সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে সময় দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।
তদন্ত নিখুঁত করতে বৈজ্ঞানিকভাবে তদন্ত চলছে জানিয়ে শফিউল আজিম বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তারা কিভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন ডকুমেন্ট এসেছে, কোথায় হয়েছে, কারো সম্পৃক্ততা ছিল কিনা- আদ্যোপান্ত তদন্ত চলছে।
তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘এ ঘটনায় কমিশনের কেউ জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত কমিটির উপর আস্থা আছে, তারা কাজ করছে। আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে।
’
বঙ্গবন্ধুর খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডি জালিয়াতি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এ খুনি বিভিন্ন নামে আত্মগোপনে ছিলেন, বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন। ইসির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। সমস্ত তথ্য নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।'
এর আগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের দুই ভাইয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ইসি।
পাশাপাশি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের এনআইডিতে পিতার নাম পরিবর্তনের জালিয়াতি তদন্তে পৃথক কমিটি গঠন করে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও নির্বাচন কমিশনের সচিব এ তদন্ত কাজ তদারকি করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আজিজ আহমেদের দুই ভাই তোফায়েল আহমেদ (জোসেফ) ও হারিছ আহমেদ এনআইডিতে নিজেদের নামের পাশাপাশি বাবা-মায়ের নামও পরিবর্তন করেছেন। জোসেফ নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন তানভীর আহমেদ তানজীল। আর হারিছ আহমেদ তার নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন মোহাম্মদ হাসান।
অভিযোগ ওঠে তাদের এনআইডির তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেন।
অপরদিকে মোসলেম উদ্দিনের ছয় সন্তান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম খান, মাহমুদুল ইসলাম খান, মজিদুল ইসলাম খান, মো. মহিদুল ইসলাম খান, মো. সাজিদুল ইসলাম খান এবং সানাজ খাঁন এনআইডিতে তাদের পিতার নাম পরিবর্তন করেন। এর মধ্যে শফিকুল, মহিদুল ও সানাজ তাদের পাসপোর্টেও বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন। আর মাহমুদুল ইসলাম তার ড্রাইভিং লাইসেন্সে বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন।