববর্ষের সকল উৎসব গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছে। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় খাজনার দায় পরিশোধের বিষয়টি না থাকলেও সামর্থ্য মতো সারা বছরের ধারদেনা পরিশোধ করে নতুন বছরে নতুন জীবন শুরু করার অভিপ্রায় সব কৃষকের মনেই উৎফুল্লতা বয়ে আনে। এভাবেই দায়মুক্ত মানসিক প্রশান্তিতে কৃষকরা নববর্ষ পালন করে।

এদিকে কৃষক তার বাড়িঘর পরিষ্কার রাখে, কৃষি ও ব্যবহার্য সামগ্রী ধোয়া-মোছা করা, গবাদি পশুর জন্য পরিমাণমতো খাওয়া প্রস্তুত রাখা। সেদিন মাঠে পারতপক্ষে কাজ না করে এবং সকালে গোসল সেরে সেজেগুজে গ্রাম বা গঞ্জের বটতলায়, নদীর ঘাটে, হাটে বৈশাখী মেলায় উপস্থিত হয়। সেখানে আয়োজন থাকে গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রাচীন খেলাধুলা। নানা খাবারদাবারের এন্তেজাম। এদিনটিতে বিশেষ ভালো খাওয়া, ভালো থাকে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক মনে করে। এদিন ঘরে ঘরে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে। মিষ্টি, পিঠা, পুলি-পায়েসসহ নানা রকম লোকজ খাবার তৈরি ও খাওয়ানোর ধুম পড়ে যায়। একে অপরের সঙ্গে নববর্ষের শুদ্ধ শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কৃষকদের বৈশাখ পালন একটু ভিন্ন আমেজ আর শুভ সুন্দরের বারতা নিয়ে হাজির হয় প্রতি বছর বৈশাখের প্রথম লগ্নে। আর এভাবে বাংলা মাস, দিন, বছর মনে রাখে বাঙালি কৃষক। 

সব কৃষকের জন্য নিরন্তর শুভ কামনা। শুভ নববর্ষ।

লেখক : কামরুজ্জামান হিমেল 
গণমাধ্যমকর্মী

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
স্বরণ

সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

বাংলার খ্যাতনামা সাংবাদিক প্রফুল্লকুমার সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) তিনি কলকাতায় প্রয়াত হন। তিনি ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে থেকে আজন্ম পত্রিকাটির সম্পাদকও হয়েছিলেন।

প্রফুল্লকুমার সরকারের জন্ম ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালিতে। পিতা প্রসন্নকুমার সরকার। তার পড়াশোনা শুরু হয় পাবনা জিলা স্কুলে। তারপর কলকাতার জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে তথা বর্তমানের স্কটিশ চার্চ কলেজে।

এই কলেজ থেকে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এ পাশ করেন এবং বঙ্কিম পদক পান। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পাশ করেন তিনি।

আরো পড়ুন
তারাপদ চক্রবর্তীর জন্মবার্ষিকী আজ

তারাপদ চক্রবর্তীর জন্মবার্ষিকী আজ

 

আইন পাশের পর তিনি কিছু দিন বর্তমানে বাংলাদেশের ফরিদপুরে ও বিহারের বর্তমান ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জের মেদিনীনগরে ওকালতি করেন। পরে ওড়িশার ঢেঙ্কানল রাজপরিবারের গৃহশিক্ষক হন এবং ক্রমে দেওয়ানপদ লাভ করেন।

এরপর বন্ধু সুরেশচন্দ্র মজুমদারের আহ্বানে ও সহযোগিতায় জাতীয়তাবাদী পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠা করেন। (প্রথম প্রকাশ ১৩ মার্চ ১৯২২, দোল পূর্ণিমার দিন)। 

১৯২২ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি বাঘা যতীনের জীবনী ও তার বিষয়ে সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশ করে কারারুদ্ধ হন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে হতে আমৃত্যু তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করতেন।

কথা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে তার রচনা উল্লেখযোগ্য। 

রচিত গ্রন্থগুলি হলো: ভ্রষ্টলগ্ন, অনাগত, বালির বাঁধ, ক্ষয়িষ্ণু হিন্দু, জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ, শ্রীগৌরাঙ্গ প্রভৃতি।

আরো পড়ুন
আজ চৈত্রসংক্রান্তি

আজ চৈত্রসংক্রান্তি

 

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। তার স্ত্রী নির্ঝরিণী দেবী (১৮৯৪ - ১৯৬৩) ছিলেন একজন লেখিকা ও কংগ্রেসকর্মী। তিনিও স্বদেশী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৯৩০ এবং ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে। তাদের সুযোগ্য পুত্র অশোক কুমার সরকার (১৯১২-১৯৮৩) ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর প্রধান হন।

খ্যাতনামা বাঙালি সাংবাদিক-সম্পাদক প্রফুল্লকুমার সরকার ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল কলকাতায় প্রয়াত হন। তার মৃত্যুর পর কলকাতা মহানগরীতে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর কার্যালয় সংলগ্ন রাজপথের নামকরণ হয় প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট।

মন্তব্য

তারাপদ চক্রবর্তীর জন্মবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তারাপদ চক্রবর্তীর জন্মবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯০৯ সালের ১৩ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়ায় এক সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি নিজেও ছিলেন কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীতাচার্য। তিনি কোটালি ঘরানার পথপ্রদর্শক যা কোনো রাগ উপস্থাপনের সময় আলাপের ধীর পরিবেশনের জন্য সর্বাধিক পরিচিত।

সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়ায় এক সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত কুলচন্দ্র চক্রবর্তী এবং মাতা দুর্গারানী দেবী। তার পিতা, পিতামহ এবং প্রপিতামহ সকলেই সংগীতে পারদর্শী ছিলেন। সেই সূত্রে তিনি পরিবার থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।

শুরুতে কলকাতা বেতারে তবলা বাদকের চাকরি নেন। ক্রমেই উচ্চাঙ্গের শিল্পী হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। বাংলা খেয়াল ও বাংলা ঠুমরী গানের প্রবর্তক তিনি। তারাপদ বিভিন্ন সময়ে ওস্তাদ এনায়েত খাঁ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ হাফিজ আলী খাঁ প্রমুখ সঙ্গীত সম্রাটের সঙ্গে তবলা সঙ্গীত করেন।

সংগীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী কয়েকটি নূতন রাগের সৃষ্টি করেন। “ছায়াহিন্দোল” তার মধ্যে অন্যতম।

সুরতীর্থ নামে তার একটি গ্রন্থ রয়েছে।

তিনি বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত হন। ভাটপাড়া পণ্ডিতসমাজ কতৃর্ক সঙ্গীতাচার্য, বিদ্বৎ সম্মিলনী থেকে সঙ্গীতরত্নাকর ও কুমিল্লা সংগীত পরিষদ থেকে ‘’সংগীতার্ণব’’ উপাধি লাভ করেন।

১৯৭২ সালে তিনি সংগীত-নাটক অ্যাকাডেমির সদস্য নির্বাচিত হন এবং রাজ্য সরকারের আকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে জীবনসায়াহ্নে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করলে তিনি ওই উপাধি গ্রহণে অসম্মতি জানান। তিনি বিশ্বভারতীর নির্বাচন-বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

তিনি ১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মারা যান।

মন্তব্য

৬০০ অতিথিকে খাওয়াতে পারবে না কনের পরিবার, বিয়ে ভেঙে দিলেন বর!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬০০ অতিথিকে খাওয়াতে পারবে না কনের পরিবার, বিয়ে ভেঙে দিলেন বর!
সংগৃহীত ছবি

বরযাত্রী হিসেবে অতিথি থাকবে ৬০০ মানুষ। আর সবাইকে খাওয়াতে হবে কনের পরিবারকে। কিন্তু এতে অসম্মতি জানানোই বিয়ে ভেঙে দিলেন বর! এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করলেন কনের ভাই। আর তাতেই শোরগোল উঠেছে।

এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার জানতে চেয়ে এই পোস্ট করেছেন তিনি। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের একটি ছোট শহরে।

কনের ভাই রেডিটে তার পোস্টের শিরোনামে লিখেছেন, ‘বিশেষ একটি যৌতুকের দাবিতে আমার বোনের বিয়ে ভেঙে দিয়েছে পাত্রপক্ষ।’ এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলতে থাকে ওই প্ল্যাটফরমে।

তিনি তার পোস্টে জানান, তার দিদির সঙ্গে এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে আত্মীয়সূত্রেই আলাপ হয়েছিল তাদের। কিন্তু সব কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পরে শেষ মুহূর্তে খাবারের বন্দোবস্ত করা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। আর এই কারণে বিয়েই বাতিল করে দেন সেই ব্যক্তি।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি ভাবিওনি যে আজ আমায় এই দিনটা দেখতে হবে। আমার দিদি এই ব্যক্তির বাগদত্তা ছিলেন। আমাদের আত্মীয়দের মাধ্যমেই এই ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়, পরিচয় হয়। আমরা খুবই ছোট শহরে থাকি, যেখানে পঞ্চায়েতরাজ এখনো তুঙ্গে। আমাদের এলাকায় দুই ভাবে মানুষের বিয়ে হয়।

এক গ্র্যান্ড মাটন বিরিয়ানি ওয়েডিং, যেখানে খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা, আর একটি হলো সাধারণ টি-ওয়েডিং।’

তিনি উল্লেখ করেন, প্রথমে দুই পরিবারের মধ্যেই ঠিক হয়েছিল যে তারা তাদের অতিথিদের খাবার খরচ বহন করবেন। কিন্তু বরের পরিবার হঠাৎ করেই দাবি তোলে যে কনের পরিবারকে ৬০০ অতিথির সবার খাবারের খরচ বহন করতে হবে। আর এই হঠাৎ দাবিতে এত খরচ বহন করা তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল না।

আরো পড়ুন
নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

 

তার পোস্টে আরো উল্লেখ করে লেখেন, বরের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভালো ছিল না। ‘বিষয়টি হলো বর নিজেরাই খুব গরিব, আমি বুঝতে পারছি না যে তারা কিভাবে এত টাকা চাইতে পারে, যা তারা নিজেরাই মেটাতে পারবে না।’ তার মতে, বর ফোনে এই বিয়ে বাতিল করে দেন। আর এই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়। বর বলেন, ‘যেহেতু আপনি সন্ধ্যার অনুষ্ঠানের জন্য রাজি হয়ে গেছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের ৬০০ জন অতিথির খাবারের ব্যবস্থা করার কথা রয়েছে। তবে আমাদের কাছে এত টাকা নেই, তাই আমরা বিয়ে বাতিল করছি।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মে মাসে। কয়েক দিন আগে বরপক্ষকে তারা অনুরোধ করেন। তা সত্ত্বেও পাত্রের পরিবার বিয়ের এক মাস আগে বাতিলের কথা জানিয়ে দেয়। বিয়েতে টাকা খরচ করতে না পারাই এর কারণ বলে জানিয়েছে পাত্রপক্ষ। পাত্র নিজে ফোন করে জানান যে তিনি ৬০০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করেছেন এবং যেহেতু কনের পরিবার তাদের খাবারের জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করেছেন, তাই তারা এই বিয়ে বাতিল করছেন।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

কনের ভাই পোস্টে লেখেন, ‘কেবল লাখ লাখ টাকা আমরা খরচ করে অতিথি সেবা করতে পারব না এবং ঋণের বোঝা মাথায় চাপাতে পারব না বলে আজ তারা এই তুচ্ছ কারণে বিয়ে বাতিল করে দিয়েছে। একটা ফোনেই এই বিয়ে বাতিল করেছেন বর।’

পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমার মা-দিদি সর্বক্ষণ কেঁদে চলেছেন। আইনি পথে গেলে কী প্রভাব পড়বে দিদির ওপরে তার সম্মানের ওপরে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আমাদের পরিবারের সবাই। আমরা এখন কী করব? পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিচার চাইব নাকি আইনের রাস্তায় হাঁটব?’

প্রমাণ হিসেবে, তিনি উল্লেখ করেছেন, বরের পরিবার বাগদান অনুষ্ঠানে কনেকে একটি আংটি ও শাড়ি দিয়েছিল। যেখানে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন প্রবীণ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া তাদের কাছে বরের বিয়ে বাতিল করার একটি ফোন রেকর্ডিং রয়েছে, যা তাদের মামলাকে আরো শক্তিশালী করে।

আরো পড়ুন
ফের প্রাক্তনের প্রেমে পড়ার আগে যে বিষয়গুলো ভাবতেই হবে

ফের প্রাক্তনের প্রেমে পড়ার আগে যে বিষয়গুলো ভাবতেই হবে

 

এই পোস্টের কমেন্টে অনেকেই বরের পরিবারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং কনের পক্ষকে সমর্থন জানিয়েছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘সময় থাকতে এই অর্থের বদলে বিবাহের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, এজন্য় কৃতজ্ঞ থাকুন। ভবিষ্যতে যদি তারা আপনার বোনকে আরো টাকার জন্য চাপ দিত, তখন আপনি কী করতেন?’

একজন লিখেছেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদের চেয়ে বিয়ের বাগদানের পর বিয়ে ভেঙে যাওয়া অনেক ভালো।’ আরেক জন বলেছেন, ‘এই ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসুন।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘বিবাহ বাতিলের ফলে কোনো আইন লঙ্ঘিত হয়নি। এতে কোনো অপরাধ নেই। বিবাহ অনুষ্ঠানের ধরন ও ব্যয় নিয়ে আপনার মতবিরোধ ছিল। যৌতুক প্রতিরোধ আইন অনুসারে এই খরচ যৌতুকের সংজ্ঞার আওতায় পড়ে না।’

আরো পড়ুন
বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন যেভাবে

বাচ্চাদের সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করাবেন যেভাবে

 

সূত্র : আনন্দবাজার, ওয়ানইন্ডিয়া।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ