অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের প্রশিক্ষণে ব্যয় ৬১ কোটি, ভ্রমণে ৩১ কোটি টাকা

তামজিদ হাসান তুরাগ
তামজিদ হাসান তুরাগ
শেয়ার
অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের প্রশিক্ষণে ব্যয় ৬১ কোটি, ভ্রমণে ৩১ কোটি টাকা

প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১ কোটি টাকা, ভ্রমণে ৩১ কোটি টাকা। জনপ্রতি আপ্যায়ন ব্যয় বরাদ্দ ৯৫০ টাকা। মনিহারিসামগ্রী কেনায় ব্যয় সোয়া ৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের কিছু খাতে এমন অস্বাভাবিক ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ জন্য প্রকল্পটি আবার যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামীকাল রবিবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গেছে।

বিবিএসের অধীন ‘অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩’ প্রকল্পটি গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদিত হয়। সভা শেষে ওই দিন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিতে পারেননি।

৫৭৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার এই প্রকল্পে এত টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় করা হবে, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপিতে) এর কোনো সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই। এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়ের লাগাম টানতে সরকারের প্রজ্ঞাপন, সার্কুলার, নির্দেশনা কোনোটাই কাজে আসছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় বারবার বলছেন অপচয়-অপব্যয় কমাতে, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তা প্রতিপালন হচ্ছে না। চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও প্রকল্প প্রস্তাবে আসছে বারবার বিদেশভ্রমণের বিষয়।
 

অর্থনৈতিক শুমারির প্রকল্প প্রস্তাবে একটি সার্ভার সিস্টেমের ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ১২ কোটি টাকা। ৪০টি কম্পিউটারের দাম ধরা হয়েছে ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ১০৭টি সেমিনারে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি সেমিনারে খরচ দেড় লাখ টাকার বেশি।

প্রকল্প প্রস্তাব থেকে জানা গেছে, দেশে বিদ্যমান সব ব্যবসা, শিল্প, সেবা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেইস প্রণয়ন করার মাধ্যমে সময়ের বিবর্তনে অর্থনীতিতে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটেছে, তার স্বরূপ নির্ধারণ করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

এ ছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ স্ট্যাটিসটিক্যাল বিজনেস রেজিস্টার প্রণয়ন করতে চাইছে বিবিএস।

২০২২ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ৭৮৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন প্রর্যন্ত। প্রাথমিক প্রস্তাবের পর পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের পিইসি সভায় বেশ কিছু খরচের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়। ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে মোট ৬৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে আবার সংশোধিত আকারে প্রস্তাব করে বিবিএস। এখন প্রকল্পটির মেয়াদ কমিয়ে আড়াই বছরে বাস্তবায়নের জন্য ৫৭৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ করার কথা।

প্রকল্পের খরচের হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যায়, তখন পুনর্গঠিত ডিপিপিতেও কিছু অসামঞ্জস্য পায় পরিকল্পনা কমিশন। ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভায় প্রস্তাবিত ডিপিপির চেয়ে বর্তমানে প্রস্তাবিত ডিপিপির মোট ব্যয় ৫১ কোটি ৬২ লাখ টাকা কমানো হলেও আবার কিছু ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া কিছু অঙ্গ নতুন করে যোগ করা হয়েছে। একাধিক খাতে, বিশেষ করে ইন্টারনেট বা ফ্যাক্স বা টেলেক্স, প্রশিক্ষণ, ভ্রমণ ব্যয়, জরিপ, স্টেশনারি, কম্পিউটার সরঞ্জামাদি, আসবাবসহ বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয় কমানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে আগের পিইসিতে বলা হয়।

ব্যয় বরাদ্দের তথ্য বলছে, প্রশিক্ষণে বরাদ্দ রয়েছে ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ৩০ মাসে চুক্তিতে যানবাহনের জন্য রয়েছে চার কোটি ১৩ লাখ টাকা। পরামর্শক ব্যয় চারজনে এক কোটি ২০ লাখ টাকা। ইন্টারনেট, ফ্যাক্সে প্রায় সাত কোটি টাকা। আবার পরিবহন খাতে ব্যয় এক কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজর টাকা। যানবাহন ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে ব্যয় ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। একনেক সভা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তথ্য ও পরিসংখ্যান সচিব শাহনাজ আরেফিনের কাছে কম্পিউটারের বিপুল অঙ্কের মূল্য ধরা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এটার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়।’

প্রশ্ন রাখা হয়, জনশুমারির ট্যাব দিয়ে অর্থনৈতিক শুমারির কাজ করা হবে। কিন্তু এখন নতুন করে কেন কম্পিউটার কেনা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে বিবিএস সচিব বলেন, ‘জনশুমারির প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। আর দুটি প্রকল্প এক নয়। একটি প্রকল্পের সঙ্গে আরেকটি মেলালে চলবে না।’

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ওই প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বসা হবে বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য আবদুল বাকী ব্রিফিংয়ে বলেন, এই প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে দুইবার পিইসি সভা করেছেন। ফলে মূল প্রস্তাব থেকে ১৫০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব হয়েছে। এই প্রকল্পে যন্ত্রপাতির সংখ্যাই বেশি। তিনি বিষয়টি আবার খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, এই প্রকল্পে বেশ কিছু খাতের ব্যয় নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ব্যয়। এমন তো নয় যে বিবিএস প্রথমবারের মতো এই জরিপ করছে। এর আগেও এমন জরিপ করা হয়েছে। সেই দক্ষ লোকবল কোথায় গেল? তা ছাড়া এখানে ১০৭টি সেমিনার কেন করতে হবে? আর সার্ভার ক্রয়, সেটা তো বিবিএসের অবকাঠামোতে আগেই থাকা উচিত। সব কিছু মিলিয়ে এই প্রকল্পের ব্যয়ের কাঠামো প্রশ্নবিদ্ধ।

জাহিদ হোসেন বলেন, প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা করে কেন কম্পিউটার কিনতে হবে? এক প্রকল্পের ডিভাইস ব্যবহার করে পরবর্তী প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করা যেতে পারে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে যে নির্দেশনা দিল ডিএমপি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় তদন্তে উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গত ৯ এপ্রিল ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
ঘুরে আসতে পারেন রানি ময়নামতির প্রাসাদ

ঘুরে আসতে পারেন রানি ময়নামতির প্রাসাদ

 

আদেশ বলা হয়েছে ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংক্রান্তে রুজুকৃত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের নিমিত্তে উপযুক্ত প্রমাণসহ (ভিকটিম/বাদী/প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী, ঘটনা সংশ্লিষ্ট ভিডিও/অডিও/স্থিরচিত্র ও সিডিআর ইত্যাদি) অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেপ্তার করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, উপযুক্ত প্রমাণ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বৈষম্যবিরোধী মামলার এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’

মন্তব্য

আরো ১২০ টন ত্রাণ নিয়ে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আরো ১২০ টন ত্রাণ নিয়ে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ

মায়ানমারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে মানবিক সহায়তা সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিজান’ ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। জাহাজটিতে রয়েছে ৭৫ দশমিক ৫ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ, পানি, তাঁবু, জরুরি সামগ্রীসহ ১২০ মেট্রিক টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী।

আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে ইয়াঙ্গুনের এমআইটিটি জেটিতে মায়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী ইউ সো থেইনের কাছে এই ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন। 

রাষ্ট্রদূত ড. হোসেন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘দায়িত্বশীল প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অসামান্য দক্ষতা থাকায় বাংলাদেশ কোনো বিলম্ব ছাড়াই ভূমিকম্পের অব্যবহিত পর মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

’ এ সময় তিনি ভুমিকম্পে আক্রান্ত মিয়ানমারের জনগণের পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত নিকট অতীতে মায়ানমারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশেষ করে ২০২৩ সালে সাইক্লোন মোখার সময়ে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তাসহ অন্যান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত একই সময়ে মিয়ানমার রেডক্রসের নির্বাহী কমিটির সদস্যের কাছে ৮০০ বক্স হাইজিন কিট হস্তান্তর করেন যা একই জাহাজে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে। 
     
মায়ানমারে ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় চালান।

এর আগে প্রথম পর্যায়ে গত ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিলে যথাক্রমে ১৬ দশকি ৫ মেট্রিক টন এবং ১৫ মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রীর দুটি চালান পাঠানো হয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর তিনটি সি১৩০জে বিমান এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি সিএএসএ বিমান করে ত্রাণ সামগ্রী এবং ৫৫ সদস্যের একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল ইয়াঙ্গুন ও নেপিত’তে পাঠানো হয়।   

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মায়ানমারের সরকারি কর্মকর্তা, দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আফতাব হোসেন, দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিক, জাহাজের ক্যাপ্টেন ও ক্রুরা।

মন্তব্য

ফ্যাসিস্টের মোটিফ পুড়ে যাওয়ায় যাদের দায়ী করলেন ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্যাসিস্টের মোটিফ পুড়ে যাওয়ায় যাদের দায়ী করলেন ফারুকী
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার মোটিফটি শনিবার ভোররাতে পুড়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাটিকে ‘রহস্যজনক’ বললেও এখন পর্যন্ত কিভাবে আগুন লেগেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনার জন্য ভারতে পালানো শেখ হাসিনার দোসরদের দায়ী করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।  

শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে আওয়ামী লীগের লোকজনকে দায়ী করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফারুকী।

 

পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোররাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত। এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদের আইনের আওতায় আনব তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেন আরো বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’

তিনি আরো লেখেন, ‘কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেল, বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না।

আমরা এখন আরো বেশি ডিটারমাইনড এবং আরো বেশি সংখ্যায় অংশ নেব। গত কিছুদিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ওই বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম।
কিন্তু কালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরো অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠল।’

জুলাই চলমান।

মন্তব্য

মার্চ ফর গাজা : সকালেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মার্চ ফর গাজা : সকালেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ও ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় হতে যাচ্ছে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই গণজমায়াতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা। তবে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এরই মধ্যে মূল অনুষ্ঠানস্থলে চলে এসেছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ছোট-বড় মিছিল নিয়ে সকাল থেকেই লোকজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামিক দলের ব্যানারেও মিছিল শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠানস্থলে রওনা দিয়েছে। আগত লোকজনের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা এবং বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন এবং মানবিক সহানুভূতি জাগ্রত করতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী এই গণজমায়েত।

বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি।

আয়োজকরা জানান, নিরীহ ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করার উদ্দেশ্যেই এমন কার্যক্রম। তাদের দাবি, সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ অংশ নেবে এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

এতে সভাপতিত্ব করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক। মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। এটি ঢাকার রাজপথে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ হতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন আয়োজক ও সংশ্লিষ্টরা।

এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন, আলোচিত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহসহ অনেকেই।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ